প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সামনে নির্বাচন। একদিকে বিজেপির অস্বস্তি, অন্যদিকে যেখানেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা করতে যাচ্ছেন, ঠিক সেখানেই সভাস্থলের নিচ থেকে বিভিন্ন দাবি-দাওয়া করতে দেখা যাচ্ছে সাধারণ মানুষকে। নন্দীগ্রামের পর এবার পুরুলিয়াতেও স্বনির্ভর গোষ্ঠীর প্রশিক্ষকরা বিক্ষোভ দেখালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুরুলিয়ায় জনসভায় বক্তব্য রাখছেন, ঠিক তখনই নিচে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর প্রশিক্ষকরা বেতন বৃদ্ধির দাবিতে সরব হতে শুরু করেছেন। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় ব্যাপক অস্বস্তিতে পড়েন তৃণমূল নেত্রী তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তারপরেই গোটা ঘটনার দায় বিজেপির ঘাড়ে চাপাতে দেখা যায় তাকে। আর একের পর এক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় এভাবে বিক্ষোভ সামনে আসায় এখন রীতিমত শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।

সূত্রের খবর, এদিন পুরুলিয়ার জনসভায় বক্তব্য রাখেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তখনই দেখা যায় চুক্তিভিত্তিক স্বনির্ভর গোষ্ঠীর প্রশিক্ষকরা নিচ থেকে বেশ কিছু দাবি জানাচ্ছেন। জানা যায়, এই প্রশিক্ষকরা কাজের ভিত্তিতে বেতন পান। কিন্তু তাদের কোনো মাসিক বেতনের ব্যবস্থা নেই। তাই যাতে মাসিক বেতনের ব্যবস্থা করা যায়, তার জন্য এদিন মঞ্চে থাকা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দৃষ্টি আকর্ষন করার চেষ্টা করেন তারা।

স্বাভাবিকভাবেই বক্তব্য রাখার সময় এইরকম ঘটনা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নজরে আসার সাথে সাথেই রীতিমত ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন তিনি। অভিযোগ করেন, বিজেপির পরিকল্পনায় অশান্তি করতে এই ধরনের মানুষকে পাঠানো হচ্ছে। শুধু তাই নয়, এভাবে যদি চলতে থাকে, তাহলে বিজেপির সভাতেও বিশৃঙ্খলা তৈরি করার জন্য লোক পাঠানো হবে বলে হুশিয়ারি দিতে দেখা যায় বাংলার প্রশাসনিক প্রধানকে। পরবর্তীতে অবশ্য পরিস্থিতিকে শান্ত করার চেষ্টা করেন তৃণমূল নেত্রী। বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “বকেছি। কিছু মনে কোরো না।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই প্রথম নয়। সাম্প্রতিককালের একাধিক জনসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন বক্তব্য রাখছেন, তখন নীচ থেকে বিভিন্ন দাবি জানাতে দেখা গেছে সাধারণ মানুষকে। এক্ষেত্রে প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিভিন্ন সময়ে বেশ কিছু দাবি দাওয়া করতে দেখা গেছে একাংশকে। যার ফলে অস্বস্তি বেড়েছে বাংলার প্রশাসনিক প্রধানের।

আর এবার পুরুলিয়ার মাটিতেও যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বক্তব্য রাখছেন, ঠিক তখনই বেতন বৃদ্ধি নিয়ে এইরকম দাবি করতে দেখা গেল চুক্তিভিত্তিক স্বনির্ভর গোষ্ঠীর প্রশিক্ষকদের। যার ফলে রীতিমত মেজাজ হারিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে চক্রান্তের অভিযোগ করলেন তৃণমূল নেত্রী। তবে একের পর এক সভায় লাগাতার এই ধরনের ঘটনা ঘটায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেস যে যথেষ্ট অস্বস্তিতে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।