প্রশ্ন উঠছে দায় কার? আদালতে বড়সড় ধাক্কা খেয়ে পুরোপুরি থমকে গেল প্রধান শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া কলকাতা রাজ্য January 23, 2019 কথায় আছে, “সকালটা দেখলেই বোঝা যায় যে সারা দিনটা কেমন যাবে।” তাই তো গত সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে কিছুটা ধাক্কা খাওয়ার পরই মঙ্গলবার আপাতত এক মাসের জন্য সেই নিয়োগ-প্রক্রিয়াকে স্থগিত করে দেওয়া হল। সূত্রের খবর, বিচারপতি শেখর ববি শরাফ এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার ওপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করে মঙ্গলবারই জানিয়ে দিয়েছেন যে আগামী 28 শে জানুয়ারির পরই এই বিষয়টি নিয়ে চূড়ান্ত শুনানি হবে। প্রসঙ্গত, গত সোমবারই আদালতের পক্ষ থেকে পদ্ধতি মেনে আইনানুগ প্রক্রিয়ায় নিয়োগ না হওয়ায় মামলাকারীদের পার্সোনালিটি টেস্ট এবং মেধা তালিকা প্রকাশ করার পরেই যেন প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয় সেই ব্যাপারে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এদিনের মামলাটি ছিল সম্পূর্ণই আলাদা। জানা যায়, আইন সংশোধন করে প্রধান শিক্ষক পদের প্রার্থীদের জন্য স্কুল সার্ভিস কমিশন স্নাতকোত্তর পর্যায়ে প্রাপ্ত নম্বর সংক্রান্ত নিয়ম বদল করেছিল। কিন্তু এই মামলায় সেই সংশোধনীর সাংবিধানিক বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়। আর এরপরই গত 2017 র জুলাই মাসে বিচারপতি অরিজিত বন্দোপাধ্যায় এক অন্তর্বর্তী নির্দেশে বলেছিলেন যে, এই মামলাকারিরা প্রধান শিক্ষক বা শিক্ষিকা হওয়ার জন্য সমস্ত প্রকার আবেদন জমা করতে পারবেন। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিকে মামলাকারীদের আইনজীবী এক্রামুল বারি এদিন আদালতকে জানিয়েছেন যে বিচারপতি কমিশনকে বলেছিলেন যে অন্য সকলের মত মামলাকারীদের পরীক্ষার ফলও প্রকাশ করতে হবে। কিন্তু বাস্তবে কমিশনের পক্ষ থেকে মামলাকারীদের পরীক্ষার যে ফল প্রকাশ করা হয়েছে সেখানে মামলার কারণে এই ফলকে আটকে রাখা হয়েছে। এদিন এই প্রসঙ্গে এসএসসির চেয়ারম্যান সৌমিত্র সরকার বলেন, “মহামান্য আদালতের সিদ্ধান্তকে মান্যতা দিয়ে দ্রুত নিয়োগ করতে হবে। আমরা পরবর্তী শুনানির পরই কাউন্সেলিংয়ের দিনক্ষণ জানাতে পারব।” অন্যদিকে এদিন কমিশনে গিয়ে বেশ কিছু চাকরিপ্রার্থী হাজির হলে তাদের বুঝিয়ে বলে নোটিশ দেখালে তাঁরা শান্ত হয়ে বাড়ি ফিরে যান বলে জানিয়েছেন এসএসসির চেয়ারম্যান। 2015 সালে স্নাতকোত্তরে ন্যূনতম 40 শতাংশ, 2016 তে 45 শতাংশ এবং 2017 তে 50% নম্বর পেলে প্রধান শিক্ষক পদের পরীক্ষায় অংশ নেওয়া যেত। আপনার মতামত জানান -