এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > লকডাউনের জেরে কি স্কুল ফী কমে অর্ধেক হতে চলেছে? বাড়ছে জল্পনা

লকডাউনের জেরে কি স্কুল ফী কমে অর্ধেক হতে চলেছে? বাড়ছে জল্পনা


গত কয়েক মাস ধরেই করোনার জেরে লকডাউনের আওতায় গোটা দেশ তথা রাজ্য। এদিকে অনির্দিষ্টকাল স্কুল বন্ধ থাকার কারণে শুরু হয়েছে অনলাইন ক্লাস নেওয়ার ব্যবস্থা। স্কুলের মতোই নিয়মমাফিক রোল কল ও করা হচ্ছে স্টুডেন্টদের। কিন্তু স্কুলের ফী সম্পূর্ণ দিতে অভিভাবকদের অনেকেই নারাজ এমনটাই সূত্রের খবর। জানা গেছে রাজ্যের আইসিএসই এবং সিবিএসই বোর্ডের পড়ুয়াদের অনেকেরই অভিভাবক ইতিমধ্যেই স্কুলের ফী অর্ধেক করার দাবি জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়েছেন।

রাজ্যের বেশ নামকরা স্কুলগুলোর অভিভাবকদের তরফ থেকে এমন অভিযোগ উঠে এসেছে বলে জানা গেছে। সূত্রের খবর অভিভাবকদের দাবি স্কুলের ইলেকট্রিসিটি, লাইব্রেরী, ল্যাবরেটরি ইত্যাদি বাবদ যে ফী দেওয়া হয় গত ২ মাস ধরে সেগুলি পড়ুয়ারা ব্যবহার করছে না তবে সেইগুলি বাবদ ফী তারা দিতে চায় না। এমনকি যেহেতু স্কুল বন্ধ ফলত বাস ভাড়া বাবদ যে ফী দেওয়া হয় সেটা দিতেও নারাজ অভিভাবকরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে বছরের শুরুতে করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় রাজ্যের বেসরকারি স্কুল গুলিকে ফী না বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছিল বলে জানা গেছে। সেক্ষেত্রে কোনরকম ভাবেই ফী বৃদ্ধি করেনি বেসরকারি স্কুল গুলি। এদিকে স্কুলগুলির বক্তব্য মোটামুটি এরকম, “ফি আমরা বাড়াইনি। এই পরিস্থিতিতে ফি দিতে যাঁদের অসুবিধা হচ্ছে, তাঁদের বলা হয়েছে, পরে দিলেও হবে। আমাদের অনলাইন ক্লাস চলছে স্কুলের পুরো সময় ধরে। রোল কল থেকে শুরু করে সবই হচ্ছে।”

তাদের আরও বক্তব্য, “শিক্ষিকাদের বেতন-সহ স্কুল চালানোর সব খরচ কিন্তু একই রয়েছে। তাই যে ক’মাস পড়ুয়ারা আসবে না, সেই মাসগুলির জন্য ফি অর্ধেক করা খুব কঠিন।” কিছু কিছু স্কুল জানাচ্ছে, “ইতিমধ্যেই আমরা স্কুলবাসের ভাড়া ৩০ শতাংশ কমিয়েছি। জ্বালানির খরচটা শুধু লাগছে না। কিন্তু চালক ও বাসকর্মীদের বেতন তো দিতে হচ্ছে। তাই পুরো বাসভাড়ায় ছাড় দেওয়া কঠিন। এ ছাড়া, স্কুল বন্ধ থাকলেও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বেতন দেওয়া-সহ অন্যান্য খরচ প্রায় একই রয়েছে। তাই ফি কী ভাবে অর্ধেক হবে?”

এদিকে অভিভাবকদের অভিযোগ প্রায় দুমাস ধরে বন্ধ স্কুল, স্কুলবাসের ভাড়াও গুনতে হচ্ছে পুরোটাই। প্রসঙ্গত অভিভাবকদের বক্তব্য, টিউশন ফি-র পুরোটা কেন দেব? অনলাইন ক্লাস তো হচ্ছে সারা দিনে এক কি দু’ঘণ্টা। তার থেকেও বড় কথা, যাঁদের ব্যবসা পেশা, তাঁরা এই লকডাউনের ফলে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। তাই এই অবস্থায় স্কুলের ফী চালিয়ে যাওয়া সত্যিই মুশকিল। আর তাই শিক্ষামন্ত্রীর স্মরণাপন্ন হওয়া। এখন শিক্ষামন্ত্রী বা মুখ্যমন্ত্রী কি সিদ্ধান্ত নেন তার দিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!