মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের কার্নিভালে সরকারি টাকার খরচ নিয়ে সুর চড়াতে শুরু করলেন বিরোধীরা রাজ্য October 25, 2018 অতীতে ক্লাবগুলিকে অর্থ দেওয়া নিয়ে বিরোধীদের তোপের মুখে পড়তে হয়েছিল রাজ্যের মা মাটি মানুষের সরকারকে। সাহায্য নয়, মুখ্যমন্ত্রী তোষণ করছেন বলেও তোপ দেগেছিলেন বিরোধী বাম, কংগ্রেস এবং বিজেপি নেতারা। এবার মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের দুর্গা কার্নিভালকে নিয়েও ময়দানে নেমে পড়লো সেই বিরোধী দলগুলো। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বেশ কয়েক বছর ধরেই রাজ্যের এই দুর্গোৎসবকে বিশ্ববন্দিত করতে কলকাতার রেড রোডে দূর্গা পূজা কার্নিভালের আয়োজন করে রাজ্য সরকার। যেখানে উপস্থিত থাকেন দেশ এবং বিদেশের প্রতিনিধিরাও। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। কিন্তু এই দুর্গা কার্নিভালকে ঘিরে যখন উৎসব মুখর হয়ে উঠেছে রাজ্য, ঠিক তখনই এই ইস্যুতে কোটি কোটি টাকা খরচ নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগতেই ব্যস্ত বিরোধী নেতারা। এদিন এ প্রসঙ্গে রাজ্যের বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “রাজ্যের শিল্প এবং কর্মসংস্থান না করে মুখ্যমন্ত্রী দুর্গা বিসর্জনের শোভাযাত্রার মধ্যে দিয়ে বিদেশীদের কাছে বিনিয়োগের আহ্বান জানাচ্ছেন। আর এই উৎসবে কোটি কোটি টাকা খরচ করে সরকার ফের প্রমাণ করলো যে, তারা শিল্পের আগমন নয় বরঞ্চ শিল্পের বিসর্জন দিল।” অন্যদিকে এই ধরনের দুর্গা কার্নিভালকে “অর্থহীন” বলে কটাক্ষ করেছেন রাজ্য প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি সোমেন মিত্র। এদিন তিনি বলেন, “শাসক দল নিজেদের মধ্যেই যেভাবে অন্তর্কলহে জড়িয়ে পড়েছে তাতে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা এখন প্রশ্নের মুখে। আর এই অবস্থায় সরকারি অর্থে দুর্গা কার্নিভালের আয়োজন কোনোভাবেই রাজ্যের মুখ হতে পারে না।” ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে এক ধাপ এগিয়ে দুর্গাপুজোকে এইভাবে অর্থহীন করে দেওয়া হয়েছে বলে সরকারকে কটাক্ষ করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “পুজোর ভক্তি, দর্শন সব আড়ালে চলে যাচ্ছে। সামনে আসছে শুধু বৈভব উৎসব আর মোচ্ছব। এভাবে কোনোওদিন দুর্গাপুজো হতে পারে না।” রাজনৈতিক মহলের মতে, এই রাজনৈতিক তরজার সমস্ত কিছুই আসন্ন লোকসভা ভোটকে কেন্দ্র করে। আর তাই দুর্গা কার্নিভাল কে দিয়ে শুরু এই তরজা শেষ পর্যন্ত কোথায় থামে সেদিকেই এখন তাকিয়ে সকলে। আপনার মতামত জানান -