এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামীদের ভুয়ো ড্রাগ কেস দেওয়া হবে বলে হুমকি ফোন? পুলিশে জমা পড়ল অভিযোগ

শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামীদের ভুয়ো ড্রাগ কেস দেওয়া হবে বলে হুমকি ফোন? পুলিশে জমা পড়ল অভিযোগ


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বাংলার রাজনৈতিক জগতের এখন অতি পরিচিত শব্দ। বিভিন্ন সময়ে শাসকদলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে বিরোধীরা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করছে তাঁরা। আর সেক্ষেত্রে হাতিয়ার হয়ে ওঠে আইনগত দিকটি। আইনের আড়ালে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করা হয় বলে দাবী রাজনৈতিক মহলের অনেকেরই। দীর্ঘদিন ধরেই বিরোধীরা রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছে বিভিন্ন সময়ে তাঁদের দলের কর্মীদের গাঁজা অথবা মাদকের কেস দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে চূড়ান্ত মানসিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন অভিযুক্তরা। এর আগে অধীর চৌধুরীও দীর্ঘদিন ধরে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করে এসেছেন।

তবে এবার পূর্ব মেদিনীপুরের দুর্গাচক থানার এক রাজনৈতিক কর্মী, যিনি শাসক দলের কর্মী হিসেবে পরিচিত, তিনি দাবি করেছেন তাঁকে রাজনৈতিক রেষারেষির কারণে শীঘ্রই মাদকের মামলায় ফাঁসানো হতে পারে। এরকমই তিনি খবর পাচ্ছেন বেশ কিছুদিন ধরে। ইতিমধ্যেই তিনি দুর্গাচক থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানা গেছে। ওই অভিযোগে উক্ত রাজনৈতিক কর্মীটি জানিয়েছেন, দীর্ঘ 11 বছর ধরে তিনি রাজনীতি করে আসছেন। তাঁর বিরুদ্ধে বর্তমানে কোন রকম ফৌজদারি মামলা নেই। পাশাপাশি তিনি আইন অমান্য করেননি কখনো। তাহলে কেন তাঁর বিরুদ্ধে এ ধরনের মামলার কথা উঠছে।

সম্প্রতি মিথ্যা মামলা নিয়ে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সরকার অর্থাৎ তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। টুইটের মাধ্যমে তিনি বলেছিলেন, পূর্ব মেদিনীপুর এবং অন্যত্র রাজনৈতিক বিরোধীদের মাদক মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে। তিনি এ প্রসঙ্গে যথেষ্ট উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। পাশাপাশি তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্য পুলিশ এবং স্বরাষ্ট্র দপ্তরকে উল্লেখ করে জানিয়েছিলেন এ ধরনের অপরাধ বন্ধ করতে হবে। অন্যদিকে এ ধরনের মিথ্যা মামলা প্রসঙ্গে জেলা পুলিশ সুপারদের দায়বদ্ধতা নিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। রাজ্যপালের ওই টুইট নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই আলোচনা চলছে রাজ্য রাজনীতিতে।

তবে হঠাৎ করে রাজ্যপাল কেন পূর্ব মেদিনীপুরের নাম করলেন তা নিয়ে কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে। কারণ, পূর্ব মেদিনীপুরের তৃণমূল সভাপতি হলেন সাংসদ ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শিশির অধিকারী। জেলায় রাজনৈতিকভাবে সবথেকে বড় নেতা রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। সেক্ষেত্রে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার রাজনৈতিক বিরোধী কারা তা নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। খুব স্বাভাবিকভাবেই নাম উঠে আসছে শুভেন্দু অধিকারীর। কারন বেশ কিছুদিন ধরেই শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তৃণমূলের দূরত্বের কথা সবার জানা। বর্তমানে শুভেন্দু অধিকারীকে তৃণমূলের প্রতীক ছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক মঞ্চে বক্তৃতা দিতে দেখা যাচ্ছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এই নিয়ে ইতিমধ্যে জেলা তৃণমূলের নেতারা শুভেন্দুর সমালোচনাতেও নেমেছেন। সুতরাং রাজনৈতিক মহলের মতে, রাজ্যপাল পূর্ব মেদিনীপুরের রাজনৈতিক বিরোধী বলতে শুভেন্দু অধিকারী বা তাঁর অনুগামীদের বোঝাতে চেয়েছেন। যদিও রাজ্যপাল পূর্ব মেদিনীপুরের সঙ্গে অন্যান্য এলাকার কথাও বলেছেন বলে জানা গিয়েছে। রাজ্যপালের সঙ্গেই এদিন পূর্ব মেদিনীপুরের রাজনৈতিক কর্মীর অভিযোগের মিল খুঁজছেন এই মুহূর্তে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। অনেকেই মনে করছেন, রাজনৈতিক বিরোধীদের জব্দ করার জন্য বিভিন্ন সময় দেখা গিয়েছে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে তাঁদের। বাংলাতেও এই ধারা অব্যাহত ছিল বাম শাসনের আমল থেকেই।

তৃণমূলে এই ধারা পরিবর্তন হবার আশা রেখেছিলেন অনেকেই। যদিও তা হয়নি বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে। তবে সর্বভারতীয় রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে এখনো প্রতিশোধমূলক প্রতিক্রিয়া নেওয়ার রীতি রয়েছে । বিভিন্ন রাজ্যে এবং কেন্দ্রের সরকারের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠেছে।তবে এই মুহূর্তে শুভেন্দু অধিকারী অনুগামীদের বিরুদ্ধে ভুয়ো কেস দেওয়া হবে বলে যে হুমকি ফোন এসেছে তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর শোরগোল উঠেছে।রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের অনেকেই মনে করছেন, রাজনৈতিক বিরোধিতা আগেও ছিল। আগামী দিনেও থাকবে।

কিন্তু বিরোধিতা করলেই তা ঠেকানোর জন্য যদি মিথ্যা মামলার আশ্রয় নেওয়া হয়, তাহলে রাজনৈতিক পরিবেশ আক্ষরিক অর্থেই কলুষিত হচ্ছে বলে ধরে নেওয়া হবে। প্রতিবাদের স্বর তাহলে হারিয়ে যাবে। রাজ্যে চলবে একনায়কতন্ত্র শাসন ব্যবস্থা।অন্যদিকে শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামীর বিরুদ্ধে ভুয়ো কেস দেওয়া নিয়ে এখনো পর্যন্ত শুভেন্দু অধিকারীর পক্ষ থেকে বা তৃণমূলের পক্ষ থেকে কোনো বিবৃতি জারি করা হয়নি। আপাতত এই ঘটনার রেশ কতদূর গড়ায়, সে দিকেই নজর থাকবে ওয়াকিবহাল মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!