এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > নরেন্দ্র মোদীর মেদিনীপুরের ‘টার্গেট অডিয়েন্স’ জানলে চোখ কপালে উঠে যাবে

নরেন্দ্র মোদীর মেদিনীপুরের ‘টার্গেট অডিয়েন্স’ জানলে চোখ কপালে উঠে যাবে


পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর থেকেই বাংলায় জয়ের গন্ধ পেয়ে গেছে বিজেপি বলে গেরুয়া শিবিরের দাবি। আর তাই কর্ণাটকের বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার দিন নজিরবিহীনভাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলায় পঞ্চায়েত নির্বাচনে হওয়া ‘সন্ত্রাসের’ বাতাবরণ নিয়ে সরব হন। এখানেই শেষ নয়, রাজ্যের পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে হাজির হন স্বয়ং বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। স্বাভাবিকভাবেই তিনি তাঁর জনসভার জন্য বেছে নেন পঞ্চায়েতের পর তিনদিনের ব্যবধানে ‘খুন’ হওয়া দুই নেতার জেলা পুরুলিয়াকে। সেখানে রেকর্ড ভিড় (উপস্থিত সাংবাদিকদের মতে সংখ্যাটা খুব কম করেও দেড় লক্ষ হবেই, এতবড় জনসভা এর আগে পুরুলিয়া শেষ দেখেছিল ২০১১ সালে – পরিবর্তনের জামানায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায়) দেখে আপ্লুত গেরুয়া শিবির বাংলায় পায়ের তলায় জমি আরো শক্ত করতে সিদ্ধান্ত নেয় এবার স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে দিয়ে জনসভা করানো হবে মেদিনীপুরে।

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

আর তাঁর সভার জন্য নির্দিষ্ট করা মেদিনীপুর শহরের কলেজ ও কলেজিয়েট ময়দান গতকাল পরিদর্শন করেন বিজেপি নেতৃত্ব। একে রাজ্যের প্রবল শক্তিধর শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকে কার্যত ‘চ্যালেঞ্জ’ জানানোর সভা, তার উপরে প্রধান বক্তার নাম নরেন্দ্র মোদী। তাই প্রস্তুতিতে কোনো খামতি রাখতে রাজি নয় গেরুয়া শিবির। ইতিমধ্যেই মেদিনীপুরে জেলা কার্যালয়ে জেলা সভাপতি সমিত দাশ দফায় দফায় বৈঠক করছেন অন্যান্য নেতৃত্বের সঙ্গে, ভাগ করে দিচ্ছেন বিভিন্ন দায়িত্ত্ব। জেলাজুড়ে প্রচারকে অন্যমাত্রায় নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনাও পাকা। কিন্তু বিজেপির রাজ্য সহ সভাপতি বিশ্বপ্রিয় রায়চৌধুরীর দাবি, আগামী ১৬ জুলাই প্রধানমন্ত্রীর মেদিনীপুরে সভা করার কথা রয়েছে। তাঁর সভায় যে লোক হবে, তার তুলনায় এই মাঠ অনেক ছোট হয়ে যাবে। কিন্তু, এর চেয়ে বড় মাঠ পাওয়া যাচ্ছে না! প্রায় পাঁচ থেকে সাত লক্ষ মানুষ প্রধানমন্ত্রীর সভায় উপস্থিত থাকবেন, তাই সভার প্রস্তুতি শুরু করে দেওয়া হয়েছে পূর্ণোদ্যমে। আর তাঁর এই দাবির পরে স্বাভাবিকভাবেই রাজনৈতিক মহলে তীব্র জল্পনা শুরু হয়ে গেছে। কেননা বাম জামানায় হোক বা তৃণমূল জামানা – সাধারণত এতবড় জনসভা হয় কলকাতা ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে, সেখানে মেদিনীপুরের প্রত্যন্ত জায়গায় যদি সত্যিই এত বড় সভা বিজেপি আয়োজন করতে পারে – তাহলে রাজ্যে পরিবর্তনের দামামা সত্যিই বেজে গেল? উত্তরটা পাওয়া যাবে বোধ হয় ১৬ ই জুলাই বিকেলেই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!