এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > গৃহে কিভাবে দেবতার স্থাপনা আপনার জীবনে সুখসমৃদ্ধি নিয়ে আসবে? জেনে নিন বিস্তারে

গৃহে কিভাবে দেবতার স্থাপনা আপনার জীবনে সুখসমৃদ্ধি নিয়ে আসবে? জেনে নিন বিস্তারে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- প্রাচীন ঋগ্বেদে ঈশ্বর শব্দটি দেখা যায় না। তবে সেখানে ঈশ্ ধাতু রয়েছে, যার অর্থ কিছু করতে সক্ষম, যোগ্য। সেই সঙ্গে ঈশ্বর শব্দটি সামবেদ, অথর্ববেদ এবং যজুর্বেদ-এর সংহিতাতেও দেখা যায় না। প্রাচীন ভারতীয় ব্যাকরণজ্ঞ পাণিনি এই প্রসঙ্গে বলেছেন, ঈশ্বর শব্দের আভিধানিক অর্থ আর যাই হোক; কোনোভাবে সৃষ্টিকর্তা বা মহান সত্তা নয়। তবে ব্যুৎপত্তি করলে দেখা যায়, ঈশ্বর শব্দ এসেছে “ঈশ্” ধাতু থেকে, যার অর্থ হল দক্ষ, মালিক, বা শাসক। দ্বিতীয় অংশ ‘বর’ যার আভিধানিক অর্থ হল “সেরা, চমৎকার, সুন্দর। অতএব, এর থেকে ঈশ্বর শব্দের অর্থ হল সেরা বা সুন্দরের স্রষ্টা বলা যেতে পারে।

এক্ষেত্রে প্রাচীন এবং মধ্যযুগের সংস্কৃত ধর্মীয় ধারণা থেকে ঈশ্বরের নানাবিধ অর্থ পাওয়া যায়, যেমন- সৃষ্টিকর্তা, মহান সত্তা, পরমাত্মা, প্রভু, মহাবিশ্বের শাসক, শ্রেষ্ঠী, স্বামী, দেবতা, দয়াময় এবং রক্ষাকর্তা। এদের মধ্যে থেকে অনেকেই আবার ঈশ্বরকে সাকার নিরাকার এই দুই রূপেই দেখে থাকেন। তবে প্রাচীন বৈদিক যুগে প্রকৃতিই ছিল ঈশ্বর, তাই ঈশ্বর সেখানে নিরাকার। কিন্তু পরবর্তীকালে ব্রাহ্মণ্যধর্মের প্রতিষ্ঠার সঙ্গে সঙ্গে ভারতবর্ষে সাকার ঈশ্বরের আরাধনা শুরু হয়। ঈশ্বরের সাকার রূপ বলতে মূর্তি পূজাকেই বোঝানো হয়। হিন্দুধর্মে মূর্তি বা বিগ্রহ বলতে দেবতার প্রতিমাকে বোঝায়।

তবে শব্দটির আক্ষরিক অর্থ হল “অবয়ব”। মূর্তি দেবতার প্রতিনিধি। হিন্দুরা মূর্তির মাধ্যমে দেবতার পূজা করে থাকেন। মূর্তিতে দেবতার আবাহন ও প্রাণপ্রতিষ্ঠা করার পরই হিন্দুরা সেই মূর্তিকে পূজার যোগ্য মনে করেন। ধর্মীয় সংস্কার বা শাস্ত্রের নির্দেশ অনুযায়ী নির্দিষ্ট দেবতার মূর্তি নির্মাণ করা হয়। তবে অনেক ক্ষেত্রেই সুষ্ঠ ভাবে বাড়িতে দেবতার আহ্বান করলেও ভালো ফল পাওয়া যায় না। সেক্ষেত্রে কোন কোন বিষয় মনে রাখতে হবে সেটা দেখে নেওয়া প্রয়োজন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রথমেই জেনে নেওয়া দরকার যে ঈশ্বরের আপনি আরাধনা করতে চান সেই ঈশ্বরের মূর্তি কিভাবে প্রস্তুত করা প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে শাস্ত্র অনুসারে, দেবপ্রতিমা পাথর, কাঠ, লোহা বা সোনা দিয়ে তৈরি করা প্রয়োজন। এছাড়া অনেক ক্ষেত্রেই অষ্টধাতু বা পঞ্চ ধাতুর মূর্তি লক্ষ্য করা যায়। তবে সেক্ষেত্রে এমন কোন মূর্তি প্রতিষ্ঠা করতে গেলে প্রথমে কোন ধাতুর কতটা পরিমাণ থাকা প্রয়োজন সেটা আগে জেনে নিতে হবে। এছাড়া প্রতিমা মাটি বা রত্ন-উপরত্ন দিয়েও নির্মিত হতে পারে। এছাড়া মূর্তি প্রতিষ্ঠা করার সময় তাকে দুধ, ঘি, মধু, গঙ্গাজল এবং দই দিয়ে ভালো করে পবিত্র করে নেওয়ারই রীতি প্রচলিত।

তবে এর সঙ্গে মূর্তির আকার নিয়েও খেয়াল রাখা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে শাস্ত্র মতে, কোন দেবতার আকার মানুষের আঙ্গুলের থেকে কম হওয়া চলবে না। যেহেতু ঈশ্বরকে বা ঈশ্বরের প্রতিমাকে মানুষেরই রূপ দেওয়া হয়, তাই এই নিয়ম বলে অনেকে মনে করেন। এছাড়া গৃহ দেবতার মূর্তির সঙ্গে কোন মন্দিরের দেবতার মূর্তির আকারের পার্থক্য হবে এটা স্বাভাবিক। তবে এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে শুধুমাত্র দেবতার সঠিকভাবে স্থাপনা করা বা নির্মাণ করাই কোন ভক্তের মূল লক্ষ্য নয়। ভক্তের মূল লক্ষ্য হলো ভক্তি দিয়ে ঈশ্বরের উপাসনা করা। একজন নিষ্ঠাবান উপাসকের কাছেই ঈশ্বর তাঁর যথার্থ মহিমার প্রকাশ করেন। শ্রীমৎ ভাগবত গীতাতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলেছিলেন ঈশ্বর সাকার এবং নিরাকার উভয়। নিরাকার ঈশ্বরের আরাধনা করলে শ্রেষ্ঠত্বে লাভ করা যায়। কিন্তু তা সাধারণ মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই সাকার ঈশ্বরের আরাধনা করাই আমাদের কাম্য। তবে ভক্তি ভরে ডাকলে ঈশ্বরের নিশ্চয়ই কৃপা দৃষ্টি লাভ করা সম্ভব হবে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!