এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > হরিয়ানা নিয়ে বাড়ছে জল্পনা! দিল্লি গেলেন দুষ্মন্ত, কিন্তু কার হাত ধরতে? বিজেপি না কংগ্রেস?

হরিয়ানা নিয়ে বাড়ছে জল্পনা! দিল্লি গেলেন দুষ্মন্ত, কিন্তু কার হাত ধরতে? বিজেপি না কংগ্রেস?


নির্বাচনের আগে ৯০ আসনের হরিয়ানা নিয়ে বিজেপির দাবি ছিল – আবকি বার, ৭৫ পার! কিন্তু মনোহরলাল খাট্টা যে নরেন্দ্র মোদী নন তা প্রমাণিত।ফলে নরেন্দ্র মোদী ‘আবকি বার, ৩০০ পার’ বলে পুনরায় ৩০৩ আসন নিয়ে ক্ষমতায় এলেও, হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রীকে থমকে যেতে হয়েছে ৪০-এই! সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় ৪৬ জন বিধায়ক নেই তাঁর হাতে!

এই পরিস্থিতিতে, কার্যত সকাল থেকে ঘরে খিল এঁটে বসেছিলেন তিনি! এদিকে, নতুন দল খুলে কার্যত চমক লাগিয়ে দিয়েছেন দুষ্মন্ত চৌটালা। তাঁর জেজেপি হরিয়ানা থেকে ১০ আসন তুলে নিয়ে কার্যত কিং মেকার হয়ে গেছেন। তাঁর সমর্থন যেদিকে – সরকার গঠন করবে তারাই! অন্তত দুপুর পর্যন্ত চিত্রটা তেমনই ছিল!

কংগ্রেসও বিজেপিকে আটকাতে, পিছন থেকে সমর্থন করে দুষ্মন্ত চৌটালাকে মুখ্যমন্ত্রী করে দেওয়ার স্বপ্ন দেখছিল। সবাই যখন হারিয়ানাতে ‘কুমারস্বামী ২.০’ পর্ব দেখবেন বলে ভাবছিলেন, তখনই দ্রুত পট পরিবর্তন হতে থাকে! বিজেপি নিজেদের আসন সংখ্যা ৪০-এ নিয়ে চলে যায়। অন্যদিকে কংগ্রেস নেমে আসে ৩১-এ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অর্থাৎ, সরকার গড়তে বিজেপির ৬ বিধায়ক লাগলেও, কংগ্রেসের লাগবে ১৫ বিধায়কের সমর্থন। সেক্ষেত্রে শুধুমাত্র দুষ্মন্ত চৌটালার সমর্থন মিললেই হবে না – মেলাতে হবে আরো অনেক জটিল অঙ্ক। কেননা, কংগ্রেস ও জেপিপি মিলে পৌঁছাচ্ছে ৪১ এ – যা সংখ্যাগরিষ্ঠতা থেকে আরও ৫ কম। এই পরিস্থিতিতে দিল্লি রওনা হন স্বয়ং দুষ্মন্ত চৌটালা।

আর এরপরেই নিজের জয়ের সার্টিফিকেট তুলেই, তড়িঘড়ি দিল্লি রওনা হয়ে যান কংগ্রেস নেতা ভূপিন্দর সিং হুডাও। আর তাই সবমিলিয়ে জল্পনা চরমে – দুষ্মন্ত চৌটালা দিল্লি গেলেন, আদতে কোন পক্ষের হাত ধরতে? তবে এখনও পর্যন্ত সূত্রের খবর, তিনি প্রথমে গিয়ে দেখা করবেন জেলবন্দী পিত অজয় চৌটালার সঙ্গে।

তাঁর সঙ্গে কথা বলেই পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করবেন তিনি। তবে, হরিয়ানার দীর্ঘদিনের পোড়খাওয়া রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, কংগ্রেস নয়, দুষ্মন্ত চৌটালা হাত মেলাবেন বিজেপির সঙ্গেই। কেননা, কংগ্রেসের সঙ্গে এখন হাত মিলিয়ে কোনোরকমে সরকার গড়লেও – পরে তা কর্ণাটকের মত হাত থেকে বেরিয়ে যেতে পারে।

তাছাড়া, আঞ্চলিক দলগুলি সাধারণ, কেন্দ্রের শাসকদলের সঙ্গেই থাকতে চায়। ফলে, সবমিলিয়ে তাঁর গেরুয়া শিবিরে মিলে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। তবে, এত সহজে হরিয়ানা হাতের বাইরে যেতে দিতে রাজি নয় কংগ্রেসও। তাই দুষ্মন্ত চৌটালার সঙ্গে একটা বৈঠক করে – শেষ মরিয়া চেষ্টা হবেই হাত শিবির থেকে বলে মনে করা হচ্ছে। সবমিলিয়ে ক্রমশ জমজমাট হচ্ছে হরিয়ানার রাজনীতি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!