এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > তবে কি লালু প্রসাদ যাদবকে ছাড়াই হবে ২০১৯এর লোকসভা নির্বাচন?

তবে কি লালু প্রসাদ যাদবকে ছাড়াই হবে ২০১৯এর লোকসভা নির্বাচন?


তবে কি লালু প্রসাদ যাদবকে ছাড়াই হবে ২০১৯এর লোকসভা নির্বাচন? বিহারের পশু খাদ্য মামলায় লালু প্রসাদ যাদব কে সাড়ে তিন বছরের কারাবাসের সাজা শুনিয়েছে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত।
এই রায়ের ঘোষণার পরেই লালু প্রসাদ টুইট করে জানিয়েছেন, ন্যায় ও সত্যের লড়াইয়ে জীবন দিতে রাজি তিনি ।কিন্তু কোনোভাবেই বিজেপি নোংরা রাজনীতির কাছে মাথা নত করবেন না । বিজেপির নীতিই হল , হয় হাত মেলাও নাহলে জেলে যায়। বিজেপির সাথে হাত মেলানোর থেকে জেলে যাওয়া শ্রেয় বলেই জানিয়েছেন যাদবকূল-পতি।

প্রসঙ্গত ,এটি প্রথম বার নয় একাধিক বার তাঁকে জেলে যেতে হয়েছে ।কখনো ১৪৮দিন, কখনো ৭৩দিন কখনও তিনমাস । তবে এইবার তাঁকে সাড়ে তিন বছরের সাজা শোনানো হয়েছে । উল্লেখযোগ্য ভাবে তিন বছরের সাজা হলে তিনি এই আদালতেই জামিনের আবেদন করতে পারতেন ।কিন্তু সাড়ে তিন বছরের সাজা হওয়ায় ওই ৬মাসের জন্য তাকে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানাতে হবে। আবেদন ও শুনানি পর্যন্ত তাকে থাকতে হবে রাঁচির বীরসা মুন্ডা জেলে। এরসঙ্গে দুটি মামলার জন্য পাঁচ লক্ষ টাকা করে মোট দশ লক্ষ টাকা জরিমানাও দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বিশেষ আদালত।

বিহারের রাজ্য-রাজনীতি লালু প্রসাদ যাদব ছাড়া ভাবাই যায়না। তবে জামিন না পেলে দলকে লড়তে হবে লালু-হীন ভাবেই। ২০১৯এর লোকসভা নির্বাচনে যে লালুর অনুপস্থিতি প্রভাব ফেলবে সে ব্যাপারে নিশ্চিত বিহারের শাসক গোষ্ঠী। ৬৯বছরের লালু প্রসাদের জীবনে বিহারের পশুখাদ্য দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলাই মাথা ব্যথা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই মামলার রায় দানের পর বড়সড় ধাক্কার মুখে দাঁড়িয়ে বিহারের প্রশাসনিক গঠন-কাঠামো। কার্যত অভিভাবকহীন হয়ে পড়ল তাঁর পরিবারসহ ,রাজনৈতিক সংগঠন। এই রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে লালুপ্রসাদ যাদবের পুত্র তেজস্বী যাদব বলেছেন, আমাদের পূর্ণ বিশ্বাস রয়েছে বিচারব্যবস্থায়। আশা করি উচ্চ আদালতে জামিনের আর্জি মঞ্জুর হবে।

২০১৩ সালে পশুখাদ্য মামলায় পাঁচ বছর সাজা শোনানো হয়েছিল সেক্ষেত্রে যদি তিনি এই মামলায় জামিন না পান তাঁকে দুটো সাজাই এক সঙ্গে ভোগ করতে হতে পারে। এছাড়াও তাঁর বিরুদ্ধে আরও তিনটি মামলা এখনও বিচারাধীন। সেগুলো হল-

১)দুমকা ট্রেজারি থেকে প্রায় ৪ কোটি টাকা দুর্নীতি।

২) চাইবাসা ট্রেজারি থেকে ৩৬কোটি টাকা দুর্নীতি ।

৩) দোরান্দা ট্রেজারি থেকে ১৮৪ কোটি টাকার দুর্নীতি।

এই সকল বিচারাধীন মামলার রায় যদি লালু প্রসাদের বিরুদ্ধে যায় সেক্ষেত্রে তাঁর রাজনৈতিক ক্ষেত্রে ফিরে আসার সম্ভবনা নেই বললেই চলে। তবে এদিনের মামলা তাঁর বিরুদ্ধে করা হয় নব্বইয়ের দশকে। মোট ৫টি মামলা দায়ের করা হয় । এর পর ২০১৩-য় চাইবাসা ট্রেজারীর প্রায় ৩৩লক্ষ টাকা পশুখাদ্যের নামে তুলে নেওয়ার অভিযোগে তাঁর পাঁচবছরের জেল হয়। সেক্ষেত্রে তিনি তিনমাসের মধ্যেই জামিন পেয়ে যান । তবে এইবার জামিনের আবেদন হতে চলেছে সুপ্রিম কোর্টে সেক্ষেত্রে তা মঞ্জুর হয় কিনা সেই দিকেই তাকিয়ে বিহারসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল গুলি। যদি লালু প্রসাদ জামিন না পান তাহলে বিজেপির ঘরে বেশ খানিকটা পজেটিভ পয়েন্ট ঢুকবে ২০১৯এর লোকসভায়।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!