লকডাউনেও বাড়তি ফী আদায় করতে গিয়ে এবার বড়সড় গাড্ডায় বেসরকারি স্কুলগুলি! আদালতের বড়সড় নির্দেশ অন্যান্য কলকাতা রাজ্য August 18, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনা পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন ধরে রাজ্যের স্কুল-কলেজ গুলি বন্ধ কিন্তু স্কুল বন্ধ থাকলেও চলছে অনলাইন ক্লাস।প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে স্কুলড্রেস করে ছাত্রছাত্রীদের বসতে হচ্ছে মোবাইল ল্যাপটপ বা কম্পিউটার এর সামনে আর এই অনলাইন ক্লাস থ্রি হাতিয়ার করে বেসরকারি স্কুল গুলি ক্রমাগত বর্ধিত স্কুলের বেতন জমা দেওয়ার জন্য প্রতিনিয়ত বলে চলেছে। বেসরকারি স্কুলগুলির বর্ধিত বেতনের হাত থেকে পরিত্রাণ পেতে ইতিমধ্যে পথে নেমেছেন অভিভাবকরা। অভিভাবকদের অভিযোগ, করোনা পরিস্থিতিতে ঊর্ধ্বমুখী বেতনক্রম বিন্দুমাত্র কমানোর সহযোগিতা করেনি স্কুলগুলি। এই নিয়ে ইতিমধ্যে প্রায় 15000 অভিভাবক হাইকোর্টের শরণাপন্ন হয়েছেন। আর সোমবার হাইকোর্ট থেকে বেসরকারি স্কুলগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হলো, তাদের আয়-ব্যয়ের হিসাব দাখিলের জন্য। জানা গেছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত প্রতিটি আয়-ব্যয়ের হিসাব দাখিল করতে হবে স্কুলগুলিকে। আর সেই উদ্দেশ্যে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নেতৃত্বে একটি কমিটিও গঠন করার প্রস্তাব দেয় হাইকোর্ট। বেসরকারি স্কুলগুলিকে ওই কমিটির কাছে সমস্ত হিসাব দিতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে কোর্ট। জানা গিয়েছে, প্রাথমিকভাবে অভিভাবকদের পক্ষ থেকে কল্যাণ ভারতী ট্রাস্ট (হেরিটেজ স্কুল), অশোকা হল স্কুল গোষ্ঠী, অ্যাডামাস ইন্টারন্যাশনাল এবং বিড়লা স্কুলের বিরুদ্ধে একটি জনস্বার্থ মামলা করা হয়। বেসরকারি স্কুলগুলি টিউশন ফি ছাড়াও বিভিন্ন খাতে পড়ুয়াদের কাছ থেকে বিপুল অঙ্কের টাকা গ্রহণ করে। করোনা পরিস্থিতিতেও যার খামতি নেই। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বেসরকারি স্কুলগুলিকে বহুবার ফি কমানোর জন্য আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু তাতে যে কোন কাজ হয়নি তা পরিষ্কার। অন্যদিকে জানা গিয়েছে, ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে পুরোমাত্রায় বেতন নেওয়া সত্ত্বেও একাধিক বেসরকারি স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষিকা ও শিক্ষা কর্মীদের বেতন বকেয়া রয়েছে। স্কুলগুলি অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। বরং স্কুলগুলি দাবি করেছে, ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে বেতন নিয়েই স্কুলের পরিকাঠামো ও শিক্ষক, শিক্ষা কর্মীদের বেতন দেওয়া হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে 15 ই আগস্ট এর মধ্যে অভিভাবকদের 80% বেতন মেটাতে বলেছিল হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। অন্যদিকে সোমবার মামলার শুনানি চলাকালীন অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত জানান, বেসরকারি স্কুলগুলি কোন মতেই লাভজনক সংস্থা নয়। তাই রাজ্যের শিক্ষার অধিকার আইন 2012 র অন্তর্গত প্রত্যেকটি বেসরকারি স্কুল পরিচালনার জন্য একটি ট্রাস্ট গঠন প্রয়োজন। যদি স্কুলগুলি এই নিয়ম মেনে না চলে, তাহলে শিক্ষার অধিকার আইনের 18 নম্বর ধারা অনুযায়ী স্কুলের রেজিস্ট্রেশন বাতিল হওয়ার দাবি তোলেন তিনি। আপাতত বেসরকারি স্কুলগুলি যে হাইকোর্টের নির্দেশে এবার বিপাকে পড়তে চলেছে, সে কথা মনে করছেন অনেকেই। করোনা পরিস্থিতিতে অতিরিক্ত স্কুল ফি দেওয়া যে সম্ভব নয়, সেকথা প্রথম থেকেই জানিয়ে আসছেন অভিভাবকরা। কিন্তু বেসরকারি স্কুলগুলি কোনমতেই এই যুক্তি মানতে নারাজ। তবে হাইকোর্টের নির্দেশে অভিভাবকদের একটা অংশ মনে করছেন, বেসরকারি স্কুলগুলির আয়-ব্যয়ের হিসাব সামনে আসলে পুরো ব্যাপারটি বোঝা যাবে। আপনার মতামত জানান -