এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > পদ পেতেই তৃণমূলের “রোগ” ধরে ফেললেন ছত্রধর? জঙ্গলমহলে তাঁর গতিবিধি নিয়ে শাসকদলের নতুন আশা

পদ পেতেই তৃণমূলের “রোগ” ধরে ফেললেন ছত্রধর? জঙ্গলমহলে তাঁর গতিবিধি নিয়ে শাসকদলের নতুন আশা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –গত লোকসভা নির্বাচনে জঙ্গলমহলে তৃণমূল কংগ্রেসের ফলাফল অত্যন্ত খারাপ হয়েছিল। ঘাসফুলকে উঠিয়ে দিয়ে বিজেপি নেতারা সেখানে ফুটিয়ে দিয়েছিলেন পদ্মফুল। আর এরপর থেকেই জঙ্গলমহলের সংগঠনকে চাঙ্গা করতে তৃণমূলের পক্ষ থেকে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। একাধিক হেভিওয়েট নেতা, মন্ত্রীকে দায়িত্ব দিয়ে সংগঠনকে চাঙ্গা করার চেষ্টা করেছে শাসকদল। দলীয় তদন্তে উঠে এসেছে, নিচুতলার নেতাদের দুর্নীতি এবং জনসাধারণের সঙ্গে না মেশার কারনেই এই খারাপ ফলের সম্মুখীন হতে হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসকে।

সম্প্রতি জঙ্গলমহলে একসময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত কাছের ছত্রধর মাহাতো তৃণমূলের গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন হয়েছেন। মনে করা হচ্ছে, ছত্রধর মাহাতোকে দিয়ে জঙ্গলমহলের ভোটব্যাঙ্ক নিজেদের দিকে আনতেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে তাকে গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়া হয়েছে। আর দায়িত্ব পাওয়ার সাথে সাথেই রীতিমতো কাজ শুরু করে দিয়েছেন ছত্রধরবাবু। সূত্রের খবর, নতুন পদ পাওয়ার পর এদিন জেলা কমিটির সভায় যোগ দিয়েছিলেন ছত্রধর মাহাতো।

আর সেখানেই কেন তৃণমূল কংগ্রেস গত লোকসভা নির্বাচনের খারাপ ফলাফল করেছে, সেই ব্যাপারে তাকে আসল কারন বলতে শোনা যায়। স্পষ্ট ভাষায় তিনি জানিয়ে দেন, জনগণের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার কারণেই তৃণমূল কংগ্রেসের এই ফলাফল হয়েছে। অর্থ্যাৎ জঙ্গলমহলে তৃণমূল নেতারা যে সঠিকভাবে মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করেননি, আর তার ফলেই যে তৃণমূলকে জঙ্গলমহলে হার দেখতে হয়েছে, তা দায়িত্ব পাওয়ার পরেই দলীয় সভায় উপস্থিত হয়ে জানিয়ে দিয়েছেন ছত্রধর মাহাতো। এদিন তিনি বলেন, “সংগঠনের পক্ষ থেকে দলীয় সম্মেলনের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচন করতে হবে। পুরনোদের বাদ দিয়ে নয়, পুরনো এবং নতুনদের নিয়ে বুথস্তর থেকে কমিটি করা হবে। তারপরে অঞ্চল এবং ব্লক স্তরের সম্মেলন হবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সর্বোপরি জেলা সম্মেলনের মধ্যে দিয়ে নয়া জেলা কমিটি তৈরি করা প্রয়োজন। লোকসভায় তৃণমূলের বিচ্ছিন্ন হওয়ার জন্যই খারাপ ফলাফল হয়েছে।” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিগত বাম আমলে ছত্রধর মাহাতো জনসাধারণ কমিটির নেতা হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে থেকে তৎকালীন বাম সরকারের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। যার পর তাকে দীর্ঘদিন জেলে থাকতে হয়েছিল। সম্প্রতি জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর তার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে নানা মহলে জল্পনা ছড়ায়। তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে সক্রিয়ভাবে রাজনীতিতে নামবেন কিনা, তা নিয়ে তৈরি হয় প্রশ্ন।

অবশেষে তাকে রাজ্যের সম্পাদক করে জঙ্গলমহলের সংগঠন চাঙ্গা করার দায়িত্ব দিয়েছেন তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। আর দায়িত্ব পাওয়ার পরেই তৃণমূলের “অসুখ” ধরে সাধারণ মানুষের সঙ্গে আরও বেশি করে নেতাদের মিশতে হবে বলে জানিয়ে দিলেন ছত্রধর মাহাতো। এখন ছত্রধরবাবুর এই কথামত জঙ্গলমহলে তৃণমূল নেতৃত্ব সাধারণ মানুষের সঙ্গে কতটা জনসংযোগ স্থাপন করতে পারে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!