মুখ্যমন্ত্রীর অনুমতির অপেক্ষায় যুবরাজ, একইভাবে আটকাতে চান বিজেপির রথের চাকা জাতীয় রাজ্য November 3, 2018 অসমে বাঙালি হত্যার প্রতিবাদে বিজেপিতে তুলোধানা করতে পথে নামল তৃণমূল। মাত্র একদিনের নোটিশে আগামী মাসের বিজেপির প্রস্তাবিত রথযাত্রাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কোলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় অসমের ঘটনার প্রতিবাদ মিছিল করল শাসকদল। তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এই মিছিলে উপস্থিত ছিলেন দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি, সর্বভারতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েন, সংসদ সদস্য সুখেন্দুশেখর রায়, মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম প্রমুখরা। যাদবপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে হাজরা মোড় পর্যন্ত মিছিলের পর একটি জনসভা হয়। সেখান থেকেই তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় প্রতিবাদের সঙ্গে প্রতিরোধ কর্মসূচিরও ডাক দেন। মুখ্যমন্ত্রী অনুমতি দিলে আগামী মাসে বিজেপি রথের চাকা এক চুলও নড়াতে পারবে না,জনসভা থেকেই কড়া হুঁসিয়ারী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এর পাশাপাশি, অসমের তিনসুকিয়া হত্যাকান্ডে বিজেপির বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করার দাবীও জানান তিনি। অসমের তিনসুকিয়ায় গনহত্যার ঘটনার পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজেপি সরকারের তীব্র নিন্দা করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তরবঙ্গ থেকে নির্দেশ দেন প্রতিবাদ কর্মসূচির। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনেই এদিন বিজেপি বিরোধী প্রতিবাদ মিছিল করে শাসকদল। সভা থেকেই বিজেপি ধর্মীয় বিভাজন আশ্রিত রাজনীতির তীব্র সমালোচনা করে তৃণমূল। এনআরসি’র নাম করে বাঙালিদের উপর তীব্র অত্যাচার করছে অসমের বিজেপি সরকার,যার ভয়াভয় পরিনতিতে তিনসুকিয়াতে ৫ টি নিরীহ বাংলাভাষীর খুনের ঘটনা হল। এই গনহত্যা সিপিএমের নন্দীগ্রাম ও নেতাইকে লজ্জা দেবে বলেই মনে করছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে পার্থবাবু মঞ্চ থেকে গর্জে উঠে জানালেন,”বিভাজনের রাজনীতি বিজেপির অস্ত্র। তারা মানুষকে ধর্ম, জাতপাতের নামে ভাঙতে চায়। এনআরসিকে নিয়ে অসমিয়া-বাঙালি বিভেদ তৈরির লক্ষ্যেই ওই গণহত্যা সংঘটিত করা হয়েছে।” পাশাপাশি দাবী করলেন, তৃণমূল এ ধরনের ঘৃণ্য রাজনীতি করে না। তৃণমূল সম্প্রীতিতে বিশ্বাস করে। সঙ্গে এটাও জানালেন,এখন শুধু প্রতিবাদ করলেই হবে না,সময় এসেছে প্রতিরোধেও। একই সুরে সুর মিলিয়ে তৃণমূল যুব নেতাও বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে প্রতিবাদের পাশাপাশি প্রতিরোধ কর্মসূচির ডাক দেন। তৃণমূলের অসম রাজ্য কমিটির পর্যবেক্ষক ফিরহাদ হাকিম অসমের বাঙালিদের পাশে তৃণমূল সবসময় থাকবে বলেই আশ্বাস দিলেন। সঙ্গে এটাও জানালেন,অসমের বাঙালিদের মানবাধিকার যেভাবে লঙ্ঘিত হচ্ছে,তা দেখে চুপ করে বসে থাকবে না তৃণমূল। উল্লেখ্য,আসন্ন লোকসভার জন্য দলীয় প্রচার কর্মসূচির উদ্দেশ্যে আগামী মাসে রাজ্য জুড়ে রথযাত্রা করার পরিকল্পনা রয়েছে বিজেপির। সেই প্রস্তুতি নিয়ে চূড়ান্ত ব্যস্ততা রয়েছে বিজেপিশিবিরে। রাজ্যের বিরোধী কংগ্রেস-বামেদের পাশাপাশি শাসকদল তৃণমূলও বিজেপির ওই রথযাত্রা নিয়ে চরম সংশয় রয়েছে। এছাড়া জানুয়ারীর শেষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বাংলা এসে বিগ্রেড সমাবেশের মাধ্যমে বিজেপির সংগঠনকে শেষ মুহূর্তে আরো পোক্ত করার বার্তা দিয়ে যাবেন। কিন্তু বিজেপি যে সেই কর্মসূচির পথ বাংলায় যে সহজ হবে তা ভালোমতোই এদিন বুঝিয়ে দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর অনুমতি মিললেই বিজোপির রথের চাকা রুদ্ধ করতে তৃণমূল তৎপর হবে,এমনটাই হুঁসিয়ারী দিলেন তৃণমূলের যুবনেতা। বললেন,তিনসুকিয়ার নিহত হিন্দুদের পাশে দাঁড়াতে এদিন পথে নেমেছিল মুসলমান সম্প্রদায়ও। আবার রাজস্থানে কাজ করতে গিয়ে আবরাজুলের খুনের পর হিন্দুরাও রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করেছিল। ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে এই উদাহরণ সামনে রেখে বিজেপিকপ বুঝিয়ে দিতে চাইলেন তৃণমূল সরকারের বাংলা সম্প্রীতির বাংলা। এখানে কোনো বিভেদের রাজনীতি চলে না। এই যুক্তিকে সামনে রেখেই অসমের ঘটনার জন্য সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে তদন্তের দাবী করলেন তিনি। স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন,এই ঘটনার জন্য সিবিআই তদন্তের কোনো প্রয়োজন নেই। আসলে সিবিআই-এর প্রসঙ্গ টেনে কেন্দ্রীয় সরকারকেই সুযোগ বুঝে কাটা ঘাঁয়ে নুনের ছিটা দিলেন তিনি। আপনার মতামত জানান -