প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি ডায়মন্ড হারবারের ঘটনায় বৃহস্পতিবার হাওড়ায় বিক্ষোভ দেখাতে দেখা যায় বিজেপির। সেখানে জেলাশাসকের বাসভবনের সামেন বিক্ষোভ দেখানো হয়।সেইসঙ্গে ঘটনায় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে দলের কয়েক জন সদস্য আহত হন বলেও জানা যায়। হাওড়া জেলা হাসপাতালে তাঁদের ভর্তি করা হয়।

আর সেখানেই তাঁদের দেখতে গিয়ে দিলীপ ঘোষের সুরে সুর মেলাতে দেখা যায় বিজেপি নেত্রীকে। জানা যায় দিলীপ ঘোষের মত এমনই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিজেপির মহিলা মোর্চার সভানেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল। এদিন তিনি বলেন, ‘‘১৩০ জন বিজেপি কর্মীর খুনের বদলা আমরা নেবই।’’

অন্যদিকে, বিজেপি কর্মীদের মারধরের অভিযোগ হাওড়া পুলিশ অস্বীকার করলে, জেলাশসকের বাংলো অভিযানে কেন পর্যাপ্ত মহিলা পুলিশ মোতায়েন করা হয়নি? সেইসঙ্গে কেনই বা পুরুষরা মহিলা কর্মী-সমর্থকদের গায়ে হাত তুললেন? এমনই পাল্টা প্রশ্ন করতে শোনা যায় অগ্নিমিত্রা পালকে। সেইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও সমালোচনা করতে দেখা যায় তাঁকে।

উনি কলপাড়ের ভাষা বলছেন। কখন কী বলবেন নিজেই জানেন না বলে কটাক্ষ করেন তিনি। তবে তিনি জানান, আর চার মাস বাকি। তাঁদের উপর যত অত্যাচার হবে, তত তাড়াতাড়ি তাঁরা মসনদের দিতে এগোবেতন বলেও জানান তিনি। যদিও এই ঘটনার সমালোচনা করে উল্টে বিজেপিকেই অভিযুক্ত হিসেবে সাব্যস্ত করেছেন রাজ্যের সমবায় মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা অরূপ রায়কে।

এদিন তিনি বলেন, বিজেপি একটা উশৃঙ্খল। এরা উশৃঙ্খলতা ছাড়া কিছু জানে না। এরা উশৃঙ্খলতা করবে। কিন্তু প্রশাসন এর মোকাবিলা করবে বলেই হুঁশিয়ারি দেন তিনি। তাঁর মতে, খবরের শিরোনামে উঠে আসতে, পরিকল্পনা করে নিজেরাই দলের নেতাদের উপর হামলা চালিয়েছে বলেই অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি।

সেইসঙ্গে কৃষকবিল নিয়েও অভিযোগ করে তিনি বলেন, কৃষক বিরোধী, জনস্বার্থ বিরোধী এই বিলের প্রতিবাদ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কৃষকদের সঙ্গে ছিলেন, তিনি থাকবেন। তাঁর কথায়, এই বিলের বিরোধিতা করে তৃণমূল তথা রাজ্যের সরকার এবং সাড়া দেশের কৃষকরা যে আন্দোলনে নেমেছেন, মুখ্যমন্ত্রী তাকে সমর্থন করেন। সেইসঙ্গে যতদিন না এই বিল প্রত্যাহার হচ্ছে, ততদিন এই আন্দোলন চলবে বলেও জানান তিনি।