এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > স্কুল-স্পোর্টসে রাজ্য সরকার টাকা দিতেই কি বেনিয়ম? হিসেব দিতে পারছেনা স্কুল পরিচালন সমিতি?

স্কুল-স্পোর্টসে রাজ্য সরকার টাকা দিতেই কি বেনিয়ম? হিসেব দিতে পারছেনা স্কুল পরিচালন সমিতি?


 

2011 সালে রাজ্যের ক্ষমতায় আসার পরই তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরব হতে দেখা যায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে। প্রশাসন থেকে খাদ্য দপ্তর, স্বাস্থ্য থেকে ক্রীড়া দপ্তর, বিভিন্ন ক্ষেত্রে স্বজনপোষণ এবং দুর্নীতি চলছে বলে দাবি করে বিরোধীরা। আর এবার 2018 সালে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় পরিচালন কমিটির বিরুদ্ধে উঠল আর্থিক অস্বচ্ছতার অভিযোগ। যা নিয়ে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে গোটা দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায়।

জানা যায়, গত বছর রাজ্য সরকারের তরফে এই প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলির জেলা ক্রীড়া প্রতিযোগিতার খরচ হিসেবে 6 লক্ষ 77 হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। যেখানে অঞ্চল এবং সার্কেলস্তরে 2 লক্ষ 30 হাজার টাকা বরাদ্দ এবং এসএসকেগুলির কাছ থেকে 1500 টাকা করে নেওয়া হয়।

সূত্রের খবর, গত 5 তারিখ এই নিয়ে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। আর সেখানেই গত বছরে বরাদ্দ টাকার হিসেব পেশের বিষয়টি উঠে আসলে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়।অভিযোগ, রাজ্য সরকারের বরাদ্দ 6 লাখ 77 হাজার টাকার হিসেব পেশ করা হলেও বাকি টাকাগুলোর হিসেবে পেশ করা হয়নি। যা নিয়ে বৈঠকের মধ্যেই সরব হন সরকারি আধিকারিক এবং শাসক দলের প্রতিনিধিরা।

এদিন এই প্রসঙ্গে বৈঠকের মাঝে সরব হওয়া দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ তথা তৃণমূল নেতা প্রবীর রায় বলেন, “আমাকে বৈঠকে ডাকা হয়েছিল। সেখানে আমি উপস্থিত ছিলাম। বৈঠকে ক্রীড়া পরিচালন কমিটি গত বছরের পুরো হিসেবে দেখাতে পারেনি। শিক্ষক সংগঠন ও আমি নিজেও সরব হয়েছিলাম। পুরো হিসেব দেখানো উচিত। কোনো কিছু না হলে কেন পুরো হিসাব সামনে আনা হবে না!” একইভাবে এই বিষয়ে সরব হতে দেখা গেছে নিখিলবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সম্পাদক শংকর ঘোষকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন তিনি বলেন, “পুরো টাকার হিসেব দেখানো নিয়ে সরব হয়েছিলাম। মিটিংয়ে গতবারের পুরো হিসাব দেখানো হয়নি। এবছরের ক্রীড়া পরিচালন কমিটিতে শাসকদলের সংগঠনের নেতাদের রাখা হয়েছে। বিরোধী দলের কাউকে রাখা হয়নি। আমরা গতবারের ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় খরচ নিয়ে প্রশাসনের তদন্ত দাবি করছি।” অন্যদিকে এই ব্যাপারে প্রচন্ড অনিয়ম হয়েছে বলে জানান সারাবাংলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির জেলা সম্পাদক বিশ্বনাথ শীল।

একইভাবে আয়-ব্যয়ের হিসাব দ্রুত প্রকাশ্যে আনা উচিত বলে জানিয়েছেন বঙ্গীয় প্রাথমিক নব উন্মেষ সঙ্ঘের সম্পাদক রাহুল দেব রায়। তবে পরিচালন সমিতি থেকে শুরু করে বিগত বছরের হিসেব নিয়ে নানা মহলে নানা প্রশ্ন উঠলেও সেই ব্যাপারে অন্য কথা বলছে কর্তৃপক্ষ। এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূল শিক্ষক নেতা তথা ক্রীড়া পরিচালনা কমিটির সম্পাদক সুকুনাল হাঁসদা বলেন, “হিসেব পুরো দেখানো হয়েছে। কোথাও কোনো অস্বচ্ছতা নেই। ভিত্তিহীন অভিযোগ তোলা হচ্ছে। আমরা সব রকম চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত।”

অন্যদিকে এই ব্যাপারে এই বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই। যা বলার পরিচালন কমিটির সম্পাদক বলবেন বলে জানিয়ে দেন জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক মৃনাল রায়। তবে কর্তৃপক্ষ যে কথাই বলুন না কেন, স্কুল স্পোর্টসের বরাদ্দ টাকার হিসেব নিয়ে যেভাবে শাসক থেকে বিরোধী নেতারা সরব হয়েছেন, তাতে দুর্নীতি যে বাসা বেধেছে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত প্রায় সকলেই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!