ফের লকডাউন, তবে নতুনভাবে! প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণায় বাড়ছে জল্পনা! জাতীয় May 13, 2020 বর্তমানে করোনা ভাইরাসকে আটকাতে তৃতীয় দফার লকডাউনের মধ্যে দিয়ে এগিয়ে চলছে ভারতবর্ষ। আগামী 17 মে এই লকডাউনের মেয়াদ শেষ হবে। আর এরই মাঝে আবার যে চতুর্থ দফার লকডাউন হবে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত ছিল প্রত্যেকে। কেননা এখনও পর্যন্ত করোনা ভাইরাস ভারতবর্ষে সেভাবে স্থিতিশীল অবস্থায় আসেনি। ফলে সেদিক থেকে সেই করোনা ভাইরাসের কোনো প্রতিষেধক না বেরোনোয় সামাজিক দূরত্বকে মান্যতা দিয়ে লকডাউনই যে একমাত্র উপায়, তা বারেবারে বিশেষজ্ঞরা নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরেছেন। সেই মতই মঙ্গলবার রাত আটটায় প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে এই লকডাউন বৃদ্ধির ব্যাপারে কি বলেন, তার দিকে নজর ছিল প্রত্যেকেরই। অবশেষে চতুর্থ দফার লকডাউন যে হবে, তা কার্যত স্পষ্ট হয়ে গেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বক্তব্যে। তবে এই চতুর্থ দফার লকডাউনের সঙ্গে বিগত দিনের অনেকটাই পার্থক্য থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। জানা গেছে, সোমবার মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়ে দিয়েছেন যে, তৃতীয় দফায় যে পরিমাণ শিথিলতা রাখা হয়েছিল, চতুর্থ দফায় তার প্রয়োজন হবে না। অর্থ্যাৎ রেড জোনগুলোতে শিথিলতার না আনা হলেও অরেঞ্জ এবং গ্রীন জোনে যে কিছুটা শিথিলতা আনা হবে, সেই ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রীদের সাথে বৈঠকে বার্তা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রীর এই বার্তায় কার্যত পরিষ্কার যে, দীর্ঘদিন লকডাউন থাকার কারণে দেশের অর্থনৈতিক পরিকাঠামো এমনিতেই ভেঙ্গে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই এমতাবস্তায় করোনাকে প্রতিহত করতে যেমন লকডাউন দরকার, ঠিক তেমনি সেই লকডাউনে যাতে দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ভেঙে না পড়ে, তার জন্য কিছুটা শিথিলতা আনতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। ফলে দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে সচল করতে চতুর্থ দফার লকডাউনে অত্যাধিক কড়াকড়ি যে হবে না, তা কার্যত পরিষ্কার বলে মত বিশ্লেষকদের। একাংশের মতে, কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে এই পদ্ধতি অবলম্বন করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। কেননা জীবন যেমন বাঁচাতে হবে, ঠিক তেমনি জীবিকাকেও বাঁচাতে হবে। তাই দুই দিক রক্ষা করতে গেলে এখন একদিকে লকডাউন করা এবং অন্যদিকে তা কিছুটা শিথিল করে দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে চাঙ্গা করাই একমাত্র উপায়। আর তাই এই দুইয়ের মাঝে সহাবস্থান বজায় রাখতেই প্রধানমন্ত্রীর এই বার্তা বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। এখন চতুর্থ দফার লকডাউন কোন পথে এগোয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -