এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > আবহাওয়া > কিছুটা হলেই সংকট কাটছে, যশের অভিমুখ বদলাচ্ছে, তবে ছাড় নেই বাংলাতেও

কিছুটা হলেই সংকট কাটছে, যশের অভিমুখ বদলাচ্ছে, তবে ছাড় নেই বাংলাতেও


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গতবছরের আমফানের স্মৃতি এখনো দগদগে হয়ে রয়েছে। করোনার মাঝেই বাংলায় ধেয়ে এসেছিল আম্ফান- যে ঝড় এক লহমায় তছনছ করে দেয় বাংলার প্রকৃতি। এক বছর কাটতে না কাটতেই আবারও ঘূর্ণিঝড়ের ভ্রুকুটি। সাগরের বুকে নতুন একটি ঘূর্ণিঝড়ের উৎপত্তি হয়েছে যার নাম দেওয়া হয়েছে যশ। আন্দামান সাগরে এই ঘূর্ণিঝড়ের উৎপত্তি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আবহাওয়াবিদদের কথায়, শীঘ্রই এই ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপে পরিণত হবে এবং পরবর্তীতে দ্রুত শক্তি বাড়িয়ে গভীর নিম্নচাপ ও ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হবে। হিসেব অনুযায়ী আগামীকাল জন্ম হতে চলেছে এই নতুন ঘূর্ণাবর্তের।

তবে চিন্তার বিষয় হল, এই ঘূর্ণাবর্তটি রূপ পরিবর্তন করে ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিয়ে আবারও বাংলার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়তে চলেছে কিনা তা নিয়ে। তবে আবহাওয়াবিদরা কিছুটা আশ্বাসবাণী দিয়েছেন এই নিয়ে। তাঁরা জানিয়েছেন, বায়ু প্রবাহের গতি বৃদ্ধি যে রকম হয়ে চলছে, তাতে মনে হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় বাংলা পর্যন্ত এগুনোর আগেই অভিমুখ ঘুরে যাবে অন্ধ উড়িষ্যা সীমান্তের দিকে। অর্থাৎ বাংলায় ঢোকার আগেই তা স্থলভূমিতে প্রবেশ করবে এবং মনে করা হচ্ছে অন্ধ্র উড়িষ্যা সীমান্ত দিয়ে উড়িষ্যার গোপালপুর থেকে পারাদ্বীপের মধ্যে যেকোনো জায়গায় আগামী 25 তারিখ মধ্যরাত্রে কিংবা 26 তারিখ সকালে আছড়ে পড়তে চলেছে ঘূর্ণিঝড় যশ। যশ নিয়ে প্রথম থেকেই বাংলা আশঙ্কার প্রহর গুনছিল।

2009 সালের আয়লা ও 2020 সালের আম্ফান বাংলার বুকে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির চিহ্ন এঁকে দিয়ে গিয়েছে। বিশেষ করে দক্ষিণ 24 পরগনা জেলার সুন্দরবন এলাকার মানুষ এই ঝড়ের দুর্দশা আজও বয়ে বেড়াচ্ছে। অন্যদিকে বাংলাকে রক্ষা করতে ইতিমধ্যে রাজ্য সরকার দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, দুই 24 পরগনার জেলা প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়েছেন। সমস্ত জেলার জেলাশাসককে সতর্ক করা হয়েছে। পাশাপাশি ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টকেও রেডি রাখা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সুন্দরবন এবং দীঘার উপকূলবর্তী এলাকার কাছাকাছি যারা থাকেন, তাঁদের প্রত্যেককে মাইকিং করে সতর্ক করা হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, নিম্নচাপ এবং পরবর্তীতে ঘূর্ণিঝড় পরিস্থিতির মধ্যে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী জেলাগুলির কোনো কোনো জায়গায় বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে জানা গেছে। 25 শে মে থেকে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়বে এই রাজ্যে এবং গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে ছড়িয়ে পড়বে। তবে এই মুহূর্তে রাজ্যে চলছে প্রবল গরম। কোথাও কোথাও হালকা বৃষ্টি হলেও তাপমাত্রা কমার কোনো লক্ষণ নেই। সূত্রের খবর, 23 শে মে আন্দামান সাগর এবং সংলগ্ন পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের বেগ 65 কিলোমিটার হতে পারে। তবে 24 ঘন্টার মধ্যে তা বেড়ে দাঁড়াতে পারে 70 কিলোমিটার বেগে।

পাশাপাশি আগামী 24 মে ঝড়ের গতিবেগ সর্বোচ্চ 85 কিলোমিটারে পৌঁছে যেতে পারে। আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা যাচ্ছে, 24 থেকে 26 শে মে এর মধ্যে মধ্য বঙ্গোপসাগরে ঢেউ এর উচ্চতা বাড়বে।  উড়িষ্যা ও পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে সমুদ্র উত্তাল থাকবে এই কয়েকদিন। সব মিলিয়ে আশঙ্কার কালো মেঘ ঘনিয়ে এসেছে। আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে উড়িষ্যা উপকূলের দিকে ঝড়ের গতিমুখ বেঁকে যেতে পারে বললেও এখনো পর্যন্ত তা নিয়ে বিশেষ স্বস্তি পাওয়া যাচ্ছেনা। কারণ যে ঝড় প্রকৃতির বুকে তৈরি হয়, তার গতি প্রকৃতি মানুষের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। তাই ঝড় যে শেষ মুহূর্তে কোন দিকে যাবে, তা এখনো পর্যন্ত সঠিকভাবে বোঝা যাচ্ছে না।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!