এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > পিসি ছাড়া মুরোদ নেই ভাইপোর, পাত্তাই দিলেন না শুভেন্দু! মোক্ষম জবাব, খোঁচা বিজেপির!

পিসি ছাড়া মুরোদ নেই ভাইপোর, পাত্তাই দিলেন না শুভেন্দু! মোক্ষম জবাব, খোঁচা বিজেপির!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-আঞ্চলিক দল তৃণমূলের সর্বভারতীয় নেতা হয়ে অনেক বড় বড় কথা শোনা যায় ভাইপোর গলায়। তবে তিনি তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীদের কাছে অনেক বড় নেতা হতে পারেন, কিন্তু বাংলার মানুষের মন জয় করতে তাকে আরও সাত জন্ম তপস্যা করতে হবে। কোনো লড়াই নেই, কোনো আন্দোলন নেই, উড়ে এসে জুড়ে বসে তিনি নেতা হয়ে যাবেন, আর সেটা বাংলার মানুষ মেনে নেবে, এটা হতে পারে না। ভাইপোর বিরুদ্ধে কটাক্ষ করে এমনই সব বক্তব্য রাখতে দেখা যায় বিরোধী নেতাদের। এবার সেই ভাইপোর মুখোশ খুলে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পিসির আলোকে আলোকিত হয়ে অনেক বড় বড় ভাষণ দেওয়া যায়। কিন্তু নিজের পরিচয়ে রাজনৈতিক নেতা হয়ে উঠতে পারেননি বাংলার যুবরাজ। তাই তার কথার গুরুত্ব নেই লড়াই করা গ্রামের ছেলে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে। অতীতেও এই ভাইপোকে কটাক্ষ করে অনেক কথা বিরোধী দলনেতার মুখ থেকে শোনা গিয়েছে। কিন্তু এদিন তিনি যে কথা বললেন, তাতে প্রেস্টিজ ডাউন হয়ে যাওয়ার জোগাড় বাংলার যুবরাজের।

প্রসঙ্গত, এদিন বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে অনেক বড় বড় কথা বলেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তার পরিপ্রেক্ষিতেই শুভেন্দু অধিকারীকে প্রশ্ন করা হয়েছিল। যে প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “ওর পাশ থেকে পিসি শব্দটা সরিয়ে নিলে ওতো বিগ জিরো। ওর কোন গুরুত্ব আছে? ওর রাজনৈতিক ব্যাখ্যা কে শুনবে! ওর মডেল তো কুন্তল, শান্তনু, দেবরাজ মডেল। এই বাচ্চা বাচ্চা ছেলেগুলো মানুষের টাকা লুট করেছে। এটাই তো ওর মডেল।” একাংশের মতে, ঠিক কথাই তো বলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পরেই তো ভাইপোর এত বাড়বাড়ন্ত শুরু হয়েছে। তৃণমূলের নেতারা হয়ত তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে পারছেন না। কিন্তু তৃণমূলের যারা একটু বর্ষীয়ান নেতা রয়েছেন, যারা দীর্ঘদিন এই দলের সঙ্গে ছিলেন, যারা বাম আমলে লড়াই করেছেন, তারা অন্তত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্ব মেনে নিলেও ভাইপোর নেতৃত্ব মানতে পারছেন না। কারণ উড়ে এসে জুড়ে বসা নেতাকে মেরুদন্ড নিয়ে রাজনীতি করা ব্যক্তিরা আর যাই হোক, মেনে নিতে পারবেন না। আর সেটা মানতে পারেননি বলেই শুভেন্দু অধিকারী দল পরিবর্তন করে এই স্বৈরাচারী শাসকের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন বলেই দাবি একাংশের।

ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে তৃণমূলকে খোঁচা দিতে শুরু করেছে বিজেপিও। তাদের দাবি, মোক্ষম জবাব দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। সত্যিই তো জিরো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি যদি প্রকৃত নেতা বলে নিজেকে দাবি করেন, তাহলে এবার ডায়মন্ড হারবারে জিতে আসুন। তাহলেই বোঝা যাবে, তিনি কত বড় নেতা! ক্ষমতা নিয়ে হাজার হাজার পুলিশ নিয়ে বিরোধীদের খুব সহজেই দমন করা যায়। কিন্তু বিরোধী রাজনীতি যা শুভেন্দু অধিকারী করছেন, তা একদিনের জন্যেও করার মত হিম্মত এই বাংলার যুবরাজের হবে না। তাই পকেটে হাত ঢুকিয়ে এত বড় বড় কথা না বলে, মানুষের কাছে গিয়ে প্রকৃত নেতা হওয়ার চেষ্টা করুন। তা না হলে আগামী দিনে মানুষ রাজনৈতিক ভাবে টাটা বাই বাই জানিয়ে দেবে বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, বিগত বাম আমলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে লড়াই হয়েছিল ঠিকই। কিন্তু সেই লড়াইয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বর্তমান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। কিন্তু সেই শুভেন্দু অধিকারীকে সরিয়ে তার জায়গায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বসিয়ে তৃণমূল দলকে কোম্পানিতে পরিণত করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যার ফল আজকে তাকে হাতেনাতে পেতে হচ্ছে। দলের মধ্যেই অনেক নেতা নাম না করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্ব না মানার কথা বলে দিচ্ছেন। তাই ঘরে বাইরে তৃণমূল নেত্রী যথেষ্ট চাপে। নিজের পিসির আলোকে আলোকিত হয়ে রাজনীতি খুব সহজেই করা যায়। কিন্তু ক্ষমতা ছাড়া আক্ষরিক অর্থেই বিগ জিরো এই আঞ্চলিক দলের সর্বভারতীয় ভাইপো। শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!