এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > পুজো মিটলেই কি মমতার সরকারের উড়তে চলেছে ঘুম? বড়সড় জোড়া পদক্ষেপে জল্পনা বাড়ছে সর্বস্তরে

পুজো মিটলেই কি মমতার সরকারের উড়তে চলেছে ঘুম? বড়সড় জোড়া পদক্ষেপে জল্পনা বাড়ছে সর্বস্তরে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি হটমিক্স প্লান্ট মামলায় রাজ্য সরকারের উপরে জাতীয় পরিবেশ আদালত স্বস্তির বার্তা দিয়েছে বলে জানা গেছে। তাদের বক্তব্য অনুযায়ী সম্প্রতি জানা গেছে, হটমিক্স প্লান্ট মামলায় রাজ্য পূর্ত দপ্তর, কলকাতা পুরসভা এবং রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ সকলেই আদালতের কাছে হলফনামা জমা দিয়েছে। সেই সঙ্গে কলকাতা পুরসভার তরফের একটি রিপোর্টও জমা দেওয়া হয়েছে। আর সেই মতই সংগতি মূলক নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

যদিও পরিবেশবিদদের বক্তব্য অনুযায়ী, পরিবেশ আদালত যে বিধি নিষেধ নির্ধারণ করে দিয়েছিল, তার কোনোটাই মানছে না রাজ্য। বিভিন্ন জায়গায় পুরনো পদ্ধতিতেই রাস্তা তৈরি করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে রাস্তা সারানোর কাজেও এমনই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। যার ফলে বায়ুদূষণ কমানোর যে কর্মসূচি নিয়ে পরিবেশবিদরা মামলা করেছিলেন, তার কোনো সুরাহা হচ্ছে না বলেই জানিয়েছেন তারা।

সেই সঙ্গে তাদের কথায়, রাস্তা সারাই দেখলেই বোঝা যাচ্ছে পদ্ধতি আগের মতই আছে। তার কিছুমাত্র পরিবর্তন হয়নি। সেইসঙ্গে রাস্তা সারানোর পদ্ধতির ছবি তুলেও তা আদালতের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে। কিন্তু এখানেই তাঁদের একটাই প্রশ্ন উঠে এসেছে যে, যে পরিবেশের ক্ষতির কারণে মানুষের নিজের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে, সেখানে বারবার বলার পরেও কেনো ঠিকমত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বস্তুত, পরিবেশ দূষণের অন্যতম একটি কারণ হিসেবে রাস্তা সরানোকেই দায়ী করে কোর্টে মামলা করেছিলেন পরিবেশবিদরা। তাদের কথায় পাথরকুচি, বালি, চুন ও বিটুমিন দিয়ে রাস্তা তৈরীর জন্য যে মিশ্রণ তৈরি করা হয়, তা রাস্তার পাশেই আগুন জ্বালিয়ে মিশ্রণের কাজ চলে। যার ফলে ওই মিশ্রণ থেকে নির্গত কার্বন ডাই অক্সাইড এবং কার্বন মনোক্সাইড বাতাসে মিশে যায়।

যা কিনা পরিবেশ দূষণের অন্যতম উপাদান হিসেবে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যায় উঠে এসেছে। তাই পূর্ত দপ্তর এবং কলকাতা পুরসভার তরফ থেকেই পরিবেশবান্ধব পদ্ধতিতে রাস্তা বানানো হোক সেই অনুরোধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন পরিবেশবিদরা। আর সেই অনুরোধেই সম্মতি জানিয়েছে আদালত। যার প্রেক্ষিতে পামারবাজার এবং গড়াগাছা এই দুই হটপ্লান্টকে পরিবেশবান্ধব পদ্ধতিতে গড়ে তোলা হোক এই আদেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে আগামী ৯ই ডিসেম্বর পরবর্তী শুনানির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানা গেছে।

এই জোড়া পদক্ষেপের দিকে তাকিয়েই এখন শোরগোল রাজ্যে – যদি সত্যিই রাজ্য সরকারের রাস্তা তৈরির পদ্ধতি পরিবেশ বান্ধব না হয়, তাহলে ঠিক কোন ধরনের শাস্তির মুখে পড়তে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকারকে? তাহলে কি বন্ধ হয়ে যাবে রাস্তা তৈরীর কাজ? নাকি এইসব জল্পনাকে ফুৎকারে উড়িয়ে শেষ হাসি হাসবে মমতার সরকারই? পুজো মিটলেই কিন্তু হতে পারে সেই বড় ফয়সালা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!