এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > জেলযাত্রা তো সবে শুরু, আরও বিপদে মমতা! দুর্নীতির বিরুদ্ধে চরম হুঙ্কার শুভেন্দুর!

জেলযাত্রা তো সবে শুরু, আরও বিপদে মমতা! দুর্নীতির বিরুদ্ধে চরম হুঙ্কার শুভেন্দুর!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- চোর তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে যে লড়াই শুভেন্দু অধিকারী শুরু করেছেন, তার শেষ কবে হবে, সেটাই মূল প্রশ্ন। বিরোধীরা বলছেন, শেষ সেদিন হবে, যেদিন প্রধান মাথা জেলে যাবেন। কিন্তু কবে সেই দিন আসবে? দুর্নীতির বিরুদ্ধে যে লড়াই চলছে, তাতে কি প্রধান মাথার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তার বা পদক্ষেপ নেওয়ার মত সাহস হবে কেন্দ্রীয় সংস্থার? আর এই সমস্ত প্রশ্ন যখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে, ঠিক তখনই রেড রোড থেকে চরম হুঙ্কার দিয়ে বসলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। একের পর এক নেতা, মন্ত্রীরা গ্রেপ্তার হচ্ছেন। কিন্তু এখন তেমন কোনো পদক্ষেপ আর নিতে দেখা যাচ্ছে না কেন্দ্রীয় সংস্থাকে। তাই অনেকেই ভাবছেন, হয়ত গ্রেপ্তারির পালা শেষ হয়ে গেল। কিন্তু তেমনটা নয়। বড় কোনো রাঘববোয়াল এবার জালে ধরা পড়বে। তাই সেই ব্যাপারে আজ ভয়াবহ ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন শুভেন্দু অধিকারী।

প্রসঙ্গত, আজ রেডরোডের সভা থেকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে মন্তব্য করতে গিয়ে সাধারণ মানুষের হতাশাকে দমন করার চেষ্টা করেন শুভেন্দু অধিকারী। সকলকে আশ্বস্ত করে তিনি বলেন, “অনেকেই ভাবছেন, পার্থ, বালু, অপা, মানিক, কেষ্ট, সুকন্যা সকলে জেলে গিয়েছে। আর কি কেউ জেলে যাবে না? আমি বলছি, না, সবংস মমতা জেলে যাবে। চোরেদের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চলবে।” অর্থাৎ যারা হতাশ হয়েছিলেন, যারা বলতে শুরু করেছিলেন যে, সেটিং হয়ে গেছে। তাদের সেই বক্তব্য খারিজ হয়ে গেল। শুভেন্দু অধিকারী যথেষ্ট আশাবাদী, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তদন্ত নিয়ে। তিনি জানেন যে, আরও অনেক বড় চোর ধরা পড়বে। তাই দুর্নীতি বিরোধী লড়াইয়ে সাধারণ মানুষের হতাশ হওয়ার মত কিছু নেই। আগামী দিন আরও অনেক বড় সুখবর আসছে রাজ্যের গণতন্ত্রপ্রেমী জনসাধারণের কাছে।

বিজেপির দাবি, দুর্নীতি করে কেউ রেহাই পাবে না। পশ্চিমবঙ্গে আইনের শাসনকে ধ্বংস করলেও দেশে আইন রয়েছে। আর সেই আইন আদালত বাংলার দুর্নীতির চূড়ায় বসে থাকা নেত্রীকে কোনোমতেই ছেড়ে কথা বলবে না। সাময়িক ভাবে হয়ত তদন্তের কারণে জেল যাওয়ার যাত্রা স্তব্ধ হয়েছে। কিন্তু তালিকা অনেক লম্বা। আগামী দিনে তৃণমূলের দলীয় বৈঠক থেকে শুরু করে মিটিং, সবকিছুই এই জেলেই করতে হবে। কারণ দুর্নীতির সঙ্গে তৃণমূল ওতপ্রোত ভাবে জড়িত। তাই কেউ দোষ করে রেহাই পাবে না বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, শুভেন্দু অধিকারী এই সমস্ত কথা বলতে পারছেন, কারণ, তিনি তৃণমূলের ভেতরে অনেক দিন ছিলেন। তিনি জানেন, এই দল কতটা দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। তাই বিরোধী নেতা হিসেবে তিনি একের পর এক ভান্ডা ফোর করে দিচ্ছেন। আর তাতেই জর্জরিত হয়ে যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এত দুর্নীতি হচ্ছে, অথচ সরকার এবং সেই তৃণমূল দলের প্রধান মাথা কিছু জানে না, এটা হতেই পারে না। তাই আগামী দিন চরম বিপদ অপেক্ষা করছে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর জন্য। যে চুরি, যে দুর্নীতিতে পশ্চিমবঙ্গ ডুবে রয়েছে, তা থেকে বাংলাকে উদ্ধার করতে গেলে চোরেদের শাস্তি দিতেই হবে। শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!