এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > চোর শুনেও লজ্জা নেই মমতার? চাপ বাড়িয়ে বড় ধাক্কা শুভেন্দুর!

চোর শুনেও লজ্জা নেই মমতার? চাপ বাড়িয়ে বড় ধাক্কা শুভেন্দুর!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- বর্তমানে চোর, চোর শব্দ শুনে কান ঝালাপালা হয়ে যাচ্ছে এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর। বিধানসভার ভেতরে এবং বাইরে বারবার তাকে চোর শব্দ দিয়ে ভূষিত করে আক্রমণ করছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। আর সেটা সহ্য করতে না পেরে স্পিকারকে দিয়ে সেই শুভেন্দু অধিকারীকে বিধানসভা থেকে সাসপেন্ড করিয়েছেন এই রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। বিরোধীদের দাবি তেমনটাই। কিন্তু এতসব করেও তিনি শুভেন্দুবাবুর মুখ বন্ধ করতে পারছেন না। আজ রেডরোডের সভা থেকে আবার সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চোর বলে আক্রমণ করে তাকে চরম লজ্জায় ফেলে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু বিধানসভায় সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি বলেছেন, সে কথা ব্যক্ত করতে গিয়ে তিনি আর একটা বিষয় স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সামান্য লজ্জা বলতে কিছু নেই।

প্রসঙ্গত, এদিন মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভায় যেতেই চোর, চোর স্লোগান দিয়ে ওয়াকআউট করেন বিজেপি বিধায়করা। তারপর শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে রেডরোডের সভায় যোগ দেন তারা। আর সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা রীতিমত মুখ্যমন্ত্রীকে ধুয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, “এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী চোর। আজকে উনি বিধানসভায় বলেছেন, আমাকে চোর বলছে, তাতে কিছু যায় আসে না। যায় আসবে কেন? আপনি তো সব খেয়েছেন।” আর শুভেন্দুবাবু যখন এই কথা বলছেন, তখন তার এবং বিজেপি বিধায়কদের সকলেরই গায়ে যে টি শার্ট ছিল, তার সামনে এবং পিছনে লেখা ছিল, “মমতা চোর।”

একাংশের প্রশ্ন, এত নেতা, মন্ত্রী জেলে যাচ্ছেন, তারপরেও একবারও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন দুঃখ প্রকাশ করলেন না? কেন তিনি একবারও ক্ষমা চাওয়ার মত একটি বক্তব্যও রাখলেন না! উল্টে অনেক নেতা, যারা জেলে গিয়েছেন, তাদের পক্ষ অবলম্বন করতে দেখা যাচ্ছে এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে। ফলে বোঝাই যাচ্ছে যে, দুর্নীতির আসল প্রশ্রয়দাতা কে! সামান্য লজ্জা থাকলে বিরোধীদের তোলা এই চোর স্লোগান নিয়ে ফিরিস্তি মুখ্যমন্ত্রী অন্তত দিতেন না বলেই দাবি একাংশের।

বিজেপির দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভাবছেন, তিনি সততার প্রতীক। তাকে কেউ চোর ভাবছে না। কিন্তু গোটা রাজ্যজুড়ে একটা আওয়াজ উঠেছে, অনেক হলো চুনোপুটি, কবে ধরা পড়বে হাওয়াই চটি! সততার প্রতীকের মুখোশ টেনে খুলে ফেলেছেন রাজ্যের সাধারণ মানুষ। এত বড় দুর্নীতি হয়েছে, অথচ তিনি কিছু জানেন না, এটা কেউ বিশ্বাস করছে না। তাই “চোর বললে কিছু যায় আসে না” এসব কথা বলা বন্ধ করুন। বরঞ্চ যে দুর্নীতি তার সরকার করেছে, তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করুন সাধারণ মানুষের কাছে। তা না হলে সামনে আরও ভয়াবহ বিপদ আসছে। খুব দ্রুত এই তৃণমূল সরকার রাজ্য থেকে বিদায় নেবে বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, সবে তো শিক্ষা এবং খাদ্য দুর্নীতি প্রকাশ্যে এসেছে। একের পর এক অনেকেই জেলে যাচ্ছেন। এবার স্বাস্থ্য এবং মিড ডে মিলের দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসা শুধু সময়ের অপেক্ষা। আর এতেই গোটা তৃণমূল দল ফাঁকা হয়ে যাবে। বিরোধীদের বক্তব্য তেমনটাই। যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইশারা ছাড়া একটি গাছের পাতাও তার দল এবং সরকারে পড়ে না, সেখানে তার নজর এড়িয়ে কি করে এত বড় দুর্নীতি সংঘটিত হচ্ছে, সেটাই সকলের কাছে বড় প্রশ্ন। তাই যতক্ষণ না এই দুর্নীতি বন্ধ হচ্ছে, ততক্ষণ চোর, চোর শব্দ হজম করতেই হবে এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে। শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!