এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > লোকসভা নির্বাচনে কি বাম-কংগ্রেস জোট হচ্ছে? সিলমোহর পড়লো কি? জোর জল্পনা রাজ্যে

লোকসভা নির্বাচনে কি বাম-কংগ্রেস জোট হচ্ছে? সিলমোহর পড়লো কি? জোর জল্পনা রাজ্যে

লোকসভা নির্বাচন ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলছে। হাতে গোনা আর তিন-চার মাসই বাকি মাত্র। এই মুহূর্তে রাজনীতিসচেতন মানুষের মধ্যে একটা আলোচনা-১৯ এর মহাযুদ্ধে কেন্দ্রের ক্ষমতায় আসতে চলেছে কোন রাজনৈতিক দল? পাশাপাশি আরো একটি বিষয় চর্চার কেন্দ্র রয়েছে। লোকসভা ভোটে বাম-কংগ্রেস জোট হচ্ছে কি? বহুদিন ধরেই এ প্রশ্ন জলঘোলা করছে রাজনৈতিকমহলে।

প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি কিন্তু বারবার একলা চলো নীতিকেই সমর্থন করে এসেছেন। তৃণমূলের সঙ্গে জোট বাঁধা স্পষ্ট আপত্তি তাঁর প্রথম থেকেই ছিল। তবে বামেদের সঙ্গে জোট বাঁধবেন কিনা সে ব্যাপারে নিজের স্পষ্ট অবস্থান নিয়ে সোমেন বাবু নিজেই সংশয়ে ছিলেন। সম্প্রতি রাহুল গান্ধীর ডাকে দিল্লি পাড়ি দিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। যাওয়ার পথে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে যা বললেন সেটাই বিতর্ককে উস্কে দিল।

২০১৬ সালে বিধানসভা ভোটে বাম-কংগ্রেস জোট বেঁধেছিল। সেই সমীকরণ মেনে ২০১৯ এর নির্বাচনে বাম-কংগ্রেস এক ছাতার তলায় আসবে কিনা এ নিয়ে তাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানালেন,”রাজনীতিতে সব-ই সম্ভব। আগামী নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করব।” লোকসভা ভোটের আগে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির জোটের ব্যাপারে এ ধরণের মন্তব্য যথেষ্ট ইঙ্গিতপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

প্রসঙ্গত,গত শুক্র এবং শনিবার বামেদের পলিটব্যুরোর বৈঠক বসে। সেখানে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বাধার ব্যাপারে আলোচনা হয় বলেই খবর পাওয়া গিয়েছে। অন্যদিকে,শনিবারই রাজ্যগুলির প্রদেশ সভাপতি এবং কংগ্রেস বিধায়কদলের সঙ্গে রাজধানীতে বৈঠক করেন কংগ্রেসের হাইকমান্ডার রাহুল গান্ধী। বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বামের সঙ্গে জোটের ব্যাপারে নিজের স্বচ্ছ অবস্থান সামনে রাখেন সোমেন মিত্র। বলেন,নিজেদের সম্মান অক্ষুণ্ন রেখে লোকসভা ভোটে বামেদের সঙ্গে জোট বাধতে চান।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে সিপিএমের পলিটব্যুরোর বৈঠকেও কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বাধার ব্যাপারে ইতিবাচক ইঙ্গিত দিয়েছে কেরল ইউনিট। পলিটব্যুরো সদস্য, তথা কেরল রাজ্য সিপিএম সম্পাদক কোদিয়েরি বালাকৃষ্ণান বলেছেন, লোকসভা ভোটে বিজেপিকে ক্ষমতাচূত করাটাই একমাত্র লক্ষ্য তাঁদের। এর জন্যে যা করতে হয় করবে তাঁরা। অর্থাৎ বিজেপিকে কেন্দ্র থেকে সরাতে প্রয়োজন কংগ্রেসের সঙ্গেও জোট বাধতে আপত্তি নেই বামেদের।

ঠিক এরকম সুরেই কথা বলেছিল পার্টি কংগ্রেস। ২০১৮ সালের এপ্রিলে সিপিএমের পার্টি কংগ্রেসে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল,তাঁদের একমাত্র লক্ষ্য বিজেপি এবং তাদের সহযোগী দলগুলিকে পরাস্ত করা। তবে এরসঙ্গে এটাও বলা হয়েছিল,কাজটি করতে হবে কংগ্রেসের সঙ্গে কোনো রাজনৈতিক দলের সংযোগ ছাড়াই। তবে এই সিদ্ধান্তের মধ্যেও পশ্চিমবঙ্গের জন্যে বলা হয়েছিল,বিজেপি এবং তৃণমূলকে রুখতে যাবতীয় পদক্ষেপ তাঁরা গ্রহন করবে।

এদিনের পলিটব্যুরোর বৈঠকে সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বলেছেন,বাংলায় যেসব কেন্দ্রে বাম প্রার্থী থাকবে না সেখানে বিজেপি এবং তৃণমূলকে পরাজিত করতে ডাক দেওয়া হবে। বিজেপি এবং তৃণমূল বিরোধী ভোটকে একত্রিত করাই তাঁদের একমাত্র লক্ষ্য। আর এই প্রার্থী দেওয়ার বিষয়টি বৈঠকে আলোচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

সূত্রের খবর,রাজ্যে চারটি আসনে বামেরা প্রার্থী নাও দিতে পারে। এই চারটি আসনে কংগ্রেসের সাংসদরা রয়েছেন। আসনগুলি হল জঙ্গিপুর, মালদহ উত্তর, মালদহ দক্ষিণ এবং বহরমপুর। কাজেই এইসব আসনে লড়াই করতে বামেদের কংগ্রেসের হাত ধরার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে,কংগ্রেসের তরফে যেসব আসনে বামেদের শক্তি রয়েছে সেখানে প্রার্থী দেওয়া থেকে বিরত থাকতে পারে কংগ্রেস।

অর্থাৎ লোকসভা ভোটে বামেদের দুর্ভেদ্যঘাঁটির শক্তিকে কাজে লাগাতে চায় কংগ্রেস। এমনটাই মনে করছে বিশেষজ্ঞরা। উল্লেখ্য,গত বিধানসভা ভোটে বাম-কংগ্রেস এক ছাতার তলায় এসেছিল। যদিও লাভের গুড় খেয়ে গিয়েছিল কংগ্রেস। ৪৪ টি আসন এসেছিল কংগ্রেসের ঝুলিতে আর ৩৩ টি আসন পেয়েছিল বামেরা। এই প্রেক্ষিতে প্রদেশ কংগ্রেস বামেদের সঙ্গে জোট বাধার ইচ্ছাপ্রকাশ করলেও বামেরা এখনো স্পষ্টভাবে কিছু জানায়নি। তবে তাঁদের ইঙ্গিতে এটুকু পরিষ্কার যে বামফ্রন্টও কংগ্রেসের হাত ধরেই লোকসভা ভোট-বৈতরণী পার করবে। এমনটাই অভিমত অভিজ্ঞমহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!