এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > লকডাউনের মাঝে বিস্ফোরক অভিযোগ সব্যসাচীর, জোর সোরগোল!

লকডাউনের মাঝে বিস্ফোরক অভিযোগ সব্যসাচীর, জোর সোরগোল!


করোনা ভাইরাসকে আটকানোই সবথেকে প্রধান টার্গেট হয়ে দাঁড়িয়েছে শাসক-বিরোধী সকল রাজনৈতিক দলের কাছে। এই সময়ে রাজনীতি না করে মানবিকতার হাত সকলকে বাড়িয়ে দেওয়ার কথা শোনা গেছে সকলের গলায়। তবে যে যতই বলুন না কেন যে, রাজনীতিকে দূরে সরিয়ে রেখে সকলে একযোগে কাজ করুন, কোনোমতেই এই পরিস্থিতিতে রাজনীতি যেন দূরে সরতে চাইছে না। তাই এবার লকডাউনের এই সময় করোনার ত্রাণ বিলি করায় পুলিশের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ তুললেন প্রাক্তন তৃণমূল নেতা তথা বর্তমান বিজেপি নেতা সব্যসাচী দত্ত।

সূত্রের খবর, সোমবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজারহাট নিউটাউনের এই বিজেপি বিধায়ক। আর সেখানেই তিনি অভিযোগ করে বলেন, “রবিবার আমি দত্তাবাদের মানুষদের চাল, আলু চিনি দিয়েছি। আজকে গেছিলাম সুকান্তনগরে। সেখান থেকে সবে বাড়িতে ঢুকতেই অমনি পুলিশের ফোন। ফোন ধরতে ওপার থেকে বলা হয়, বিধাননগর উত্তর থানার আইসি কথা বলছেন। তিনি আমায় বলেন, আপনি যা করছেন, ঠিক করছেন না। বন্ধ করে দিন। সিপির নির্দেশে আপনাকে ফোন করছি। এটা বন্ধ না হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তখন আমি বলি, আমি বাড়িতে চলে এসেছি। আর কোনো অপরাধ তো করিনি। মানুষকে একটু আলু, চাল, চিনি দিয়েছি।” আর সব্যসাচী দত্তের পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগকে কেন্দ্র করেই এখন রীতিমতো শোরগোল তৈরি হয়েছে সর্বত্র। সত্যিই তো তাই! বিপদের দিনে সাধারন মানুষকে সহযোগিতা করাটা কি অপরাধ?

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যদি সব্যসাচী দত্তের এই অভিযোগ সত্যি হয়, তাহলে কেন পুলিশ প্রশাসন তাকে ফোন করে হুমকি দিলেন? এদিন এই প্রসঙ্গে বিধাননগর থানায় আইসি সোমদেব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “আমি ফোন করে ওনাকে বলেছি, একসঙ্গে অনেকে জড়ো হয়ে উনি যেটা করেছেন, সেটা লকডাউনের বিরুদ্ধে। আমি এটাও বলি, আপনি নিজের বিধানসভায় এলাকার বাইরে এসে এটা করছেন। মানুষকে কিছু দেওয়ার থাকলে পুলিশকে বলুন, পুলিশ পৌঁছে দিতে সাহায্য করবে।” যদিও বা পুলিশের তোলা এই অভিযোগকে সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করেছেন বিজেপি বিধায়ক সব্যসাচী দত্ত।

তবে লকডাউনের সময় যখন রাজনীতি হবে না বলে সকল রাজনৈতিক দল দাবি করছে, ঠিক তখনই বিজেপি বিধায়ক সাধারণ মানুষকে সাহায্য করায় কেন পুলিশ প্রশাসনের হুমকির ফোনে পড়তে হল তাঁকে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিশেষজ্ঞদের একাংশ। এদিন এই প্রসঙ্গে এক বিজেপি নেতা বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যতই মুখে বলুন এই সময়ে রাজনীতি করবেন না, কাজে কিন্তু উনিই সব থেকে বেশি রাজনীতি করছেন। আমাদের নেতারা ত্রাণ দিলে পুলিশ দিয়ে আটকে দিচ্ছেন। আর নিজে যখন লোকজন জড়ো করে এ বাজার ও বাজার ঘুরে বেড়াচ্ছেন, তখন লকডাউন কোথায় যাচ্ছে!”

সব মিলিয়ে করোনার মত দুর্যোগে বাংলায় রাজনীতি হবে না বলে সকলে মনে করলেও, যত দিন যাচ্ছে, ততই শাসক-বিরোধী তরজায় সেই রাজনীতিই যেন মুখ্য হয়ে উঠছে সকলের কাছে। যা দেখে কার্যত হতাশ বঙ্গবাসী।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!