কাকদ্বীপের নির্মীয়মাণ সেতু বিপর্যয়ের পিছনে উঠল বিস্ফোরক অভিযোগ উত্তরবঙ্গ রাজ্য September 27, 2018 রাজ্যে একের পর এক সেতু ভেঙেই চলেছে। কোথাও ত্রুটি তো কোথাও বিচ্যুতির অভিযোগ উঠলেও এবার দক্ষিন 24 পরগনার কাকদ্বীপের কালনাগিনী খালের ওপর উড়ালপুল তৈরির কাজে ভয়ঙ্কর অভিযোগ তুললেন বাসিন্দারা। কিন্তু কি সেই ভয়ঙ্কর অভিযোগ? একাংশের দাবি, সেতুতে গার্ড বসানো সময় নিম্নমানের জিনিস দেওয়া হয়েছিল। অভিযোগ, সেই সময় সেতু সংলগ্ন বাসিন্দারা প্রতিবাদ করলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। শুধু তাই নয়, এই ঘটনায় বাস্তুকারদের নজড়দারিতে গাফিলতি ছিল বলে মনে করছেন অনেকে। কিন্তু কেন এরকমটা হবে? তাহলে কি সেই কাজ তৈরির জন্য নিযুক্ত ঠিকাদার সংস্থা সিভিল কন্সস্ট্রাকশন প্রাইভেট লিমিটেড নিযুক্ত ব্যাবসায়ীদের ঠিকমত নির্দেশ দেয়নি সুন্দরবন উন্নয়ন বিষয়ক দপ্তর? জানা গেছে, গার্ডার বসানোর সময় সেই ঠিকাদার সংস্থাকে দপ্তরের বাস্তুকারদের সাথে সমন্বয় রক্ষা করার কথা বলা হলেও তারা তা মানেন নি। এমনকী এই গার্ডার বসানোর 25 দিন পর তার নীচের পাটাতন সরাতে বলা হলেও তা করেনি সেই ঠিকাদার সংস্থা। তবে এই সেতুতে গার্ডার বসানোর আগে পিলার ভার বহন করতে পারবে কি না তা 2016 সালে একবার এবং 2018 সালে দুবার পরীক্ষা করা হয়েছিল। কিন্তু এই পরীক্ষা নিরীক্ষার পরও সেখানে কোনোও ত্রুটি না বেরোনোয় চলতি মাসের 10 এবং 11 সেপ্টেম্বর মোট তিনটি গার্ডার বসানো হয় সেই রামকৃষ্ন গ্রাম পঞ্চায়েতের সেতুর সামনের অংশে। কিন্তু এরপরেই ঘটে বিপর্যয়। সেতুর সাথে গার্ডারের জায়গাগুলি ঠিকমত বসার আগেই নীচ থেকে সেই পাটাতন সরে যাওয়ায় ভেঙে পড়ে এটি। এদিন এই প্রসঙ্গে রাজ্যের সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী মন্টুরাম পাখিরা বলেন, “প্রাথমিক তদন্তের পর এই তথ্যই পাওয়া গেছে। এই ব্যাপারে একটি উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটিও গঠন হয়েছে। সমস্ত কিছু তদন্ত করে দেখা হবে। ওই সংস্থাকে রেয়াত করা হবে না।” তবে এতে উড়ালপুলের মূল জায়গার কোনোও ক্ষতি হয়নি বলে জানান মন্ত্রী। কিন্তু মন্ত্রী এহেন দাবি করলেত তা মানতে নারাজ বিরোধীরা। ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে একের পর এক সেতূ বিপর্যয়ে এদিন সরকারকে কটাক্ষ করে বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “পোস্তা, শিলিগুড়ির পর তৃতীয় দফার আরও একটি সেতু ভেঙে পড়ল। এবার সরকাটাও ভেঙে পড়বে।” নিম্নমানের জিনিস এবং চরম দুর্নীতির জেরেই এই ঘটনা ঘটছে বলে দাবি এই বাম নেতার। এদিকে এই ঘটনায় এদিন রাজ্যের বিরুদ্ধে তোপ দেগে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র বলেন, “সরকার ও প্রশাসনে যে ঘূন ধরেছে এ তারই প্রমান।” অন্যদিকেঘুষ নিয়ে কাজ হলে এমনটাই হবে বলে জানান বিজেপির দক্ষিন 24 পরগনার জেলা সভাপতি অভিজিৎ দেস এবং রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সব মিলিয়ে এবার কাকদ্বীপের নির্মীয়মান সেতু বিপর্যয়ে প্রবল চাপে রাজ্য। আপনার মতামত জানান -