শুভেন্দুর সঙ্গে লড়তে পারে না, সে আবার মোদীকে হারাবে! মমতাকে ধুয়ে দিচ্ছে বিজেপি! কলকাতা জাতীয় তৃণমূল বিজেপি রাজনীতি রাজ্য December 4, 2023 প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- তিনি এত বড় নেত্রী যে, বিজেপিকে নাকি ক্ষমতাচ্যুত করবেন! কিন্তু পাঁচ রাজ্যে যে ইন্ডিয়া জোট তিনি এবং তার বন্ধু নেতা নেত্রীরা মিলে তৈরি করেছিলেন, সেখানে তো তারা ধরাশায়ী হয়েছেন। তারপরেও মুখ দেখান কি করেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী? সামান্য লজ্জা থাকলে হয়ত তিনি আর সর্বভারতীয় রাজনীতি করবেন না। কিন্তু ক্ষমতা পিপাসু একজন নেত্রী যা খুশি তাই করতে পারেন। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবার হয়তো সর্বভারতীয় স্তরে নিজের গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানোর জন্য অনেক চেষ্টা করবেন। কিন্তু সেসবের লাভ হবে না বলেই দাবি করছে গেরুয়া শিবির। আর এই পরিস্থিতিতে রেডরোডের সভা থেকে মোদীকে হারানো নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বর্তমানে পৃথিবীতে যে কয়েকটি দেশ আছে, তার মধ্যে নেতৃত্ব দেওয়ার মতো এবং শক্তিশালী নেতা হিসেবেই সুখ্যাতি রয়েছে ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রীর। ফলে একটি প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হয়ে যে প্রদেশকে তিনি ধ্বংস করে দিয়েছেন দুর্নীতি এবং স্বজনপোষনের মধ্যে দিয়ে, তিনি কি করে সেই শক্তিশালী নেতার সঙ্গে লড়াই করবেন, সেটাই তো একটা বড় প্রশ্ন। আর তার মধ্যেই শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল নেত্রীর অস্বস্তি দ্বিগুণভাবে বাড়িয়ে দিলেন। প্রসঙ্গত, এদিন রেডরোডের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “মমতা ব্যানার্জি নাকি মোদীকে হটাবে! আরে মোদীকে হটাতে হলে মমতা ব্যানার্জিকে পাঁচবার জন্ম নিতে হবে। মোদীকে পরে হটাবেন। আগে মোদীর ছানার সঙ্গে লড়। শুভেন্দুর কাছে হারে, সে আবার বড় বড় কথা বলছে!” বলা বাহুল্য, মমতা ব্যানার্জির কাছে এখনও যন্ত্রণার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে নন্দীগ্রামের পরাজয়। তিনি যতবার শুভেন্দু অধিকারীকে দেখছেন, ততবার তার জ্বালা যন্ত্রণা অনুভব হচ্ছে যে, তিনি এই শুভেন্দু অধিকারীর কাছেই পরাজিত হয়েছেন। ফলে সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ক্ষমতাচ্যুত করার স্বপ্ন দেখেন, সেটাই তো ভেবে পাচ্ছেন না বিশেষজ্ঞরা। যদি তিনি সত্যিই নেত্রী হবেন, যদি তিনি সত্যিই মানুষের কাছাকাছি পৌঁছবেন, তাহলে কেন নন্দীগ্রামে জিততে পারলেন না? আগে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে তিনি জিতে দেখান। তারপর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে লড়াই করার চিন্তা ভাবনা করবেন বলেই দাবি সমালোচকদের। ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে তৃণমূল নেত্রীকে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে মানুষের কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি মানুষকে দমন পীড়নের মধ্যে দিয়েই এই 12 বছর ধরে ক্ষমতা উপভোগ করেছেন। তাই তার রাজনৈতিক চরিত্র সম্পর্কে গোটা বাংলা এবং দেশের মানুষ অবগত। ক্ষমতা থেকে বিদায় নেওয়ার জন্য তৈরি হয়ে যান এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীকে হটানোর স্বপ্ন দেখেছেন তিনি। কিন্তু আগামী লোকসভায় তিনি নিজেই এই রাজ্য থেকে বিদায় নেওয়ার মত পরিস্থিতিতে চলে আসবেন। নামের আগে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শব্দ ব্যবহার করতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের। পর্যবেক্ষকদের মতে, শুভেন্দু অধিকারী এদিন যে কথা বলেছেন, তা তো যুক্তিপূর্ণ কথা। সত্যি তো তাই! যিনি নিজে একটি রাজ্যে ক্ষমতায় থাকার পরেও বিরোধী নেতার কাছে হেরে যান, তার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার কতটা যোগ্যতা রয়েছে, সেটাই তো বড় প্রশ্ন। তার মধ্যে তিনি নাকি দেশের প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমতাচ্যুত করবেন! সত্যিই এটা আষাঢ়ে গল্প ছাড়া আর কিছু নয়। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে লড়তে তাকে কেউ বাধা দিচ্ছে না। কিন্তু সেই লড়াইয়ের ক্ষেত্রেও একটা গুণগত যোগ্যতা প্রয়োজন। এতদিন ধরে বাংলায় যে দুর্নীতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার সরকার করেছে এবং যেভাবে তিনি নিজে বিরোধী নেতার কাছে হেরেছেন, তাতে সেই সামান্য যোগ্যতাটুকুও এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হারিয়ে ফেলেছেন। তার মেকী সততার প্রতীকের মুখোশ টেনে খুলে দিচ্ছেন এই রাজ্যের সাধারণ মানুষ। শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা। আপনার মতামত জানান -