পঞ্চায়েতের আগেই ‘নজিরবিহীন’ সন্ত্রাস ক্রমশ কাছে আনছে বিজেপি-বামফ্রন্টকে রাজ্য April 5, 2018 আদর্শগত ভাবে দু দলের অবস্থান আলাদা হলেও রাজ্যে শাসক দলের বিরোধীতায় কোনোও কোনো সময় রাজ্যের বাম ও গেরুয়া শিবির একই ভাষায় কথা বলে। মঙ্গলবার কোচবিহারের জেলা বামফ্রন্টের বৈঠকে স্থির হয় যে যদি প্রশাসন পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে না পারে তবে তারা বুধবার থেকে জেলা শাসকের দফতরে বিক্ষোভ দেখাবে। এদিন সমগ্র জেলায় হয়ে চলা অস্থির পরিবেশ হিংসা , উত্তেজনার ঘটনাকে বিষয় করে জেলা শাসকের সঙ্গে দেখা করতে যান দুই দলের প্রতিনিধিরা। কিন্তু নির্বাচনী আচরণ বিধির অজুহাতে জেলা শাসক তাদের সঙ্গে দেখা করেননি। পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষিত হওয়ার পর থেকেই জেলায় বিরোধী দলের কর্মীদের হুমকি, মারধর মনোনয়ন তুলতে বাধা ইত্যাদির মতো প্রভূত অভিযোগ উঠেছে। গতকাল তুফানগঞ্জের বলরামপুরে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করতে গিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের বাধার মুখে পরেন বলে অভিযোগ সিপিএম নেতা তথা প্রাক্তন বিধায়ক তমসের আলী্র। এই ঘটনার কথা জানিয়ে তুফানগঞ্জ থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে পুলিশ তাদের অসহযোগীতা করে এবং অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে বলে বাম শিবির সূত্রে জানা গিয়েছে। একইভাবে এদিন হলদিবাড়িতে বামেরা মনোনয়ন জমা দিতে গেলে, তাঁদের বাঁধা দেয় তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা। পরে বাম কর্মীরা হলদিবাড়ি থানায় বিক্ষোভ দেখান। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে একই ঘটনা ঘটে শীতলকুচিতে। দুই বিজেপি কর্মী মনোনয়ন তুলতে গেলে তাঁদের কাগজপত্র ছিঁড়ে দিয়ে মাধরের অভিযোগ উঠছে। কোচবিহার-১ ব্লকে মনোনয়ন তুলতে গিয়ে হামলার স্বীকার হয়েছে বিজেপি কর্মী উৎপল অধিকারী-সহ আরো অনেকে। মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে জেলায় এই বিচ্ছিন্ন ঘটনার কথা জেলা শাসক ও জেলার রিটার্নিং অফিসার কৌশিক সাহা কে জানাতে সাক্ষাৎ করতে গেলে তাঁরা নির্বাচনী আচরণ বিধির কারণে সাক্ষাৎ অসম্মত হয়। রাজ্যের বাম শিবির এদিন বললেন গত নির্বাচনে অবধি রাজনৈতিক দলগুলির জেলা শাসকের সঙ্গে দেখা করে কথা বলার সুযোগ ছিল। সিপিএম নেতা তারিণী রায় বললেন, ”জেলাতে নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পরেও কোনও সর্বদলীয় বৈঠক ডাকা হয়নি। জেলা পুলিশ সুপারের ভূমিকাও ঠিক নয়। তার আরও দাবি পুলিশ সুপারের মোবাইলে ফোন করা সত্বেও ফোন ধরছেন না।” জেলার বাম দলীর কর্মীরা এদিন বললেন এই পরিস্থিতি আগামীকাল অবধি অপরিবর্তিত থাকে তাহলে বাম নেতৃত্ব জেলা শাসকের দফতের সামনে ধর্নায় বসবেন। একই কথা বললেন জেলার বিজেপি নেতৃত্বও। বিরোধীদের বিক্ষোভ কর্মসূচী প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বললেন, ”বিরোধীরা কোথাও প্রার্থী খুঁজে না পেয়ে এই সব অভিযোগ করছে।” আপনার মতামত জানান -