এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > উৎসবের মরশুমে করোনা থেকে সুরক্ষিত থাকতে চাইলে জানুন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নির্দেশিকা

উৎসবের মরশুমে করোনা থেকে সুরক্ষিত থাকতে চাইলে জানুন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নির্দেশিকা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – কিছুদিন আগে একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছিল গ্রীষ্মের থেকে শীতকালেই করোনার সংক্রমণ বেশি হবার কথা। বস্তুত ৪০ ডিগ্রী বা তার বেশি তাপমাত্রায় করোনাভাইরাস বেঁচে থাকতে না পারলেও তার থেকে কম তাপমাত্রায় কমবেশি ১৭ দিন এই ভাইরাস বেঁচে থাকার তথ্য উঠে এসেছিল ওই সমীক্ষা। যা নিয়ে চিকিৎসক বিজ্ঞানীদের মধ্যে চিন্তা ফুটে উঠেছিল।

এই সমীক্ষার পরে বলা হয়েছিল, ভারতবর্ষের মতো দেশে যেখানে শীত আসতে আর দেরি নেই, সেখানে আবহাওয়া পরিবর্তনের এই সময়টায় এত সংখ্যক মানুষকে কিভাবে সতর্ক করে রাখা যাবে। কারণ এমনই সময়তেই এরকম আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় মানুষ সাধারণ জ্বর সর্দিকাশিতে ভোগেন।

সেই সঙ্গে উৎসবের মরসুমে সাধারণ মানুষ কতটা সতর্কতা পালনে সচেষ্ট হবেন সেই নিয়েও চিকিৎসক থেকে প্রশাসনের মধ্যে দেখা গিয়েছিল আশঙ্কা। বস্তুত, বারবার সরকার প্রশাসন থেকে শুরু করে চিকিৎসকদের তরফে মানুষকে সতর্ক করার কার্যপ্রণালী চালানো হচ্ছে। কারণ একথা সত্য, যে মানুষ যদি নিজে সচেতন না হয়, তাহলে কোন মানুষের কোন প্রচেষ্টাই আদপে কাজে লাগবে না।

একটা বছরের সংযম যদি আমাদের ভবিষ্যৎ জীবনকে আরও অনেক বেশি সুরক্ষিত করে, তবে এক বছরের সংযম করাটাই কার্যত বুদ্ধিমানের কাজ হবে বলেই মনে করেছিলেন সকলে। তবে সেই সঙ্গে আশা করা হয়েছিল, ভারতবর্ষে যে ভ্যাকসিনের ট্রায়াল চলছে, তা সামনের বছর গোড়ার দিকেই সাধারণ মানুষের কাছে চলে আসবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তাই এই কটা দিন সাধারণ মানুষ যদি এতোটুকু সচেতন হয়ে কাজ কর্ম করেন, তবে তারা নিজেরাই অনেক বেশি সুস্থ-সবল থাকতে পারবেন। সম্প্রতি এই প্রসঙ্গে আবারও সতর্কতা বার্তা শোনাতে দেখা গেল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে। তাঁর কথার, উৎসবে মানুষের আমোদ আহ্লাদে করোনা সতর্কতা কতটা পালন করা যাবে, সেই নিয়ে যেমন আশঙ্কা দেখা গেছে তাঁর মধ্যে।

সেইসঙ্গে উৎসবে মানুষ যদি সচেতন না হয়, তাহলে দেশের মানুষ আরও গভীর সমস্যায় পড়বে সে কথাও জানিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে তাঁর মতে কোন ধর্মীয় নেতাই এ কথা বলবেন না যে উৎসব পালন করতে মানুষের জীবন বিপন্ন করা হোক। সেই সঙ্গে কেবলমাত্র পূজা মণ্ডপেই যে ঈশ্বরের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়, তা নাহলে নয়, একথা যে ঠিক না, সেটাও নিশ্চয়ই অনেকেই বুঝবেন।

সেই সঙ্গে বিশেষজ্ঞদের মতামত উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, ভারতে এখনো করোনার একটি ঢেউ আসতে বাকি আছে। সুতরাং মানুষের উচিত সচেতন হওয়া। কারণ বর্তমানে ভারতে করোনা আবার যেভাবে সংক্রমণ শুরু করেছে, তাতে তা কিছুদিনের মধ্যেই আমেরিকাকে পেছনে ফেলে সারাবিশ্বে করোনা আক্রান্তের স্থান হিসেবে প্রথম জায়গা অধিকার করে নেবে একথা বলাই বাহুল্য।

সেই সঙ্গে দেশের প্রধানমন্ত্রীকেও সাধারণ মানুষকে সতর্কতা বার্তা শোনাতে দেখা গিয়েছিল। তাঁর কথায়, সবাইকে বিপদমুক্ত তথা করোনা মুক্ত থাকতে বার্তা দিয়েছিলেন তিনি। সেই সঙ্গে উৎসবে করোনা সতর্কতা বাড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। তাই জননেতাদের সতর্কবার্তা মেনে, সর্তকতা অবলম্বন করে তবেই সাধারন মানুষ উৎসবের আনন্দে মাতবেন এবং অন্য মানুষকে সংক্রমণের হাত থেকে দূরে রাখবেন, এই আশাই করা হচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!