এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > কুচবিহারে বড়সড় ধাক্কা গেরুয়া শিবিরে! হেভিওয়েট নেতা দল ছেড়ে যোগ দিলেন ঘাসফুল শিবিরে!

কুচবিহারে বড়সড় ধাক্কা গেরুয়া শিবিরে! হেভিওয়েট নেতা দল ছেড়ে যোগ দিলেন ঘাসফুল শিবিরে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত লোকসভা নির্বাচনে কোচবিহার জেলায় পদ্ম ফুল ফুটাতে সক্ষম হয়েছিল ভারতীয় জনতা পার্টি। যার ফলে অনেকটাই চাপে পড়ে গিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। তবে বর্তমানে খেলা ঘুরতে শুরু করেছে। এবার কোচবিহার জেলা বিজেপিতে ব্যাপক ভাঙন ধরালো তৃণমূল কংগ্রেস। সূত্রের খবর, সোমবার বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন কোচবিহার জেলা যুব বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি তথা দলের প্রাক্তন সম্পাদক শৈলেন্দ্র প্রসাদ সাহু।

জানা যায়, এদিন জেলা তৃণমূলের পার্টি অফিসে শৈলেন্দ্রবাবুর হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেন কোচবিহার জেলা তৃণমূল সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান তথা অনগ্রসর শ্রেণী কল্যাণ মন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন, কোচবিহার দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক মিহির গোস্বামী সহ অন্যান্যরা।

আর বিজেপির হেভিওয়েট নেতাকে নিজেদের দলে যোগদান করিয়ে বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিকে কার্যত কোণঠাসা করার প্রক্রিয়া শুরু করে দিল তৃণমূল কংগ্রেস। যেভাবে লোকসভা নির্বাচনের পরবর্তী সময় কালে কোচবিহার জেলায় বিজেপির উত্থান লক্ষ্য করা গেছে, তাতে তৃণমূল অনেকটাই ব্যাকফুটে পড়ে গিয়েছিল। কিন্তু এবার বিজেপির হেভিওয়েট নেতাকে নিজেদের দলে টেনে এনে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব বিজেপিকে ব্যাপকভাবে কোণঠাসা করে দিল বলেই মত রাজনৈতিক মহলের। কেন হঠাৎ বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন তিনি?

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে শৈলেন্দ্রপ্রসাদ সাহু বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের উন্নয়নের অনুপ্রাণিত হয়ে আমি তৃণমূলে যোগ দিলাম। বিজেপিতে কর্মীদের সঙ্গে কারও কোনো যোগ নেই‌। পুরনোদের ওই দলে জায়গা নেই। সেখানে লবিবাজি শুরু হয়েছে। তাই ওই দল ত্যাগ করেছি।” এদিকে বিজেপির হেভিওয়েট নেতাকে নিজেদের দলে যোগদান করিয়ে উজ্জীবিত তৃণমূল কংগ্রেস।

এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূল সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় বলেন, “আমাদের বিভিন্ন নেতার হাত ধরে অনেকেই তৃণমূলে সামিল হচ্ছেন। করোনা আবহের মধ্যে বড় করে কর্মসূচি গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি। শৈলেন্দ্র প্রসাদ সাহুর নেতৃত্বে বিজেপি কোচবিহার জেলায় কিছুটা দানা বেঁধেছিল। কিন্তু তিনি এবার আমাদের দলে চলে এসেছেন। তার সঙ্গে আরও অনেকে আমাদের দলে যোগ দিয়েছেন।” তবে বিগত লোকসভা নির্বাচনের পরবর্তী সময়কালে কোচবিহারের বিজেপির যে জনপ্রিয়তা ছিল, দিনকে দিন তাতে ভাটা পড়ায় বিজেপি কি আগামী বিধানসভা নির্বাচনের জন্য ঠিকমতো প্রস্তুতি নিতে পারবে? যে ভাবে তাদের হেভিওয়েট নেতা তৃণমূলে যোগদান করলেন, তাতে বিজেপি কি অস্বস্তিতে পড়বে না?

এদিন এই প্রসঙ্গে কোচবিহার জেলা বিজেপির সভানেত্রী মালতি রাভা রায় বলেন, “যিনি দল ছেড়েছেন, তিনি আমাদের দলের বহুদিনের দায়িত্বমুক্ত নেতা। এখন তিনি দলের কোনো পদে বা দায়িত্বে নেই।” তবে বিজেপির পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে যে কথাই বলা হোক না কেন, যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাতে কোচবিহার জেলায় বিজেপি ছেড়ে এই হেভিওয়েট নেতার তৃণমূলে যোগদানের ফলে শাসকদল যে অনেকটাই উজ্জীবিত এবং বিজেপি যে কিছুটা হলেও ব্যাকফুটে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত রাজনৈতিক মহল। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!