নেই স্বাস্থ্যবিধি!স্কুলের পোশাকে হাজির খুদে পড়ুয়ারা! TMCP -এর অনুষ্ঠান ঘিরে তীব্র বিতর্ক! তৃণমূল বর্ধমান রাজনীতি রাজ্য August 29, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গতকাল ২৮ শে আগষ্ট দিনটি ছিল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে আয়োজন করা হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর ভার্চুয়াল সভার। এই সভায় কাল দুপুরে বক্তব্য রেখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের স্থানে এই সভার আয়োজন নিয়ে কাল শাসকদলের ছাত্র পরিষদের প্রস্তুতি ছিল তুঙ্গে। গতকাল পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া শহরের সংহতি মঞ্চ এরকমই একটি বড় পর্দায় মুখ্যমন্ত্রীর বক্তৃতার আয়োজন করা হয়েছিল। করোনার স্বাস্থ্যবিধি মেনে সভা কক্ষে প্রবেশের পূর্বে বসানো হয়েছিল স্যানিটাইজার টানেল, এছাড়া হল ঘরের ভেতরেও যথেষ্ট দূরত্ব রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। একটি চেয়ার বাদ দিয়ে দর্শকদের বসার অনুমতি দেয়া হয়েছিল। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে গতকাল দুপুরে যখনই বড় পর্দায় মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য ভেসে আসে, সে সময়ই অসংখ মানুষের জমায়েতে ভোরে ওঠে সভা কক্ষ।আর যা তা থেকে করোনা সংক্রমণ ছড়াতে পারে বলে অভিযোগ বিরোধীদের। গতকালের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি রাসবিহারী হালদার, রাজ্য তৃণমূলের অন্যতম মুখপাত্র দেবু টুডু, কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়, দাঁইহাট পুরসভার প্রশাসক শিশির মণ্ডল প্রমুখ নেতৃত্বরা। হলঘরে প্রবেশকালে সকলকে স্যানিটাইজ়ার টানেলের মধ্যে দিয়ে হলঘরে প্রবেশ করা হয়েছিল। সেইসঙ্গে একটি করে চেয়ার ফাঁকা রেখে সকলকে বসানো হয়েছিল। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণ শুরু হতেই সমস্ত নিয়ম শিকেয় ওঠে। ভিড় উপচে পরে সভা স্থলে। সমস্ত চেয়ারে লোক বসানো হয়। সেইসঙ্গে অনেকেই মাস্ক খুলে তা চোয়ালে ঝুলিয়ে রাখেন। যদিও, শাসক দলের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে পূর্ব বর্ধমান জেলা যুব সভাপতি রাসবিহারী হালদার ও সংশ্লিষ্ট জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন সাদ্দাম হোসেন দাবি করেছেন, ” স্বাস্থ্য-বিধি পুরোপুরি মানা হয়েছে। প্রত্যেকের মুখে মাস্ক ছিল। রীতিমতো স্যানিটাইজ করেই হলে ঢোকানো হয়েছে। ’’ আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তবে গতকালের এই লোকসমাগমের ব্যাপারে বিরোধীদল বিজেপি অভিযোগ তুলেছে শাসকদলের প্রতি। এ প্রসঙ্গে জেলা বিজেপি সভাপতি কৃষ্ণ ঘোষে শাসকদলের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে বলেছেন, ‘‘তৃণমূল দলীয় কর্মসূচির নামে গোটা বাংলায় হাজার হাজার লোক জমায়েত করে করোনা ছড়াচ্ছে। এতে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়বে।’’ শাসকদল অবশ্য জানিয়েছে যে, তারা সমস্ত স্বাস্থবিধী মেনেই অনুষ্ঠান পরিচালনা করেছিলেন, বিরোধীরা অনর্থক তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে। অন্যদিকে গতকাল পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার সাহেবগঞ্জ১ পঞ্চায়েতের অধীনস্থ শালকুনি গ্রামে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পক্ষ থেকে এ রকমই একটি সভার আয়োজন করা হয়েছিল। যেখানে উপস্থিত ছিলেন পূর্ব বর্ধমানের ভাতার তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি বাসুদেব জস ও সেইসঙ্গে বেশকিছু স্থানীয় তৃণমূল নেতাকর্মীরা। তৃণমূল সূত্র থেকে জানানো হয়েছে যে, এই ভার্চুয়াল সবার পরে স্থানীয়দের ছাত্রছাত্রীদের হাতে মাস্ক, স্যানিটাইজার, চকোলেট, পেন তুলে দেবার কথা ছিল। সাহেবগঞ্জ অঞ্চল যুব সভাপতি সায়ন ঘোষ এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, এই অনুষ্ঠানের শেষে প্রত্যেক ছাত্র ছাত্রীর বাড়ি গিয়ে এই উপহার গুলো পৌছে দেবার কথা ছিল। কিন্তু বেশ কিছু ছাত্র ছাত্রী অত্যন্ত উৎসাহের ফলে বিদ্যালয়ের পোশাক পড়ে উপস্থিত হয় ছাত্র পরিষদের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়। অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের এই সমাগমের ফলে করোনা সংগ্রমন ঘটতে পারে বলে অনেকে আশঙ্কা করছেন। আপনার মতামত জানান -