এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > আজই কি ধামাকা দেবে কেন্দ্রীয় এজেন্সি? মন্ত্রীকে নিয়ে বিস্ফোরক শুভেন্দু!

আজই কি ধামাকা দেবে কেন্দ্রীয় এজেন্সি? মন্ত্রীকে নিয়ে বিস্ফোরক শুভেন্দু!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-দিল্লির ঘটনার পর কিছুটা হলেও চাপে রয়েছে এই রাজ্যের শাসক দল। তারা বুঝতে পারছে যে, কেন্দ্রীয় এজেন্সি রং না দেখেই পদক্ষেপ নিচ্ছে। তাই চেঁচামেচি করে কোনো লাভ নেই। তাদের ভয় আরও বেড়ে গিয়েছে, যখন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী গ্রেফতার হওয়ার পরের দিনেই রাজ্যের বেশ কিছু জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে ইডি। যার মধ্যে অন্যতম রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা। তার বাড়িতেও সকাল থেকে তল্লাশি চালানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। সকলেই তাকিয়ে রয়েছেন কখন এই তল্লাশি শেষ হয় এবং ইডি একটা সুখবর দেয়। কি হবে, তা ভবিষ্যৎ বলবে। কিন্তু চন্দ্রনাথ সিনহার বাড়িতে কেন্দ্রীয় এজেন্সি পৌঁছে যাওয়ার পরেই আজ শুভেন্দু অধিকারী যে কথা বললেন, তা কিন্তু অত্যন্ত মারাত্মক। তার এই বক্তব্যের পর নানা মহলে জল্পনা তৈরি হয়েছে। তাহলে কি দিল্লির পর বাংলাতেও বড় খেলা হতে চলেছে? কেষ্ট মণ্ডলের জেলায় এবার কি আবার কোনো রাঘববোয়াল ধরা পড়বেন?

প্রসঙ্গত, এদিন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার বাড়িতে সাত সকালে পৌঁছে যান ইডি আধিকারিকরা। তবে তখন মন্ত্রী বাড়িতে না থাকলেও, পরবর্তীতে তাকে তলব করা হয়। অন্যদিকে বাইরে যাতে কোনো বিশৃঙ্খলা না হয়, তার জন্য আগে থেকেই তৎপর কেন্দ্রীয় বাহিনী‌। গোটা বাড়ি ঘিরে ফেলা হয়েছে এই বাহিনী দিয়ে। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, কখন কি হয়! আর এসবের মাঝেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে এই বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন সাংবাদিকরা। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “এদেরকে শুধু তল্লাশি করলে হবে না। কেষ্ট মন্ডলের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিয়েছে। ওর ভাগ ছিল। মানুষ চাইছে এরা যেন বাইরে না থাকে।” একাংশের মতে, দিল্লিতে কেন্দ্রীয় এজেন্সি যে পদক্ষেপ নিয়েছে, বাংলাতে তার প্রভাব কবে পড়বে, তার দিকে তাকিয়ে রয়েছেন অনেকেই। বাংলার মানুষ অনেক ভরসা নিয়ে কেন্দ্রীয় এজেন্সির ওপর ভরসা করছেন। কিন্তু তারা একের পরে হেভিওয়েটদের বাড়িতে গিয়েছেন, তল্লাশি করেছেন।

তবে দিনের শেষে কারওর বিরুদ্ধে তেমন কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেননি। দুই একজন বড় মাপের মাথাকে গ্রেফতার হয়তো করা হয়েছে। কিন্তু আসল মাথা কবে জেলে যাবে, তার দিকে তাকিয়ে রয়েছেন সকলে। আর এসবের মধ্যেই রাজ্যের মন্ত্রীর বাড়িতে এজেন্সির পৌঁছে যাওয়া এবং এখনও পর্যন্ত সেখান থেকে কেন্দ্রীয় এজেন্সির আধিকারিকরা না বেরোনোর ফলে শুভেন্দু অধিকারী যে কথা বললেন, তা যদি বাস্তব হয়, তাহলে তৃণমূলের মাথায় লোকসভার নির্বাচনের সময় বড়সড় বাজ পড়তে পারে বলেই মনে করছেন একাংশ।

পর্যবেক্ষকদের মতে, যে পরিমাণ দুর্নীতি এই রাজ্যে হয়েছে, তাতে কেন এখনও পর্যন্ত মাথারা ধরা পড়ছে না, সেটাই তো বড় প্রশ্ন। তবে দিল্লির চ্যাপ্টার ক্লোজ করার পর হয়ত এবার বাংলা নিয়ে তৎপরতা দেখাতে শুরু করেছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। আর তারা সময় নষ্ট করতে চাইছে না। সকাল থেকে যেভাবে মন্ত্রীর বাড়িতে কেন্দ্রীয় এজেন্সির আধিকারিকরা পৌঁছে গিয়েছেন এবং এখনও পর্যন্ত সেখানে রয়েছেন, তাতে চিন্তা বাড়ছে অনেকের মধ্যেই। সকলের একটাই বক্তব্য আর তল্লাশি করে ছেড়ে দেওয়া নয়, যাদের বাড়িতে এজেন্সি পৌঁছে যাচ্ছে, তারা প্রত্যেকেই চাকরি বিক্রি করেছেন। তাই এবার তাদেরকে ঘাড় ধরে জেলের ভেতরে ঢোকানো উচিত। তা না হলে সোনার বাংলা থেকে কোনোভাবেই দুর্নীতিকে সমূলে উৎপাঠিত করা যাবে না। শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!