এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > গর্বের বাংলাকে ধ্বংস করে বড় বড় কথা ! মমতার বক্তব্য নিয়ে প্রবল খোঁচা বিজেপির !

গর্বের বাংলাকে ধ্বংস করে বড় বড় কথা ! মমতার বক্তব্য নিয়ে প্রবল খোঁচা বিজেপির !


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- এই রাজ্যে তৃণমূল সরকারের ওপরে এবং এই সরকারের জন্য মানুষ কতটা বিরক্ত, তা নতুন করে বলতে হবে না। অথচ সেই তৃণমূল সরকারের মুখ্যমন্ত্রী বড় বড় গলায় দাবি করেন, তিনি নাকি রাজ্যের সব উন্নয়ন করে দিয়েছেন। কিন্তু কি উন্নয়ন করেছেন, তা রাজপথের দিকে তাকালেই বোঝা যাবে। যেখানে চাকরিপ্রার্থীদের কান্না, বঞ্চিত সরকারি কর্মচারীদের হাহাকার ছাড়া আর কিছুই চোখে পড়ে না। আর সেই কথা রাজ্যের বিরোধী দল এবং তাদের দলনেতা তুলে ধরলেই তাতে নাকি বাংলার সমালোচনা করা হয়। আসলে নিজে অন্যায় করবেন, নিজে দোষ করবেন, কিন্তু তারপরে কেউ সেই দোষের কথা তুলে ধরে সোচ্চার হবেন, সেটাও এই রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিয়ম অনুযায়ী বেআইনি।

আজ এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভার মিউজিয়াম উদ্বোধনের সময় যে কথা বলেছেন, তাতে অনেকেই বিস্মিত। তিনি নিজের বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে একটা জিনিস বারবার করে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন যে, কেউ তার সরকারের সমালোচনা করতে পারবে না। যে ব্যক্তিই তার সরকারের সমালোচনা করবেন, তিনি বাংলার সমালোচনা করবেন। অর্থাৎ এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে রাজ্যকে গোল্লায় ফেলে দেবেন, রাজ্যকে বিপদের মুখে ফেলে দেবেন, তাতে কেউ কিছু বলতে পারবে না। সবাই মুখে আঙ্গুল দিয়ে বসে থাকবে, আর এটাই হচ্ছে ফ্যাসিস্ট সরকারের নতুন নীতি। বিজেপির পক্ষ থেকে তেমনটাই বলা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, আজ বিধানসভার নতুন মিউজিয়াম উদ্বোধন করতে গিয়ে বক্তব্য রাখেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেখানেই তিনি বলেন, “বাংলাকে নিয়ে অনেকে অনেক সমালোচনা করেন। কিন্তু কেউ এই বাংলার জন্য গর্ববোধ করেন না।” আর এখানেই প্রশ্ন যে, গর্ববোধ করার মত কিছু কি আদৌ টিকিয়ে রেখেছেন এই রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী? সর্বস্ব সর্বনাশ করে, সবার চোখের জল ফেলে তিনি এই রাজ্যকে উচ্ছন্নে পাঠিয়ে কোন জিনিস নিয়ে গর্ব করার কথা বলছেন? বিরোধীরা মানুষের কথা বলছে  আর তাতে তিনি সমালোচিত হচ্ছেন  এই জন্যেই এত গায়ে জ্বালা? যার কারণে বিধানসভার মিউজিয়াম উদ্বোধনেও নাম না করে বিরোধীদের আক্রমণ করতে দেখা গেল এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে। আসলে একজন মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে আর যাই হোক, এই ধরনের খুব নিম্নমানের বক্তব্য আশা করা যায় না। বিরোধীরা তো বিরোধিতা করবেনই। তারা তো সরকারের ভুল কাজের সমালোচনা করে সঠিক পথটা দেখিয়ে দেবেন। কিন্তু তা করতে গিয়ে কেন বারবার শাসকের রোষানলে তাদের পড়তে হবে? এ কোন পরিস্থিতি রাজ্যের মাটিতে বারবার তৈরি করার চেষ্টা করছেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী? তা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন একাংশ।

ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, বর্তমানে বাংলাকে নিয়ে গর্ব করার মত কিছু নেই। চুরি, দুর্নীতি এবং পরিবারবাদ প্রতিষ্ঠা করে করতে গিয়ে সব শেষ করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই এসব বলে তিনি আর যাই হোক, বিরোধীদের মুখ বন্ধ করতে পারবেন না। বাংলাকে উচ্ছন্নে পাঠিয়ে তিনি এখন বাংলাকে নিয়ে গর্ব করার কথা বলছেন। তার কাছ থেকে অন্তত বাংলা প্রেম শিখতে হবে না। সংস্কৃতির বাংলাকে যেভাবে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিয়েছেন মাননীয়া, তাতে এই রাজ্য নিয়ে গর্ব করার মত আর কিছু নেই। যেদিন এই রাজ্য থেকে ফ্যাসিস্ট সরকার বিদায় নেবে, সেদিনই গর্ব করার নতুন অধ্যায় শুরু হবে বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যা করছেন, তার সবটাই যদি ঠিক বলত বিরোধীরা, তাহলেই বিরোধীরা তার কাছে সবথেকে বেশি ভালো হত। কিন্তু বর্তমান বিরোধী দল তো সেটিং করা বিরোধী দল নয়। তারা চোখে চোখ রেখে এই সরকারের ভুল ত্রুটির বিরুদ্ধে লড়াই করছেন। মানুষের কথা বলছেন। সরকারি কর্মচারী যারা বঞ্চিত, তাদের দাবি নিয়ে লড়াই করছেন। যারা চাকরি প্রার্থী, যারা চোখের জল ফেলছেন, তাদের স্বপক্ষে আওয়াজ তুলছেন।

তাই বাংলার একের পর এক সর্বনাশের দিক, যা এই তৃণমূল সরকার তৈরি করেছে, তা সামনের দিকে উঠে আসছে। যার ফলে প্রেস্টিজ ডাউন হচ্ছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর। তাই বিধানসভার মিউজিয়াম উদ্বোধনে তিনি সেটাকে ধামাচাপা দেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা শুরু করে দিলেন। কিন্তু এসব করে আর যাই হোক, যে সর্বনাশের বাংলা তিনি তৈরি করেছেন, তাকে ঢেকে রাখা যাবে না। রাজ্যের মানুষ এই তৃণমূল সরকারের বুজরুকি ধরে ফেলেছেন। অন্যায় করা তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে ন্যায়ের পক্ষে বিরোধীরা যে লড়াই করছে, তাতে যদি সমালোচনা আসে, তবুও তারা সেই লড়াই বজায় রাখবে। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!