করোনা থেকে জি নিট! কলকাতায় নেমেই মমতাকে আক্রমণের ঝড়ে কোণঠাসা কৈলাসের! জানুন বিস্তারিত কলকাতা জাতীয় রাজ্য August 30, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র নেই, এই অভিযোগ বিজেপির দীর্ঘদিনের। আর এই অভিযোগকে শিখণ্ডী করেই পশ্চিমবঙ্গে পরিবর্তন আনার পক্ষে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন বিজেপি নেতারা। সম্প্রতি কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের সঙ্গে রাজ্যের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের দ্বৈরথ চরম আকার নিয়েছে যেখানে। মূলত করোনা আবহের মধ্যে জি এবং নিট পরীক্ষা করার কথা কেন্দ্রের পক্ষ থেকে বলা হলেও, তার চরম বিরোধিতা করতে শুরু করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বর্তমান পরিস্থিতিতে যাতে পরীক্ষা কোনোভাবেই নেওয়া না হয়, তার জন্য কেন্দ্রের কাছে আর্জি করেছেন তিনি। পাশাপাশি দলীয় স্তরে এর জন্য নিজের ছাত্র সংগঠনকে দিয়ে প্রতিবাদ করার নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। স্বাভাবিকভাবেই গোটা ঘটনায় বিজেপি বিরোধিতায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুর যে আরও চওড়া হতে চলেছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আর এমত পরিস্থিতিতে এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাল্টা কটাক্ষ করলেন বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়। সূত্রের খবর, এদিন নেতাজি সুভাষ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেমে বাংলার হিংসা নিয়ে সরব হয়েছেন এই বিজেপি নেতা। তিনি বলেন, “হিংসায় বিশ্বাসী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যে পরবর্তী নির্বাচনের ভিত্তিই হবে বাংলার মানুষ হিংসা চান, নাকি এর থেকে মুক্তি চান! রাজ্যে পরবর্তী সরকার হবে বিজেপির। যেসব আধিকারিক তৃণমূলের সঙ্গে মিলে বিজেপি নেতাদের হত্যায় মদত দিচ্ছেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।” আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্প্রতি কেন্দ্র বিরোধিতা নিয়েও এদিন কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে প্রশ্ন করা হয়। যার উত্তরে তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাত্রদের ভালো বুঝতে পারছেন না। বাংলা যেখানে শিক্ষায় এগিয়ে ছিল, সেখানে এখন পিছিয়ে পড়েছে। কারণ বর্তমান সরকারের শিক্ষা নিয়ে, কোয়ালিটি এডুকেশন নিয়ে কোনো ইচ্ছা নেই। তারা শুধুমাত্র রাজনীতি করতে চাইছেন। এই পরীক্ষায় 90% ছাত্র-ছাত্রীর মতামত রয়েছে। ওড়িশায় বিজেপি সরকার নেই। সেখানকার সরকার পরীক্ষার্থীদের জন্য থাকা এবং পরীক্ষাকেন্দ্র পৌঁছানোর বন্দোবস্ত করেছে। কিন্তু বাংলার সরকার তা পারছে না। বাংলার ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কোনো চিন্তা নেই।” বিশ্লেষকরা বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করোনা আবহের মধ্যে ছাত্র-ছাত্রীদের স্বার্থ সুরক্ষিত রাখতেই এই পরীক্ষা না নেওয়ার কথা বলেছেন বলে যুক্তি দিতে শুরু করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এমনকি গোটা ঘটনাকে বিজেপি বিরোধীতার অন্যতম রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে বেছে নিয়েছিল শাসকদল। যার ফলে অনেকটাই চাপে পড়েছিল ভারতীয় জনতা পার্টি। কিন্তু এবার বাংলার সরকার পরীক্ষার ব্যাপারে আপত্তি করলেও, ওড়িশায় সরকার ছাত্র-ছাত্রীদের পাশে থেকে পরীক্ষা নেওয়ার জন্য প্রস্তুত বলে জানিয়ে দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারি শিক্ষানীতি নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন তুলে দিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়। আর কৈলাসবাবুর এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস অনেকটাই চাপে পড়ল বলে দাবি রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। এখন এই গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সত্যি সত্যি পরীক্ষার ব্যাপারে বিরোধিতা জিইয়ে রাখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার, নাকি সুর নরম করে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -