এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > লড়াই আরও দ্বিগুণ, মমতার সঙ্গে কোনো অনুষ্ঠানে নয়! বাপের ব্যাটা একমাত্র শুভেন্দুই!

লড়াই আরও দ্বিগুণ, মমতার সঙ্গে কোনো অনুষ্ঠানে নয়! বাপের ব্যাটা একমাত্র শুভেন্দুই!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- অনেকদিন পর এরকম চনমনে নিয়ে বিরোধী দলনেতাকে দেখছে বাংলা। কোনো সেটিং নয়, একেবারে চোখে চোখ রেখে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন শুভেন্দু অধিকারী। পরিষদীয় রীতিনীতিকে মান্যতা দিতে হলে বিরোধী দলনেতাকে মান্যতা দিতেই হবে। কিন্তু সেটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিতে চান না। কারণ তিনি এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতার কাছে হেরেছেন। আর এটাই তার একমাত্র জ্বালার কারণ। তাই আজ বিধানসভার মিউজিয়াম উদ্বোধনের অনুষ্ঠানেও সেই বিরোধী দলনেতাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। তবে এই আমন্ত্রণের মুখাপেক্ষীও শুভেন্দুবাবু নন। বরঞ্চ মুখ্যমন্ত্রী কোনো অনুষ্ঠানে থাকলে যে তিনি সেখানে থাকবেন না, তা আবার স্পষ্ট করে দিলেন এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

প্রসঙ্গত, এদিন রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে এই ব্যাপারে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে একেবারে চাঁচাছোলা ভাষায় নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে যতক্ষণ না প্রাক্তন করব, ততক্ষণ তার সঙ্গে কোনো মঞ্চ শেয়ার করব না। আর এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর হাতে খুনের রক্ত লেগে আছে। তাই তার সঙ্গে যে মঞ্চ শেয়ার করবে, তার জামাতেও সেই রক্তের দাগ এসে লাগবে।” একাংশ বলছেন, বিরোধী নেতা হলে এমনটাই হওয়া উচিত। কোনো সেটিং নয়। আর সবথেকে বড় কথা, তৃণমূলের দ্বারা ভোটের আগে এবং পরে প্রচুর বিজেপি কর্মীর প্রাণ গিয়েছে। তাদের পরিবার হাহাকার করছে। অনেক বিজেপি কর্মীরা নীচুতলায় লড়াই করছে এই তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সেখানে যদি শুভেন্দু অধিকারী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে একমঞ্চে থাকেন, তাহলে কর্মীদের মনে হতাশা তৈরি হবে। তাই কর্মীদের মন বুঝে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে চরম সংঘাত এবং লড়াইয়ের বার্তাই বজায় রাখলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। যাকে সাবাশি দিতে ছাড়ছেন না বিজেপি কর্মীরাও।

বিজেপির দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমন্ত্রণ কেউ আশা করে না। তিনি যেভাবে রাজ্যকে ধ্বংস করেছেন, তাতে তার সঙ্গে কোনো সভ্য মানুষ থাকতে পারবেন না। তাই শুভেন্দু অধিকারী ঠিক কথাই বলেছেন। এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কোনো সেটিং নয়। তার সঙ্গে চোখে চোখ রেখে লড়াই করছে বিজেপি। তাই কোনো মঞ্চ শেয়ারের প্রশ্নই আসে না। মানুষকে এই তৃণমূল সরকারের হাত থেকে পরিত্রান দিতে শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়া হবে। যতক্ষণ না এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে প্রাক্তন করা হচ্ছে, ততক্ষণ বিজেপি কর্মীদের বিশ্রাম নেই। তাই ম্যানেজ করে আর যাই হোক, বিজেপিকে আটকাতে পারবেন না তৃণমূল নেত্রী বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, নরমে, গরমে সবদিক থেকেই এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং তার দল বিজেপিকে ম্যানেজ করার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু তার সব চেষ্টা বৃথা হয়ে যাচ্ছে। তিনি ভেবেছিলেন, সেটিং করে চুরির তথ্য গোপনে রাখবেন। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী লড়াই করা মনোভাব নিয়েই বিজেপি কর্মীদের স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে এই সরকারের বিরুদ্ধে লড়ছেন। তাই কোনো জায়গায় আমন্ত্রণ পেলেন কি পেলেন না, এই ক্ষুদ্র স্বার্থ নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর মাথাব্যথা নেই। বরঞ্চ যতক্ষণ না এই রাজ্য থেকে তৃণমূল সরকার যাচ্ছে এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রাক্তন হচ্ছেন, ততক্ষণ চোখে চোখ রেখেই লড়াই হবে। কথা বলা তো অনেক কথা, এই রাজ্যের ফ্যাসিষ্ট মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এক মঞ্চে বসার মত ইচ্ছাটুকুও নেই বিরোধী দলের। শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!