এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > লোকসভা ম্যাজিক কি খতম, জলের তোড়ে ভাঙছে জঙ্গলমহল, সংকটে গেরুয়া শিবির

লোকসভা ম্যাজিক কি খতম, জলের তোড়ে ভাঙছে জঙ্গলমহল, সংকটে গেরুয়া শিবির

2011 সালে ক্ষমতায় আসার পর জঙ্গলমহলে মাওবাদী উপদ্রুত কমিয়ে নতুন সকাল এনে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তারপর সেখানকার মানুষ তৃণমূলের উপর ভরসা রাখতে শুরু করেছিল। তবে নিচুতলার নেতাদের দুর্নীতি, স্বজনপোষন সহ নানা ঘটনার কারণে গত লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় জঙ্গলমহলের বিভিন্ন জেলার মানুষ। যার প্রভাব পড়ে ভোটবাক্সে।

যেখানে ব্যাপক সাফল্য পায় ভারতীয় জনতা পার্টি। এমনকি জঙ্গলমহলের এলাকাগুলোতে বিজেপি লোকসভা নির্বাচনে সাফল্য পাওয়ার সাথে সাথেই তৃণমূলের দখলে থাকা একাধিক পঞ্চায়েতের সদস্য বিজেপিতে যোগদান করতে শুরু করেন। এমনকি অনেক হেভিওয়েট তৃণমূল নেতাও ভারতীয় জনতা পার্টির ছাতার তলায় চলে আসেন। যার ফলে কার্যত হতাশা সৃষ্টি হয় ঘাসফুল শিবিরে। তবে এবার হয়ত বা পরিস্থিতির উন্নতি হতে শুরু করেছে তৃণমূলের পক্ষে।

অন্যদিকে ধরাশায়ী হতে শুরু করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। সূত্রের খবর, এবার বিজেপি ছেড়ে ব্যাপক যোগদান পর্ব অনুষ্ঠিত হল তৃণমূল কংগ্রেসে। জানা গেছে, রবিবার সন্ধ্যায় পুরুলিয়া জেলা তৃণমূলের কার্যালয়ে ঝালদা এলাকার প্রচুর বিজেপি নেতা কর্মী ঘাসফুল শিবিরে নাম লেখান। এদিন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন, ঝালদার বিজেপির মন্ডল সভাপতি শালিগ্রাম মাহাতো, ইচাক গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি সদস্য ও বুথ সভাপতি। এদিন তাদের হাতে দলের পতাকা তুলে দেন পুরুলিয়া জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো।

এদিনের এই দলবদলের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, জেলা যুব তৃনমূলের সভাপতি সুশান্ত মাহাতো, পুরুলিয়া জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি রথিন্দ্রনাথ মাহাতো, তৃণমূল নেতা অলোক চট্টোপাধ্যায় সহ অন্যান্যরা। কিন্তু হঠাৎ কি এমন হল, যার কারণে ভারতীয় জনতা পার্টি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে নাম লেখালেন তারা!

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে সেই শালিগ্রাম মাহাতো বলেন, “আমি আগে এই মন্ডলের সাধারণ সম্পাদক পদে ছিলাম। নতুন কমিটিতে আমাকে মন্ডল সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে কাজ করতে পারছিলাম না। জেলা নেতাদের অনেকেই এখন ভেবে নিয়েছেন, তারা ক্ষমতায় চলে এসেছেন। সকলের তো টাকার দরকার হয় না। অনেকেই সম্মানের জন্য দল করেন। মন্ডল সভাপতি পেলেও কাজের ক্ষেত্রে সম্মানটুকু পাচ্ছিলাম না। এমপিও এলাকার জন্য কিছুই করেননি। তাই দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলাম।” এদিকে প্রচুর বিজেপি নেতা কর্মীকে এদিন তৃনমূলে যোগদান করিয়ে রীতিমতো বিজেপির উদ্দেশ্যে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন তৃণমূলের শান্তিরাম মাহাতো।

এদিন তিনি বলেন, “ওই বিজেপি নেতারা তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন। সেই মতো তাদের দলে স্বাগত জানানো হয়। এতে এলাকার সংগঠন আরও মজবুত হবে।” কিন্তু পুরভোটের আগে তৃনমূলে বিশাল মাত্রায় যোগদানের কারণে বিজেপি কি চাপে পড়বে না! এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক শংকর মাহাতো বলেন, “বিষয়টি জানি না। কলকাতা থেকে ফিরে অসুস্থ থাকায় খোঁজ নিতে পারিনি। খোঁজ নিয়ে বিস্তারিত বলব।”

একইভাবে বিষয়টি তার জানা নেই। তিনি খোঁজ নিয়ে দেখবেন বলে জানিয়েছেন জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক কমলাকান্ত হাসদা। তবে বিজেপি নেতৃত্ব এই ব্যাপারটিকে যতই এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করুক না কেন, পৌরসভা নির্বাচনের আগে যেভাবে পুরুলিয়া জেলায় বিজেপির সংগঠন ভাঙতে শুরু করেছে, তাতে কিভাবে তা ধরে রাখবে ভারতীয় জনতা পার্টি, সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে সকলের কাছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!