প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ইতিপূর্বে, কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে বেশকিছু রাষ্ট্রয়ত্ত সংস্থার বেসরকারিকরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, রাজকোষকে সচল রাখতে ও রাজকোষের বাড়তি আয় নিশ্চিত করতেই বেসরকারিকরণ বা বিলগ্নিকরণের পথে হাঁটছে কেন্দ্রীয় সরকার। ইতিমধ্যেই প্রতিরক্ষা, রেল, বিদ্যুৎ, খনন ও পরিকাঠামো বেসরকারিকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এবার এই তালিকায় যুক্ত হতে চলেছে রাষ্ট্রীয় কেমিক্যাল অ্যান্ড ফার্টিলাইজার বা আরসিএফএল ও ভারত আর্থ মুভার্স বা বিএমএল।

কেন্দ্রীয় এই দুই সংস্থার বিলগ্নিকরণের পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের। গতকাল রবিবার আরসিএফএল ও বিএমএল সংস্থার হাতে থাকা শেয়ার বিক্রির সিদ্ধান্তের কথা জানাল কেন্দ্রীয় সরকার। এই সংস্থা গুলির হাতে থাকা ২৬ % অংশীদারি শেয়ার বিক্রির জন্য প্রাথমিক আগ্রহপত্র চাওয়া হলো কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে।

কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, রাজকোষকে সচল রাখতে, ও যায় বাড়াতে রাষ্ট্রায়ত্ত এই দুই সংস্থার বিলগ্নীকরনের বিষয়ে চিন্তা ভাবনা করছে কেন্দ্র সরকার। প্রসঙ্গত চলতি অর্থবর্ষে বিলগ্নীকরনের মাধ্যমে ২.১০ লক্ষ কোটি টাকা আয়ের লক্ষমাত্রা রেখেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু এই লক্ষ্যমাত্রা পূর্ণ হতে যথেষ্ট সময়ের প্রয়োজন বলে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের ধারনা। একারণেই বিলগ্নিকরণ আরো বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এ কারণেই এই দুই সংস্থার বেসরকারিকরণ করতে ইচ্ছুক কেন্দ্রীয় সরকার।

কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানালো একাধিক বাম দল। বাম শিবিরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, কেন্দ্রীয় সরকার এভাবে একের পর এক সরকারি সংস্থার বেসরকারিকরণ করতে করতে নিজের অস্তিত্বই বিকিয়ে দিতে শুরু করেছে। কেন্দ্রীয় সংস্থার বেসরকারিকরণ নিয়ে ইতিপূর্বে বহুবার প্রতিবাদ জানিয়েছে দেশের বিভিন্ন বিরোধী শিবির। তবে, তাদের প্রতিবাদের পরেও নিজের সিদ্ধান্ত থেকে সেভাবে সরে আসেনি কেন্দ্রীয় সরকার।