এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > কালকের পর ফের আজ রাজ্য ছাড়লেন 242 জন নার্স, চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে আতঙ্ক চরমে!

কালকের পর ফের আজ রাজ্য ছাড়লেন 242 জন নার্স, চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে আতঙ্ক চরমে!


এবার পশ্চিমবঙ্গ ছেড়ে একে একে নার্সরা যে যার রাজ্যে ফিরছেন। কেউ হাসপাতালকে জানিয়েছেন বাড়ি যাচ্ছেন, কেউ বা কিছু না জানিয়েই চলে যাচ্ছেন। বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত নার্সিং কর্মীরা এভাবেই হাসপাতাল ছাড়ছেন। বর্তমানে রাজ্যে প্রথম সারির হাসপাতালগুলি থেকে যেভাবে নার্সিং কর্মীরা হাসপাতাল ছাড়ছেন, তাতে আগামী দিনে চিকিৎসাব্যবস্থা যে মারাত্মক পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে চলেছে, সে ব্যাপারে নিঃসন্দেহ বিশেষজ্ঞরা।

আতঙ্ক জাগিয়ে শনিবার রাজ্য ছাড়লেন আরো 242 জন নার্স। এর ফলে বেসরকারি হাসপাতালের পরিষেবা রীতিমতো সংকটে পড়তে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। রাজ্যের প্রথম সারির হাসপাতালগুলির মধ্যে পড়ে আমরি, বেলভিউ, ডিসান, চার্ণক, পিয়ারলেস ইত্যাদি। প্রথম সারির হাসপাতালগুলি থেকে এভাবে নার্সরা ইস্তফা দিয়ে চলে যাওয়ার কারণে চিকিৎসা পরিষেবা যে ভবিষ্যতে বেহাল হতে চলেছে তা নিয়ে আতঙ্কে সবাই। শুক্রবার মনিপুরের 185 জন নার্স রাজ্য ছেড়েছিলেন বলে খবর।

আর আজ এখনো পর্যন্ত সব মিলিয়ে 242 জন নার্স রাজ্য ছাড়লেন। এদিন আমরি থেকে 72 জন নার্স ইস্তফা দিয়েছেন। ডিসান হাসপাতাল এ 76 জন নার্সের ইস্তফাপত্র জমা পড়েছে। চার্নক ছাড়লেন 14 জন নার্স। EEDF থেকে হঠাৎ করেই ইস্তফা দিলেন 42 জন নার্স। আর অন্যদিকে বেলভিউ এবং পিয়ারলেস থেকে যথাক্রমে ইস্তফাপত্র পড়েছে 26 জন ও 12 জন নার্সের। বৃহস্পতিবার থেকে হঠাৎ কলকাতার বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল এবং নার্সিংহোমগুলিতে নার্সদের ইস্তফাপত্র জমা দেওয়ার হিড়িক লেগে যায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তার মধ্যেই মনিপুর সরকার কলকাতায় কর্মরত তাঁদের 185 জন নার্সকে নিজেদের রাজ্যে ফেরত নেওয়ার জন্য গাড়ির ব্যবস্থা করে বলে জানা গেছে। সেইমতো মনিপুরের নার্সরা কলকাতার চাকরি ছেড়ে তাঁদের নিজেদের রাজ্যে পাড়ি দেন বলে জানা গেছে। এরপরেই তীব্র সমস্যায় পড়ে বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিং হোমগুলি। অবশ্য সূত্রের খবর, বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল এবং নার্সিংহোমের থেকে লোভনীয় মাইনে এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার কথা বলে উক্ত নার্সদের ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

কলকাতার বিভিন্ন বড় বেসরকারি হাসপাতাল এবং নার্সিংহোমগুলি সাধারণত উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলি থেকে আগত নার্সদের ওপরই নির্ভরশীল। যেরকম আমরি, ফর্টিস, আরএন টেগোর, পিয়ারলেস, মেডিকা নামক জনপ্রিয় হাসপাতালগুলিতে মণিপুর, মিজোরাম, মেঘালয়, অরুণাচল প্রদেশ থেকে আগত নার্সের সংখ্যা অনেকটাই বেশি। এছাড়াও ওড়িশা এবং ত্রিপুরা থেকেও অনেকেই নার্স হিসেবে কাজে যোগদান করেন এখানে। অন্যদিকে এ রাজ্যে নার্সিং কলেজ অনেক কম। ফলে প্রতিবছর যে পরিমাণ নার্স লাগে এবং যে পরিমাণ নার্স পাশ করে বের হন, তাঁদের মধ্যে অনেকটাই ফারাক থেকে যায়।

ফলে বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানগুলিকে অন্যান্য রাজ্য থেকে আসা নার্সদের ওপরেই নির্ভর করতে হয়। তাই এক ধাক্কায় এভাবে করোনা সংকটকালে রাজ্য থেকে এই বিপুল পরিমাণ নার্সরা চলে যাওয়ায় রাজ্যের স্বাস্থ্যপরিসেবা যে এক চরম ধাক্কা খেতে চলেছে সে ব্যাপারে নিঃসন্দেহ চিকিৎসক মহল। উপরন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, এভাবে নার্সরা যদি চলে যায়, তাহলে করোনা পরিষেবা তো বটেই, ভবিষ্যতে সার্বিক স্বাস্থ্যব্যবস্থাতেও যে বিপর্যয় নেমে আসবে তা প্রায় নিশ্চিত। একধাক্কায় রাজ্য থেকে এতজন নার্সের চলে যাওয়াকে কেন্দ্র করে রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগে যে ঘূর্ণিঝড় উঠেছে, তা সামাল দিতে এবার রাজ্য সরকার কী ব্যবস্থা গ্রহণ করে সে দিকেই উন্মুখ হয়ে তাকিয়ে আছেন সবাই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!