‘মধ্যযুগীয়’ পদ্ধতিতে ‘বউ কার’ নির্ধারণে তুমুল ‘লড়াই’ দুই যুবকের, ঝরল রক্ত! সরগরম রাজ্য! উত্তরবঙ্গ রাজ্য July 29, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সাধারণত পশুদের মধ্যে যদি দুই পুরুষ একই সঙ্গিনীকে বেছে নেয়, তাহলে সে ক্ষেত্রে 2 পুরুষদের মধ্যে তুমুল লড়াই চলে। যে বেঁচে থাকে তার সাথেই সঙ্গিনী মিলিত হয়। পশুদের মধ্যে এধরনের ঘটনা ঘটলেও মানুষের মধ্যে সাধারণত এ ধরনের কিছু ঘটেনা বলেই এতদিন জানা ছিল। কিন্তু এবার মধ্যযুগীয় পদ্ধতিতে বউ বেছে নেবার জন্য দুই পুরুষ হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়লেন। আর ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর এলাকায়। এলাকার মানুষরা এ ধরনের ঘটনা দেখে একেবারে তাজ্জব বনে গেছে। লড়াই শুরু হয় শর্ত দিয়ে যে জিতবে তাঁর হাত ধরবে ওই গৃহবধূ। তবে ঘটনার সূত্রপাত জানতে গেলে পিছিয়ে যেতে হবে আরও বেশ কয়েক বছর আগে। পুলিশি সূত্রে জানা গিয়েছে, আট বছর আগে ইসলামপুরের শিশাপাড়া এলাকায় এক যুবকের সঙ্গে বিবাহসূত্রে আবদ্ধ হন ওই যুবতী। এক সন্তান এবং স্বামী নিয়ে এতদিন সুখেই সংসার করছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করেই ডোমকলের রমনা এলাকার এক যুবকের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয় ফোনের মাধ্যমে। ওই যুবক পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করতেন অন্য রাজ্যে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউনের কারণে তিনি ফিরে আসেন রাজ্যে নিজের বাড়িতে। এবং প্রেমিকার উদ্দেশ্যে তিনি দেখা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। এর পরেই দুজনে দেখা করে সিদ্ধান্ত নেন বিয়ে করার। গৃহবধূ তাঁর স্বামী এবং সন্তানকে ছেড়ে এগিয়ে যান প্রেমিকের দিকে। তাঁরা দুজনে বিয়ে করে নেন। কিন্তু স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চালাতে থাকেন তাঁর পুরনো স্বামী এবং সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী স্ত্রীকে এদিন ফোন করে তিনি বলেন, ইসলামপুর বাসস্ট্যান্ডে আসার জন্য। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - অন্যদিকে ওই গৃহবধূ তাঁর বর্তমান স্বামীকে নিয়ে পুরনো স্বামীর সাথে দেখা করতে আসেন আগে থেকে ঠিক থাকা জ্যগায়। আর তার পরেই শুরু হয় হাতাহাতি। অবশ্য শর্ত অনুযায়ী পুরনো স্বামীর সঙ্গেই আবার ঘরে ফিরে যেতে হয় ওই গৃহবধূকে লড়াইয়ের শেষে। অন্যদিকে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ইসলামপুর বাসস্ট্যান্ডের হঠাৎই দেখা যায় দুই যুবক তুমুল বচসারত। অন্যদিকে দূরে দাঁড়িয়ে ওই গৃহবধূ। দুই যুবকই তাঁকে নিজের স্ত্রী বলে দাবি করতে থাকে। আর তারপরেই বচসা আকার নেয় হাতাহাতিতে। অবশেষে যুদ্ধ যেতেন মহিলার পুরনো স্বামী। অন্যদিকে এই ঘটনায় রমনার যুবক পুলিশের কাছে যাবার কথা বলেছেন। তিনি যে এত সহজে হাল ছেড়ে দেবেননা, সে কথা স্পষ্ট করেছেন। অন্যদিকে পুলিশ অবশ্য এই ঘটনার কথা জানতে পেরে যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছে। তবে স্থানীয় মানুষরা এখনো বিশ্বাস করতে পারছেন না একটি স্ত্রীকে নিয়ে দুই পুরুষের মধ্যে প্রকাশ্যে এভাবে হাতাহাতি হতে পারে বলে। তবে জোর করে ফিরিয়ে নিয়ে গেলেও একজন স্ত্রীর মন পাওয়া কি সম্ভব হবে স্বামী হওয়া সত্ত্বেও? সে নিয়ে কিন্তু থেকে যাচ্ছে প্রশ্ন। আপনার মতামত জানান -