এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের হাল ফেরাতে ভরসা যোগাচ্ছে রাজ্যের ‘কর্মসাথী’ প্রকল্প,

ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের হাল ফেরাতে ভরসা যোগাচ্ছে রাজ্যের ‘কর্মসাথী’ প্রকল্প,


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –করোনা ভাইরাস এবং তাকে কেন্দ্র করে লকডাউনের জেরে ইতিমধ্যেই অনেক মানুষ তাদের কর্মক্ষেত্র হারিয়ে ফেলেছে। যার ফলে দিনকে দিন বাড়ছে বেকারের সংখ্যা। আর এই পরিস্থিতিতে সম্প্রতি সেই বেকার যুবক-যুবতীদের কথা মাথায় রেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ঘোষণা করে ‘কর্মসাথী’ নামে এক প্রকল্প। আর উৎসবের মরসুম আসার আগে ক্ষুদ্র এবং কুটির শিল্পের হাল ফেরাতে আরামবাগ মহকুমা জুড়ে বড় ভরসা হয়ে দাঁড়িয়েছে মা মাটি মানুষের সরকারের সাধের এই কর্মসাথী প্রকল্প।

জানা গেছে, লকডাউনে যে সমস্ত ভিন রাজ্য থেকে আসা শ্রমিকরা রয়েছেন, তারা এই প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত হতে আগ্রহ দেখাতে শুরু করেছেন। ইতিমধ্যেই সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, এই প্রকল্পের মাধ্যমে যোগ্য আবেদনকারীদের দু লক্ষ টাকা ঋণের ব্যবস্থা করা হবে। যার ফলে হুগলি জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা আরামবাগ মহকুমায় ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা যাচ্ছে এই প্রকল্পকে কেন্দ্র করে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত 9 সেপ্টেম্বর রাজ্য সরকারের তরফে “কর্মসাথী” প্রকল্প ঘোষণা করা হয়। জানা যায়, এই প্রকল্পের জন্য গ্রামের বাসিন্দারা ব্লক অফিস এবং পৌরসভার বাসিন্দারা এসডিও অফিসে আবেদনপত্র জমা করতে পারবেন। যেখানে আবেদনকারীর বয়স 18 থেকে 50 বছরের মধ্যে হতে হবে। আর এই প্রকল্পের আবেদন করার জন্য সচিত্র পরিচয় পত্র, আধার কার্ড, শিক্ষাগত যোগ্যতা, বয়সের প্রমাণপত্র, জাতি শংসাপত্র, প্রতিবন্ধী শংসাপত্র এবং অবশ্যই নিজের নামের প্রজেক্ট রিপোর্টের কপি জমা দিতে হবে। এছাড়াও কেউ যদি কোনো ব্যবসা করে থাকেন, তাহলে তার ট্রেড লাইসেন্স জমা দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একাংশ বলছেন, এই আরামবাগ মহকুমায় ছটি ব্লক এবং একটি পৌরসভার 80 শতাংশ মানুষ কৃষির উপর নির্ভরশীল। তাঁতশিল্প থাকলেও বর্তমানে তার খুব একটা কদর নেই। তাই লকডাউনের কারণে এখানকার যে সমস্ত মানুষ ভিন রাজ্যে কাজ করতে গিয়েছিলেন, তারা আবার কর্মহারা হয়ে নিজেদের বাড়িতে ফিরে এসেছেন। তাই এই পরিস্থিতিতে সংসার চালাতে অনেকেই হিমশিম খাচ্ছেন। ফলে তাদের কাছে এখন ভরসার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে সরকারের এই কর্মসাথী প্রকল্প। ইতিমধ্যেই বহু যুবক সেই প্রকল্পে তাদের নাম নথিভুক্ত করতে শুরু করেছেন।

এদিকে সমস্ত কিছু হারিয়ে নতুন করে এই “কর্মসাথী” প্রকল্পের মধ্যে দিয়ে আশার আলো দেখতে পাওয়ায় খুশি এখানকার বাসিন্দারা। এদিন এই প্রসঙ্গে খানাকুলের বাসিন্দা সৈকত বিশ্বাস বলেন, “এতদিন রাজস্থানে জুয়েলারির কাজ করেছি। বাড়িতে বৃদ্ধ বাবা-মা রয়েছে। বড় দুশ্চিন্তা হয়। তাই বাইরে আর কাজে যাব না। দিদির ঘোষিত কর্মসাথী প্রকল্প সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়েছি্ দু-একদিনের মধ্যেই আবেদন জমা দেব। দু লক্ষ টাকা ঋণ পেলে ছোট করে ব্যবসা শুরু করব।”

এদিকে এই ব্যাপারে আরামবাগ মহকুমার প্রকল্প আধিকারিক বলেন, “মূলত ক্ষুদ্র, কুটির এবং মাঝারি শিল্পের মাধ্যমে বেকার যুবক-যুবতীদের স্বনির্ভর করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে সরকার। জমা দেওয়া আবেদনপত্র ব্লক বা এসডিও দপ্তর থেকে প্রাথমিকভাবে খতিয়ে দেখা হবে। তারপর তা ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। পরবর্তীতে ব্যাংকের তরফ থেকে তা খতিয়ে দেখে লোন দেওয়া হবে।” সব মিলিয়ে এবার সরকারের উদ্যোগে ঘোষিত “কর্মসাথী” প্রকল্পে লকডাউনের মধ্যে কাজ হারিয়ে যাওয়া যুবকরা এখন আশার আলো দেখতে শুরু করেছেন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!