এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > লকডাউনের জেরে সোনায় সোহাগা! মাফিয়াদের হাত ধরে প্রতি রাত্রে পাচার হচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকার মাটি

লকডাউনের জেরে সোনায় সোহাগা! মাফিয়াদের হাত ধরে প্রতি রাত্রে পাচার হচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকার মাটি


কথায় আছে কারো পৌষ মাস, তো কারো সর্বনাশ। লকডাউনের সময় সাধারণ মানুষ যখন সংকটে, যখন সাধারন মানুষের সর্বনাশের সময়, ঠিক তখনই পৌষমাস মাটি মাফিয়াদের। লকডাউনের ফলে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন সরকারি অফিস বন্ধ রয়েছে। উত্তর 24 পরগণা জেলাতে ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিকের অফিস বন্ধ। অন্যদিকে পুলিশ প্রশাসন ব্যস্ত রয়েছেন করোনা মোকাবিলা করতে।

আর এই সুযোগ নিয়েই বারাসাত 2 ব্লকের শাসন সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় মাটি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অভিযোগ, সারা রাত্রি ধরে লক্ষ লক্ষ টাকার মাটি কেটে তা বিভিন্ন জায়গায় পাচার করা হচ্ছে। আরে মাটি মাফিয়াদের দৌরাত্ম যে শুরু হয়েছে, তা স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে গ্রামীণ এলাকায় সেই মাটি নিয়ে চলাট্রাক থেকে রাস্তায় মাটি পড়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে। যার ফলে বৃষ্টি হলেই সেই মাটির জন্য রাস্তায় কাদা সৃষ্টি হচ্ছে। ব্যাহত হচ্ছে জনজীবন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর এর ফলেই এখন তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। জানা গেছে, কীর্তিপুর 1 গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রায় 400 ভেড়িতে এই মাটি কাটা হচ্ছে। এছাড়াও শাসনের বিভিন্ন এলাকায় মাটি কাটার কাজ চলছে বলে অভিযোগ করছেন সাধারণ মানুষ। একাংশের মতে, এই মাটি মাফিয়াদের বাড়বাড়ন্ত কিছুদিন ধরে বন্ধ থাকলেও, গত 15 দিন ধরে আবার তারা সক্রিয় হতে শুরু করেছে। মূলত রাত 8 টা থেকে ভোর চারটা পর্যন্ত জেসিবির সাহায্য নিয়ে মাটি কেটে পাচার করে দেওয়া হচ্ছে।

কিন্তু কোথায় যাচ্ছে এই মাটিগুলো? একাংশের দাবি, বারাসাত, বারাসাত টু এবং দেগঙ্গা সহ শতাধিক ইটভাটায় এই মাটি পৌঁছে যাচ্ছে। এছাড়াও পুকুর, নিচুজমি ভরাট করার কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে এই মাটি। জানা গেছে, এক ডাম্পার মাটি বিক্রি করা হচ্ছে 2800 থেকে 3500 টাকায়। অন্যদিকে ছোট লরির মাটি বিক্রি হচ্ছে 1800 থেকে 2 হাজার টাকায়। আর লকডাউনের ফলে পুলিশ প্রশাসনের তেমন নজরদারি না থাকায়, যেভাবে মাটি মাফিয়াদের বাড়বাড়ন্ত শুরু হয়েছে, তাতে চিন্তা বাড়ছে প্রশাসনের।

বস্তুত, বারবার বিভিন্ন প্রশাসনিক বৈঠক থেকে এই ব্যাপারে জেলা প্রশাসনকে সতর্ক করতে দেখা গেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কিন্তু লকগাউন থেকে করোনা মোকাবিলা এবং ভয়াবহ দুর্যোগের সময় পুলিশ প্রশাসন যখন ব্যস্ত, তখন সেই সুযোগকে কাজে লাগাতে রমরমা ব্যবসা শুরু করেছে এই মাটি মাফিয়ারা। তবে গোটা বিষয়ে সাধারণ বাসিন্দারা উষ্মা প্রকাশ করার পর প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই মাটি মাফিয়াদের দৌরাত্ম বন্ধ করতে কি পদক্ষেপ নেওয়া হয়, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!