এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > কেন বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন মুকুল পুত্র শুভ্রাংশু? এবার কারণ জানালেন নিজেই

কেন বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন মুকুল পুত্র শুভ্রাংশু? এবার কারণ জানালেন নিজেই


প্রিয় বন্ধু মিড়িয়া রিপোর্ট – একটা সময় তৃণমূল দলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড রূপে পরিচিত ছিলেন বাংলার রাজনীতির চাণক্য মুকুল রায়। বাংলার বিভিন্ন স্থানে সাফল্যের সঙ্গে তিনি ঘাস ফুলের বীজ রোপণ করেছিলেন। কিন্তু একটা সময় দলের সঙ্গে মনোমালিন্য তৈরি হয় তাঁর। এরপর তৃণমূল দল ত্যাগ করে যোগদান করেন তিনি বিরোধী দল বিজেপিতে। তিনি বিজেপিতে যোগদান করার পরেও তাঁর পুত্র শুভ্রাংশু রায় কিন্তু আরও দু’বছর তৃণমূল দলেই থেকে গিয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল দলের প্রতি প্রতি তাঁর প্রগাঢ় আস্থার কথাও তিনি একাধিকবার প্রকাশ করেছিলেন।

তাঁকে বলতে শোনা যেত, ” বাবা যাই করুন, আমার নেত্রীর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমার নেতা অভিষেক!” কিন্তু গত ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনের পর তিনি তৃণমূল দল ত্যাগ করলেন, যোগদান করলেন বিজেপিতে। তাঁর তৃণমূল দল ত্যাগ করে বিজেপিতে যোগদান প্রসঙ্গে তিনি গতকাল রাজ্য বিজেপির ফেসবুক পেজে একটি বিশেষ সাক্ষাৎকারে পূর্বোক্ত দলের বিরুদ্ধে একাধিক বিষেদাগার করলেন।মুকুল রায়ের পুত্র সেইসঙ্গে বীজপুরের বিধায়ক শুভ্রাংশু রায় গতকাল জানালেন যে, পিতার বিজেপিতে চলে যাবার পর দু’বছর তাকে প্রবল যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়েছিল তার দলেরই পক্ষ থেকে।

এ প্রসঙ্গে তিনি জানান, পিতার বিজেপিতে যোগ দেবার পর কাঁচরাপাড়ায় তাঁর বাড়ির সামনে প্রতিবাদ মিছিল চালায় শাসকদল তৃণমূল। এমনকি তাঁর বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে প্রস্রাব পর্যন্ত করেছিলেন তৃণমূল দলের বেশ কিছু সদস্য। তাই এ প্রসঙ্গে তার খেদোক্তি, ” আমার পরিবারকে এই সব সহ্য করতে হয়েছে।” শাসক দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে তিনি জানালেন, শাসকদলের একাধিক অনুষ্ঠান মঞ্চে তাঁর সামনেই তাঁর পিতাকে বারবার ‘গদ্দার ‘ বলে আক্রমণ করেছে শাসকদলের বেশকিছু সদস্য। তাই এবার ক্ষিপ্ত হয়ে শাসক দলের প্রতি তার বক্তব্য, ” যাঁরা আমার বাবাকে গদ্দার বলেছেন তাঁদের বাংলা ছাড়া করতেই বিজেপিতে এসেছি।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত, রামায়ণের প্রসঙ্গ উত্থাপন করে তিনি জানালেন, একসময় পিতা দশরথের ইচ্ছায় রামচন্দ্র বনবাসে গিয়েছিলেন। তেমনি তাঁর পিতার ইচ্ছেতেই তিনি শাসকদল তৃণমূল ত্যাগ করে যোগদান করেছেন বিরোধী দল বিজেপিতে। তবে শুধু যে পিতার ইচ্চাতেই তাঁর গৈরিক দলে যোগদান তা নয়। প্রধানমন্ত্রীর আদর্শ, প্রশাসনিক নিষ্ঠার প্রতিও তিনি আকৃষ্ট হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রতি তাঁর শ্রদ্ধাবনত মন্তব্য, ” এমন শক্তিশালী প্রধানমন্ত্রী ভারতবর্ষ আগে কখনও দেখেনি।”

অন্যদিকে শাসকদল তৃণমূলের পক্ষ থেকে অভিযোগ উঠেছে যে, শুভ্রাংশু রায় বীজপুরের বিধায়ক হলেও, বিধায়ক হিসেবে তিনি নিজের কোন কর্তব্যই পালন করেননি। এর প্রত্যুত্তরে তিনি জানান, ” অদ্ভুত অরাজকতা চলছে। আমাকে কাজ করতে দিচ্ছে না তৃণমূল। আবার নিজেরাও কাজ করছে না। বাংলার মানুষ এই অপশাসন থেকে মুক্তি চায়।” প্রাক্তন দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে তাঁর তোলা একাধিক অভিযোগের জবাবে তাঁকে কটাক্ষ করলেন শাসকদল তৃণমূলের জনৈক নেতা। এ প্রসঙ্গে সেই নেতার বক্তব্য, ” উনি দু’বার বিধায়ক হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি.দেখিয়ে। সাহস থাকলে বাবার ছবি.নিয়ে দাঁড়াক, একুশে বীজপুরের মানুষ বুঝিয়ে ছাড়বে কত ধানে কত চাল।”

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!