এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > রাই-কেশব (লাভ স্টোরি ) কলমে – অপরাজিতা = পর্ব ৫

রাই-কেশব (লাভ স্টোরি ) কলমে – অপরাজিতা = পর্ব ৫


দু চারদিন পর একটা ইমার্জেন্সি আসায় দেরি হয়েছে রনোর বাড়ি ফিরতে। অনেকদিন দাড়ি গোফ কিছু স্ট্রিম করা হয়নি। আজ সেলুনে গিয়েছিলো। চোখ বন্ধ করে শ্রীর কথা ভাবছিলো সেলুনের ছেলেটা খুব ছোট করে স্ট্রিম করে দিয়েছে। জঘন্য শেপ করেছে এর থেকে দাড়ি গোফ না থাকা ভালো। রনো বলেছে সব কেটে ফেলতে। সে কেটে দিয়েছে মুখটা একেবারে অন্যরকম লাগছে।

রনোকে দাড়ি গোফ কাটলে বড্ডো বাচ্চা ছেলে, বাচ্চা ছেলে লাগে। সবাই খেপাতো,সেই কারণ  মুখে সবসময় একটা চাপ দাড়ি আর গোফ থাকতো। আজ অনেকদিন পর মুখটা পরিষ্কার লাগছে। ওর কেমন যেন একটা লাগছে। কিন্তু কিছু করার নেই। যাই হোক আবার কদিন পর ঠিক হয়ে যাবে।

এখন রোজই লেকে গিয়ে বসে ও, ভাবে যদি আসে শ্রী। শ্রী আসে মাঝে মাঝে তবে ওকে দেখলেই চলে যায়। রনো একটু দূরে লুকিয়ে থাকে। আজকেও থাকলো। শ্রী এসে চারিদিকে দেখলো তারপর বসলো চেয়ারে। রনো জানে ওকেই খুঁজছে, দেখতে পেলেই চলে যাবে।

শ্রী চেয়ারে বসার পরেই রনো ওর কাছে গিয়ে বললো – প্লিজ যাবে না। আমি তোমার পাস্ট নিয়ে কিছুই বলবো না, কোনো প্রশ্ন করবো না।
গলা শুনে বুঝেছে শ্রী কে কথা বলছে ? মুখের দিকে তাকালো না।

রনো বসলো ওর কাছে। বললো অদিতি বলছিলো তোমার শরীরটা খারাপ ছিল, এখন কেমন আছে।

শ্রী – ভালো।

অদিতি – মেডিসিন নিয়েছো?

শ্রী – হুম

আর কিছু বললো না রনো। চুপ করে সামনের দিকে তাকিয়ে বসে রইলো। শ্রী ও চুপ করে বসে রইলো। কিচুক্ষন পর শ্রী রনোর মুখের দিকে তাকালো।রনো শ্রীর দিকে তাকাতেই দেখলো শ্রী ওর মুখের দিকে তাকিয়ে আছে। যাকে এতদিন খুঁজছিলো আজকে তাকে পেয়ে গেছে, মুখের একটা অদ্ভুত তৃপ্তি, অনেক কিছু বলতে চাইছে শ্রী রণকে। শ্রী নিজের হাতটা রনোর মুখের কাছে নিয়ে গেলো রণকে ছুঁয়ে দেখতে চাইছে। রণও অবাক হয়ে দেখছে। কি দেখছে শ্রী, কি বলতে চাইছে ওকে। রনো বললো – শ্রী কিছু বলবে। এবার শ্রী অস্ফুটে বললো – তুমি, .
রনো – হ্যাঁ – আমি কি?

শ্রী – তুমি সত্যি?

রনো – হ্যাঁ বলো আমি সত্যি কি?

শ্রী – তুমি সত্যিই কে…………… কথা শেষ হওয়ার আগেই ফোন তা বেজে উঠলো। হুশ ফিরলো শ্রীর। হাতটা সরিয়ে নিলো শ্রী। মুখটা ঘুরিয়ে বসলো ও।

রনো ফোনটা কেটে দিয়ে বললো – শ্রী বলো কি বলছিলে? আমি সত্যি কি?
আমি কে জানতে চাইছিলে ? আমি রনো, অরণ্য। বলো কি বলেছিলে ? শ্রী, শ্রী ,শ্রী কোনো উত্তরা দিলো না , রনো দেখলো শ্রী কাঁদছে।

শ্রী, শ্রী কাঁদছো কেন? শ্রী প্লিজ বলো। আর কিছু বললো না শ্রী,ব্যাগটা নিয়েই ছুটলো। রনোও পিছু পিছু ছুটছে শ্রীর। দেখলো ও একটা গলিতে ছুটে ঢুকলো। রনো ছুটলো পিছনে কিন্তু শ্রীকে দেখতে পেলো না।

ফের গিয়ে বসলো লেকে , কাকে খুঁজছিলো শ্রী ওর মধ্যে, কাকে খুঁজে পেয়েছে? কার কথা বলছিলো শ্রী ?

শ্রীর ওই কথাটা বার আর মনে পড়ছে – ”তুমি সত্যিই কে?” অনেক্ষন বসে রইলো। মনে হলো তবে কি আন্টির ছেলেকে দেখতে ওর মতো। তাকেই কুঝ্ছে শ্রী ওর মধ্যে। কিন্তু আন্টি তো ওকে কোনো দিন এইভাবে দেখেনি। না এইভাবে ক্লিন সেভেও দেখেনি। কিছু মাথায় ঢুকছে না।
অনেক্ষন বসে রইলো রনো। ফের ফোন বেজে উঠলো। রাহুল- এই কোথায় রে তুই? এখনো হসপিটালে আসলি না।

রনো – আসছি।

রনো গেলো হাসপাতাল। ভালো লাগছে না ওর, কোনো কাজে মন বসছে না। রাউন্ডে গেলো না, ছুটি নিলো। কিন্তু বাড়ি গেলো না ক্যান্টিনে বসে রইলো। মাথায় এখনো ঐসবই চলছে।
রাহুল এলো লাঞ্চ ব্রেকে।

রাহুল – এই কি ব্যাপার রে তোর। কি হয়েছে। আরে ফুল ক্লিন সেভ, বাহ্।কুচি ছেলে।

রনো কিছু সাড়া দিলো না।

সঙ্গে সঙ্গেই এলো অদিতি। সে বললো – ভালো লাগছে এবার, এতদিন যেন মনে হতো জঙ্গল নিয়ে ঘুরছিস,

তবে ছোট ছেলে লাগ্………………………………………… কথা শেষ না করেই অদিতি বললো – এই দাঁড়া দাঁড়া তাকা একবার এদিকে — ইয়েস, এই মুখটাই , আমি দেখেছি ?

রনো, রাহুল – কোথায়?

অদিতি -শ্রীর ডাইরিতে ?

রাহুল – কি? মানে?

অদিতি – আজ ও সকালে বাইরে গিয়েছিলো, ছুটতে ছুটতে ফিরে এলো। আন্টি আমি জিজ্ঞাসা করলাম কি হয়েছে। শুধু বললো যে কিছু ফেলে গেছে নিতে এসেছে। আমার কথাটা বিশ্বাস হয়নি। কেননা আমি ওর চোখে জল দেখেছি। আন্টি অবশ্য রান্নাতে ব্যস্ত ছিল খেয়াল করেনি। আমি আন্টিকে একটু হেল্প করছিলাম তাই সঙ্গে সঙ্গে যেতে পারিনি। কিছুক্ষন পর গিয়ে দেখি ও একটা ফটো দেখছে আর কাঁদছে। ঠিক যেন তুই. মানে তোর কলেজ পড়ার সময়ের পিকচার। যদিও আমি এক মুহূর্তের জন্য দেখেছি, আমাকে দেখে সঙ্গে সঙ্গে ডাইরিটা বন্ধ করে দিলো।

রনো -কি? আমার ফটো মানে??

অদিতি – দেখ আমি সিওর নয়, বললাম তো এক সেকেন্ডের জন্য দেখেছি। কিন্তু মনে হলো যেন তুই। হতে পারে তোর মতো দেখতে কেউ ?

রাহুল – আচ্ছা আন্টির ছেলেকে দেখতে তোর মতো ছিল না তো? আন্টি তো তোকে এইভাবে দেখেওনি ।

অদিতি – তোকে কি আজ শ্রী দেখেছে ?

রনো – আমি আসছি,

অদিতি – কোথায় যাচ্ছিস? বস এখানে।

রনো – না , আমি অনেকদূর এগিয়ে গেছি আর আমার পক্ষে পিছানো সম্ভব নয়।

রাহুল – মানে আমরা ঠিকই ধরেছি

রনো – কি ধরেছিস

রাহুল – ইউ আর ইন লাভ মাই বয়। কিন্তু শ্রী কি রাজি হবে ?

রনো – রাজি না হলে জোর করে রাজি করাবো ?

অদিতি – জোর করে রাজি করাবো মানে ?

রনো – মানে আমিও জানিনা। আসছি

রাহুল – আমি যাবো তোর সঙ্গে?

রনো – না।

অদিতি রাহুলকে বললো -বুঝলি একটা অন্য বাড়ি দেখ। আমি ও থাকবো-কেননা আন্টি নির্ঘাত তাড়াবে এবার।

রাহুল বললো – ইয়ার্কি নয়, রনো কিন্তু সিরিয়াস, ও শেষ দেখে ছাড়বে। নাতাশার সঙ্গে ওকে দেখেছিস কখনো এমন। সবসময় পালাই পালাই করতো। কিন্তু এবারে ও সত্যি সিরিয়াস।আমার মনে হচ্ছে ব্যাপারটা অনেক দূর যাবে।

অদিতি – আরে আমিও সিরিয়াস। এইসব আন্টি জানলেই বলবে বাড়ি ছেড়ে দাও। আন্টিকে বুঝিয়ে কাজ হবে? আর আন্টি কি করবে? আন্টি হ্যাঁ বললেও শ্রী না করবে। এটা শ্রী, অন্য কেউ হলে আমি বলতাম। কিন্তু ওকে বলেও কিছু লাভ হবে না। ও কথা বলে না তো প্রেম।

রাহুল – ভাবতে হবে। এবার শ্রী যদি না করে দেয় রনো সামলাতে পারবে না। আর তাছাড়া শ্রী কি করবে এত বড় জীবনে ? ওই আন্টির ছেলে কি যেন নাম তাকে জড়িয়ে বাঁচবে সারাজীবন? রণকে আমি ওর ভালোবাসা পাওয়ার জন্য যা করতে হয় করবো। তুই তোর কথা বল।

অদিতি – সিনেমার ডায়লগ দিস না।

রাহুল -আরে ইয়ার সিনেমার ডায়লগ দিই নি। কিন্তু এই ভাবে রণকে কষ্ট পেতে কি করে দেখবো ?

অদিতি – হুম, অরে আমি চেষ্টা করবো। কিন্তু যদি খারাপ কিছু হয়।

রাহুল – আর যদি ভালো কিছু হয়। মানে শ্রী যদি ভালোবেসে ফেলে রণকে,  দেন।

 

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

—————————————————————————————————————

 

রনো আন্টির কাছে গিয়ে বললো – আন্টি একটু চা খাবো। খুব চাপ ছিল হসপিটালে। আন্টি ওকে দেখে নরমাল বিহেভ করেছে – বলেছে এই তো মুখটা বেশ পরিষ্কার লাগছে , আজকালকার ছেলেপিলেরা সব একমুখ দাড়ি নিয়ে ফাসঁ করবে। এই রকমই থাকবে।

চা খেয়ে, ইটা সেটা কথা বলার পর রনো আন্টির ছেলের পিকচার দেখতে চেয়েছে। আন্টি দেখিয়েছে। না কোনো মিল নেই রনোর সাথে। তাহলে কাকে খুঁজছে শ্রী রানোর মুখের মধ্যে।

রনো মিসেস মুখার্জীকে জিজ্ঞাসা করলো – আন্টি আপনার ছেলের বিয়ে হয়েছিল ?

মিসেস মুখার্জী – বিয়ে হবে কি? ও তো কলেজে পড়তে পড়তেই,

রনো – কাউকে ভালোবাসতো না।

মিসেস মুখার্জী- না তেমন কিছু জানি না। হয়তো থাকবেনা বলেই জড়ায়নি। কেন বলছো এইসব আজকে।

না আন্টি এমনি। একটা পেসেন্ট এক্সপায়ার করেছে তাই আপনার কথা মনে পড়লো।

মিসেস মুখার্জী কেঁদে ফেললেন। বললেন ভগবান আমার এক ছেলেকে কেড়ে নিয়ে অন্য দুটো ছেলে পাঠিয়ে দিয়েছেন।
রনো চলে গেলো।

তারমানে শ্রী ওনার ছেলের বৌ নয়। শ্রীর সাথে কোনো সম্পর্ক নেই সৌমদীপের। তবে কে ও ? রনোর মুখে কি খোঁজে ও ? কিছু মিলছে না রনোর। ভালো লাগছে না কিছু।রনো কি চেনে ওকে কোনোভাবে ? না মনে পড়ছে না।স্কুলে পড়তো ও রনোর সাথে? না ? আগের ব্যাচে? পরের ব্যাচে ? কোনো বন্ধুর বোন? না এই মুখটা দেখেছে বলে তো মনে পড়ছে না। তাহলে কে ও?

 

—————————————————————————————————-

 

 

শ্রীকেই ধরবে রনো। ওই সব বলবে, যা সকালে বলতে গিয়েও বলেনি। বাইক নিয়ে চললো শ্রীর স্কুলে। বাইরে ওয়েট করছে রনো। স্কুল ছুটি হলো। শ্রী কে দেখতে পেলো না। কোথায় ও আসেনি অনেক্ষন ওয়েট করলো রনো না।

না স্কুলে যায়নি শ্রী। লেকেই আছে। যেখানে বসতো তার থেকে অনেকটা দূরে, একটা গাছের আড়ালে বসেছে। সেখান থেকে রনো এলেও দেখতে পাবে না। যদি না পুরো লেক খোঁজে। বেশ চলছিল ওর জীবনটা। সব কিছু মেনে নিয়েছিল ও। মেনে নিয়েছিল ওর জীবন থেকে সে চলে গেছে। আর ফিরবে না। তাহলে কেন? যেদিন রনো রং মাখিয়েছিলো সেদিন থেকেই শ্রীর জীবনে তোলপাড় শুরু হয়েছে। ভুলতে চেয়েছে সব কিছু। কিন্তু পারছে না।

 

উঠলো শ্রী এবার বেরোতে হবে নাহলে যদি রনোর সাথে দেখা হয়ে যায়। আচ্ছা ফটোটা কি অদিতিদি দেখেছে ? যদি ওকে কিছু বলে ,ও যদি জানতে চায় কিছু? ভীষণ মেঘ করেছে, বৃষ্টি আসছে। তবুও যেতে হবে। কোনো মতে ও রনোর মুখোমুখি হবে না। হাঁটতে শুরু করলো।

এদিকে রনোও ফের বাইক নিয়ে বাড়ির দিকে রওনা দিলো। ভাবলো শ্রী বাড়িতে আছে, কিংবা আগেই বেরিয়ে গেছে।  কিছুদূর যাবার পর বৃষ্টি শুরু হলো। রনো বাইক দাঁড় করিয়ে একটা দোকানের বাইরে দাঁড়ালো। দোকানটা বন্ধ
রাস্তায় তেমন লোকজনও নেই।

 

শ্রী হাটছে জোরে , বৃষ্টি শুরু হলো। তবুও হাটছে, ওকে বাড়ি যেতেই হবে। কোনো মতেই ও রনোর মুখোমুখি হবে না। কিন্তু কদিন বাঁচবে ও এইভাবে? যদি সত্যি ও কিছু জানতে চায় ? কি বলবে ও ?

রনো দেখলো বৃষ্টিতে ভিজে ভিজেই শ্রী আসছে । এদিকে একটা গাড়ি বার বার হর্ন দিচ্ছে পিছনে শ্রীর কানে যাচ্ছে না, গাড়ির কোনো দোষ নেই। খুব কাচাকাছি চলে এসেছে গাড়িটা। রনো ছুটে গিয়ে শ্রীর হাতটা ধরে টেনে সরিয়ে নিলো শ্রীকে গাড়ি বেরিয়ে গেলো।

রনো চেঁচিয়ে বললো – এই কারণেই বলেছিলাম তুমি স্বাভাবিক নও । বার বার গাড়ি হর্ন দিচ্ছে শুনতে পাচ্ছ না , কানে যাচ্ছে না , কি ভাবনা এত তোমার ? কি হয়েছে কি তোমার? কি বলতে যাচ্ছিল তুমি?

শ্রী – আমাকে যেতে হবে।

রনো – আগে আমার প্রশ্নের উত্তর দেবে, তারপর। আমার ফটো কেন তোমার কাছে? কে তুমি? আমাকে চেনো কি করে ? আর অরণ্য কে? আমি ?

শ্রী – আমার কাছে কোনো ফটো নেই। আমি চিনিনা আপনাকে ?

রনো – তাহলে কার ফটো ওটা?

শ্রী – আমাকে যেতে দিন প্লিজ।

রনো – শ্রী আমার মাথা কাজ করছে না, প্লিজ সবকিছু খুলে বলো। তুমি আমাকে কেন দেখো লুকিয়ে? কাকে খোঁজ আমার মুখে? শ্রী প্লিজ চুপ থেকো না আমি পাগল হয়ে যাবো। কে তুমি? আমি কি কোনোভাবে চিনি তোমাকে ?

শ্রী – আমাকে দয়া করে একা থাকতে দিন। আমি চিনিনা আপনাকে, আমি কেউ নয় আপনার, কেউ না। কিছু খুঁজিনা। আপনার কোথাও ভুল হয়েছে বলে ছুটলো শ্রী, প্রানপনে ছুটছে যেন ওকে কেউ ধরতে না পারে।

আজ কোনো কথা শুনবে না রনো। অনেকে হয়েছে ও রনোকে চিনুক না চিনুক ওকে আজ পাস্টের ব্যাপারে বলতেই হবে রনোকে। যদি রনোর মুখের মধ্যে আর কারুর মুখ খোঁজে তাহলে সেটাও।

বাইকে স্টার্ট দিতে গেলো রনো , বাইক স্টার্ট হচ্ছে না ,অনেকবার চেষ্টা করলো। না হচ্ছে না। শ্রী চলে গেছে অনেকটা দূর। বাইকে গেলে ধরে ফেলতো কিন্তু ছুটেও ধরতে পারবে বলে মনে হয়না।

আগের পর্ব – রাই-কেশব (লাভ স্টোরি ) কলমে – অপরাজিতা = পর্ব ৪

 

পরের পর্ব –  রাই-কেশব (লাভ স্টোরি ) কলমে – অপরাজিতা = পর্ব ৬

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!