সবটাই নাটক মমতার, হারার ভয়েই প্রার্থী তালিকায় নতুন মুখ! কটাক্ষ বিজেপির! তৃণমূল বিজেপি রাজনীতি রাজ্য March 11, 2024 প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সব সময় চালাকির রাজনীতি করতে পছন্দ করেন। যখনই তিনি বুঝে যান যে, মানুষ আর তাকে পছন্দ করছে না, তখনই একটা গিমিক দেওয়ার চেষ্টা করেন। সামনেই লোকসভা নির্বাচন। এমনিতেই তো বিজেপির যে পরিস্থিতি পশ্চিমবঙ্গে রয়েছে, তাতে ভারতীয় জনতা পার্টি তৃণমূলকে পেছনে ফেলে অনেক আসন দখল করবে। এমনটাই কিন্তু সম্ভাবনা করছে রাজনৈতিক মহল। আর তার মাঝেই চাপে পড়ে ব্রিগেড সমাবেশ থেকে রাজ্যের সবকটি লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। অনেক কেন্দ্রেই তারা নতুন মুখ করার চেষ্টা করেছে। কোথাও কোথাও চমক দেওয়ার চেষ্টাও করেছে। তবে এইসব চমক দিয়ে কি তৃণমূল তাদের আসন ধরে রাখতে পারবে? যেখানে সন্দেশখালি থেকে শুরু করে বেকার যুবক-যুবতীদের হাহাকার এবং দুর্নীতি প্রধান ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে বিরোধী দল বিজেপির কাছে, সেখানে তৃণমূলের পক্ষে এই চমক কতটা ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ দেবে, সেটাই একটা বড় প্রশ্ন। আর তার মধ্যেই তৃণমূলের এই প্রার্থী তালিকা এবং চমক নিয়ে মোক্ষম জবাব দিল বিজেপি। বিজেপির পক্ষ থেকে দিলীপ ঘোষ যে কথা বললেন, তা শুনে বিজেপি কর্মীরা যেমন উজ্জীবিত, ঠিক তেমনই চাপে পড়ে গিয়েছে এই রাজ্যের শাসক দল। প্রসঙ্গত, এদিন তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা নিয়ে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষকে একটি প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। অনেক নতুন মুখ এসেছে, অনেক জায়গায় চমক দেওয়া হয়েছে, সেই নিয়ে সংবাদমাধ্যমের তরফে দিলীপবাবুকে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “অনেক জায়গায় চমক দেওয়া হয়েছে, নতুন মুখ আনা হয়েছে, সব ঠিক কথা। কিন্তু পার্টিটাই যেখানে রিজেক্টেড, সেখানে এইসব চমক দিয়ে কি হবে?” অর্থাৎ বিজেপি কিন্তু কার্যত নিশ্চিত যে, পশ্চিমবঙ্গের মানুষ কোনোমতেই তৃণমূলের ওপর আর ভরসা রাখবে না। তৃণমূল দলের যা অবস্থা, তাতে তারা গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জরাজীর্ণ। তার মধ্যে মানুষের মনে এই তৃণমূল দল সম্পর্কে প্রবল বিরক্ত জন্ম নিয়েছে। যেখানে তারা মা-বোনেদের সম্মান দিতে পারে না, তাদের আর্তনাদ বুঝিয়ে দিয়েছে যে, তৃণমূল নেতারা এতদিন কতটা অত্যাচার করেছে রাজ্যের মানুষের ওপর! সেই দিক থেকে মানুষ নিজের ভালো বুঝে এবারের লোকসভা নির্বাচনে অন্তত তৃণমূল যতই চমক দিক, তাদের সবকিছুকেই নস্যাৎ করে নিজেদের মেরুদন্ড, শিড়দাড়া সোজা রেখে বাঁচার জন্য এবং প্রাথমিক উন্নয়নের জন্য তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন বলেই বিশ্বাসী ভারতীয় জনতা পার্টি। পর্যবেক্ষকদের মতে, রাজনীতিটাকে ছেলেখেলা হিসেবে অনেকদিন ধরেই প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করছে তৃণমূল কংগ্রেস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সঠিক রাজনৈতিক লোকেদের সুযোগ না দিয়ে বারবার ভোটে জেতার জন্য বিভিন্ন চমকপ্রদ মুখ এনে বাজিমাত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু এবার আর এসব কিছুতে চিড়ে ভিজবে না। মানুষ দেখে নিয়েছে যে, সেলিব্রিটিদের ভোটে জিতিয়ে কি করুন ফলাফল হয়! সেই কারণেই তো এতদিন নুসরাত জাহানকে সন্দেশখালির মা-বোনেরা পাশে পাননি। তাই এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হয়ত অনেক আসনে জেতার জন্য নতুন মুখ এনেছেন। অনেক জায়গায় প্রার্থী পরিবর্তন করেছেন। কিন্তু মানুষের মনে যে তৃণমূল সম্পর্কে এই বিরক্তটা জন্ম নিয়েছে। তাই তৃণমূল কংগ্রেসকে আগে এই গভীর সমস্যার কথা উপলব্ধি করতে হবে। তাদের বুঝতে হবে যে, তৃণমূল দলটাকেই আর কেউ পছন্দ করছে না। স্বাভাবিক ভাবেই চমকপ্রদ প্রার্থী দাঁড় করিয়ে লাভের লাভ কিছুই হবে না। কারণ এই রাজ্যের শাসক দল মানুষের কাছে প্রত্যাখ্যাত। দিলীপ ঘোষের বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা। আপনার মতামত জানান -