এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > কেন্দ্রীয় প্রকল্প চালু হওয়া নিয়ে টানাপোড়েন কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে! মুখ খুললেন তৃণমূল সাংসদ

কেন্দ্রীয় প্রকল্প চালু হওয়া নিয়ে টানাপোড়েন কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে! মুখ খুললেন তৃণমূল সাংসদ


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – কেন্দ্র এবং রাজ্যের বিরোধিতার ছবি অনেক সময়ই দেখা যায় প্রবলভাবে। এই বিরোধিতার কারণে অনেক সময় রাজ্যবাসীর হাত থেকে বেশ কিছু সুযোগ-সুবিধাও বেরিয়ে যায় বিভিন্ন সময়। কেন্দ্রীয় সরকারের অভিযোগ, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী সব কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলির ক্রমাগত বিরোধিতা করে চলেছেন। যার ফলে রাজ্যে অধিকাংশ কেন্দ্রীয় প্রকল্প চালুই হয়নি এখনও পর্যন্ত। যেরকম কেন্দ্রীয় সরকারের একটি স্বাস্থ্য প্রকল্প হল ‘আয়ুষ্মান ভারত’। কিন্তু তা আজ পর্যন্ত এ রাজ্যে চালু হয়নি রাজনৈতিক টানাপোড়েনে।

অন্যদিকে ‘আয়ুষ্মান ভারত’ প্রকল্প পশ্চিমবাংলা সহ অন্য আরো তিনটি রাজ্যে কেন এখনো পর্যন্ত চালু হয়নি তাই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে এবার একটি জনস্বার্থ মামলা করা হয়েছে শেখর রায় নামে জনৈক ব্যক্তির পক্ষ থেকে। সূত্রের খবর, এখনো পর্যন্ত ‘আয়ুষ্মান ভারত’ প্রকল্প চালু হয়নি পশ্চিমবঙ্গ, উড়িষ্যা, তেলেঙ্গানায়। এবং সবথেকে উল্লেখযোগ্য, দিল্লিতেও এখনো পর্যন্ত চালু হয়নি কেন্দ্রীয় সরকারের এই প্রকল্প। যদিও পশ্চিমবঙ্গে এই প্রকল্প চালু না হওয়ার পেছনে রাজ্য প্রশাসনের একটি যুক্তি আছে।

রাজ্যের দাবী, কেন্দ্রের ‘আয়ুষ্মান ভারত’ এর থেকে অনেক বেশি সুবিধাজনক এবং কার্যকরী বাংলার ‘স্বাস্থ্যসাথী’ প্রকল্পটি। রাজ্য সরকারের ‘স্বাস্থ্যসাথী’ প্রকল্পের অন্দরে বাংলার উচ্চবিত্ত থেকে নিম্নবিত্ত শ্রেণীর প্রত্যেকেই সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে চিকিৎসার সুবিধা পেয়ে থাকেন। তাই বরাবরই এরাজ্যে ‘আয়ুষ্মান ভারত’ এর থেকে ‘স্বাস্থ্যসাথী’ এগিয়ে রয়েছে কয়েক কদম। অন্যদিকে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন এবার ‘আয়ুষ্মান ভারত’ প্রকল্প নিয়ে সরব হলেন। তাঁর মতে ‘আয়ুষ্মান ভারত’ প্রকল্পের থেকে ‘স্বাস্থ্যসাথী’ প্রকল্প অনেক বেশি কার্যকরী।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কারণ ‘স্বাস্থ্যসাথী’ প্রকল্পের আওতায় যেসব পরিবার থাকবে, সেই সব পরিবারের প্রতিটি সদস্যই অন্য রাজ্যে গিয়ে চিকিৎসার সুযোগ পাবেন সরকারি জায়গায়। অন্যদিকে ‘আয়ুষ্মান ভারত’ প্রকল্পকে সাংসদ শান্তনু সেন গিমিক বলেই কটাক্ষ করেছেন। তিনি আরো অভিযোগ করেছেন, কেন্দ্র এবং রাজ্য মিলে যখন একটি প্রকল্প তৈরি হয় সেখানে কেন্দ্রীয় সরকার শুধুমাত্র নিজের নাম প্রকল্পের সাথে জুড়ে দিয়ে প্রচার চালাতে চায় সর্বক্ষেত্রে। এ প্রসঙ্গে শান্তনু সেন আরও জানিয়েছেন, বাংলার মানুষই আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পকে দূরে সরিয়ে দিয়ে স্বাস্থ্যসাথীকে নিয়েই এগিয়ে যেতে চাইছে।

তবে ‘আয়ুষ্মান ভারত’ প্রকল্প বাংলায় চালু না হওয়া নিয়ে ইতিমধ্যে সরব হয়েছেন বাংলার অন্যতম বিরোধী দল বিজেপি। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে ‘আয়ুষ্মান ভারত’ বাংলায় চালু হওয়া অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা নেবে বিরোধী দলের পক্ষে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে রাজ্য সরকার তাঁদের নিজস্ব প্রকল্পকেই যে পুরোমাত্রায় এগিয়ে নিয়ে যাবে, সে কথা অনস্বীকার্য বলে মনে করেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!