এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ‘বহিরাগত’ পিকেই এখন তৃণমূলের সর্বেসর্বা? তবুও গেরুয়া নেতাদের ‘বহিরাগত’ বলে ডুবছে শাসকদল?

‘বহিরাগত’ পিকেই এখন তৃণমূলের সর্বেসর্বা? তবুও গেরুয়া নেতাদের ‘বহিরাগত’ বলে ডুবছে শাসকদল?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বাংলাকে পাখির চোখ করে ইতিমধ্যেই বিজেপি তরফে রণকৌশল তৈরি করা হচ্ছে। যেখানে সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে বিস্তার লাভ করা পাঁচ বিজেপি নেতাকে বাংলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আর তারপর থেকেই এই ঘটনাকে হাতিয়ার করে বিজেপিকে বাংলা দখল করতে বাইরের নেতাদের নিয়ে আসতে হচ্ছে বলে সরব হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। অর্থাৎ তারা বাঙালির ভাবাবেগকে উস্কে দিয়ে বিজেপি ক্ষমতায় আসলে বাংলার সংস্কৃতি রক্ষা করতে পারবে না বলে অভিযোগ করতে শুরু করেছে।

কিন্তু তৃণমূল যখন বিজেপির বহিরাগত পাঁচ নেতাকে নিয়ে আপত্তি জানাতে শুরু করেছে, তখন পাল্টা এই ব্যাপারে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। তাদের দাবি, দলের নেতারা দলকে সাফল্য পাওয়ার জন্য রাজ্যে আসতেই পারেন। কিন্তু প্রশান্ত কিশোরের মত বহিরাগতকে কেন তৃণমূল নিজেদের রাজনৈতিক পরামর্শদাতা করে এনেছে!

অর্থাৎ বিজেপি বাইরে থেকে তাদের দলীয় নেতাদের নিয়ে আসলে তৃণমূল যদি বাইরে থেকে কাউকে ভাড়া করে নিয়ে এসে সাফল্য পাওয়ার চেষ্টা করে, তাহলে তাতে দোষের কিছু নেই, এ কেমন কথা! এখন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। তবে বিজেপির পক্ষ থেকে যখন বহিরাগত প্রশান্ত কিশোরকে নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, তখন এই ব্যাপারে জবাব দিলেন রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু।

সূত্রের খবর, এদিন তৃনমূল ভবনের সাংবাদিক বৈঠকে ব্রাত্য বসু বলেন, “প্রশান্ত কিশোর কি কোনভাবে আমাদের দলের কমিটিতে আছেন? উনি কি জেলা কমিটি বা রাজ্য কমিটির সদস্য! ওনাকে কি কখনও দেখা গেছে যে, উনি তৃণমূলের পতাকা হাতে নিয়ে চলতে! তাহলে কেন প্রশান্ত কিশোরকে তৃণমূলের বহিরাগত করে ব্যাখ্যা দেওয়া হচ্ছে!”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে বাংলার ভাবাবেগকে উস্কে দিয়ে কেন্দ্রের ক্যাবিনেটে কোনো বাঙালি মন্ত্রী নেই বলেও দাবি করেন ব্রাত্য বসু। তিনি বলেন, “আমেরিকায় জো বাইডেন অবধি তার ক্যাবিনেটে বাঙালি রেখেছেন। কেন্দ্রে কোনো কোনো বাঙালি ক্যাবিনেট মন্ত্রিসভায় মন্ত্রীদের রেখে দিয়েছেন।” অর্থাৎ বিজেপি যখন বাংলাকে টার্গেট করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে, যখন তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিজেপিকে মোকাবিলা করার সবথেকে বড় অস্ত্র হিসেবে বেছে নেওয়া হচ্ছে বাংলায় বহিরাগতদের দাপটকে। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনাকে ইস্যু করে এখন তৃণমূল কংগ্রেস বিজেপিকে আরও চাপে ফেলতে উদ্যত হয়েছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

একাংশের মতে, ঠিক এই জায়গাটাতেই বিজেপির পক্ষ থেকে পাল্টা প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। যখন তাদের নেতারা দলকে সাফল্য পাওয়ানোর জন্য রাজ্যে আসছেন, তখন তা নিয়ে তৃণমূল প্রশ্ন তুলছে কেন! এক্ষেত্রে তৃণমূলের রাজনৈতিক পরামর্শদাতার দায়িত্ব নিয়েছেন প্রশান্ত কিশোর। কাজেই তিনিও তো বহিরাগত। তাই প্রশান্ত কিশোর তৃণমূলকে সাফল্য পাওয়ার জন্য রাজ্যে আসলে অসুবিধে নেই, অথচ বিজেপি নেতারা আসলে কিসের অসুবিধা!

কেন তাদেরকে বহিরাগত বলা হচ্ছে! তা নিয়ে তৃণমূলকে পাল্টা খোঁচা দিতে শুরু করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। সব মিলিয়ে 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে এখন “বহিরাগত রাজনীতি” নিয়ে উত্তাপ বাংলার পটভূমি। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!