এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > মানবাধিকার কাউন্সিলের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টরের তৎপরতায় ৫ বছরের শিশুকন্যা মাতৃক্রোড়ে

মানবাধিকার কাউন্সিলের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টরের তৎপরতায় ৫ বছরের শিশুকন্যা মাতৃক্রোড়ে


জেগে উঠল মনুষত্য, জয় হল মানবাধিকারের। হুগলির এমিলি ও তাঁর দুই শিশুকন্যা রোজি ও ডরোথি (তিনটি নামই পরিবর্তিত) দীর্ঘদিন ধরেই সাংসারিক ও মানসিক অশান্তির শিকার। এমিলির দাবী তাঁর ছোটকন্যা ডরোথি যখন মাতৃগর্ভে তখন থেকেই তিনি সাংসারিক ও শারীরিক হিংসার শিকার আর তাই তিনি সেই মাতৃকালীন অবস্থাতেই স্বামী ফ্রান্সিসকে (নাম পরিবর্তিত) ছেড়ে বড় মেয়ে রোজির হাত ধরে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন, আশ্রয় নেন নিজের মায়ের কাছে। এরপর শুধুমাত্র মনের জোরকে সম্বল করে জন্মদেন ফুটফুটে শিশুকন্যা ডরোথির। দুই মেয়ের মুখের দিকে তাকিয়েই দাঁতে দাঁত চেপে লড়ে যান এক অসমসাহসী যুদ্ধ। নিজে যখন অশান্তির আগুনে জ্বলছেন তখনো কোনো আঁচ পড়তে দেননা তাঁর বেঁচে থাকার অবলম্বন দুই কন্যার গায়ে। নিজেই জোগাড় করতে থাকেন মেয়েদের বড় করে তোলার যাবতীয় খরচ, স্বামী ফ্রান্সিস ফিরেও তাকায় না।
কিন্তু যখন এমিলি ধীরে ধীরে স্বামীর বঞ্চনার কথা ভুলে দুই ফুলের মত কন্যাকে অবলম্বন করে জীবনযুদ্ধে এগিয়ে চলছেন তখন তা হয় হয় না ফ্রান্সিসের বলে অভিযোগ এমিলির। মেয়েদের উপর কোনো ডে বা দায়িত্ত্ব না দেখালেও, তাদের এবার এমিলির কাছ থেকে ছিনিয়ে নিতে মরিয়া হয়ে ওঠে ফ্রান্সিস। ভয় দেখতে থাকে এমিলিকে, এমনকি এমিলির বর্তমান ঠিকানায় এসে শারীরিক নিগ্রহও করে বলে এমিলির অভিযোগ। এরপর গতকাল রোজদিনের মত রোজি ছোটবোন ডরোথিকে স্কুল থেকে আনতে গেলে ফ্রান্সিস ও তার ভাই মোটরবাইকে করে এসে পথ আগলে দুই বোনের। ফ্রান্সিসের ভাই রোজিকে ভুলিয়ে রাখার চেষ্টা করে ও ফ্রান্সিস বাইকে বসেই ডরোথির সাথে কথা বলতে থাকে। কিন্তু হঠাৎ করেই বাইক স্টার্ট দিয়ে ছোট্ট ডরোথিকে তুলে নেয় ফ্রান্সিস, তার ভাইও ছুটে গিয়ে দাদার পিছনে বসে পরে। রোজি বাধা দিতে গেলে ফ্রান্সিসের ভাই তার হাত মুচড়ে দেয় ও মাটিতে ফেলে দেয় ফলে যথেষ্ট আঘাত পায় রোজি।
এরপর সে কোনোরকমে ছুটে এসে বাড়িতে মাকে বোঝাতে চেষ্টা করে ঘটনাটি, অসহায় এমিলি ছুটে যায় ঘোলা থানায়, কিন্তু সেখানে ভাষা সমস্যায় হয়তো ঘটনার গুরুত্ত্বই বুঝতে পারে নি পুলিশ, কোনো এফআইআর হয় না বলে এমিলির অভিযোগ। অসহায় এমিলি এরপর যোগাযোগ করে আইনজীবী পৃথ্বীশ গাঙ্গুলির সঙ্গে, পৃথ্বীশ বাবু কালবিলম্ব না করে এমিলির যোগাযোগ করিয়ে দেন মানবাধিকার কাউন্সিলের পশ্চিমবঙ্গ চ্যাপ্টারের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর জয় ভট্টাচার্যের সঙ্গে। একটি মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানির গুরুত্ত্বপূর্ন পদের দায়িত্ত্ব সামলানো জয়বাবু এরপরই যোগাযোগ করেন পুলিশের উচ্চমহলের কর্তাদের সাথে, সেখান থেকে যোগাযোগ করা হয় ঘোলা থানায়। ঘটনার গুরুত্ত্ব বুঝে নড়েচড়ে বসে পুলিশ, মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন ধরে খোঁজ মেলে ফ্রান্সিসের। সবকাজ ফেলে জয় ভট্টাচার্য্য বাবু নিজে ছুটে যান ঘোলা থানায়। এরপর পুলিশের সহায়তায় রাত প্রায় ১০ তা নাগাদ ফ্রান্সিস কার্যত মুহ্যমান ডরোথিকে নিয়ে ঘোলা থানায় আসে, সেখানে জয়বাবুর উপস্থিতিতে ছোট্ট ডরোথি খুঁজে পায় তার মাতৃক্রোড়। এইভাবেই মানবাধিকারকে বারবার ফিরিয়ে দিন মাননীয় শ্রী জয় বাবু, এগিয়ে চলুন। প্রিয়বন্ধু বাংলার ট্রাফ থেকে সমস্ত রকমের শুভকামনা রইলো।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!