সামনের নির্বাচনে জোট নিয়ে বড় সিদ্ধান্তের কথা শোনালেন অধীর রাজ্য January 19, 2018 আরও একবার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির চেয়ারে বসলেন অধীর চৌধুরী। তবে চেয়ারে বসেই রাজ্য রাজনীতিতে চাঞ্চল্যকর বার্রা দিয়ে বসলেন। এদিন তাঁর বার্তা শুনে মনে হতেই পারে যে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তৃণমূলের প্রতি তাঁর সুর নরম হয়েছে। এদিন তিনি প্রকাশ্যা বলেন সে আর তাঁর বাম-জোটে সায় নেই । তবে অধীর বাবুর এই সিদ্ধান্তে অবাক রাজনৈতিক মহল কারণ কদিন আগে হয়ে যাওয়া সবং ভোটের সময়ও তিনি জোটের ওপরেই আস্থা রেখেছিলেন এবং তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করতে চেয়েছিলেন। তবে রাজনৈতিক মহলের অনেকের প্রশ্ন ঠিক কোন কারনে এখন অধীর বাম সংসর্গ ত্যাগ করতে চান? যদিও এর ব্যক্ষা তিনি নিজেই দিয়েছেন, তিনি বলেন , ” সিপিএম বারবার আমাদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। তাই আর সিপিএম তথা বামসঙ্গ চাই না আমরা।” তাঁর কর্মকালের শুরু তেই তিনি সাফ জানান, ঠিক যখন বাম-কংগ্রেসের জোটকে মানুষ গ্রহণ করতে শুরু করেছে, তখনই বামেরা বেঁকে বসে জোটকে অপ্রাসঙ্গিক করে দিয়েছে। ফলে গুরুত্ব হারিয়েছে এই জোট রাজনীতি । পঞ্চায়েতে জোট কোনও মতেই আর সম্ভব নয়। এতে বিশ্বাসযোগ্যতা আরও কমবে।” যদিও পঞ্চায়েত নির্বাচন কে পাখির চোখ করে সিপিএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র ক্ষেত্র বিশেষে কংগ্রেসকে সমর্থন করার কথা পেশ করেন অথচ উল্টোদিকে অধীর বাবুর এরম উল্টো স্রোত নিয়ে রাজনৈতিকমহলের উত্তেজনা তুঙ্গে সাথে সাথথ তাঁদের মত অধীরের বক্তব্য অন্য রকম গন্ধ আছে। সুত্র বলছে রাহুল গান্ধী সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর অধীর চৌধুরির পুণরায় রাজ্য সভাপতি হওয়াটাই স্বাভাবিক। তবে অধীর বাবুর বক্তব্যে রাহুল গান্ধীর সুর স্পষ্ট। দলীয় সুত্রের খবর তাঁরা দুজনেই চান রাজ্য স্তরে দলের শক্তি বৃদ্ধি করতে। অধীর বাবুও সর্বভারতীয় কংগ্রেসের এই দৃষ্টিভঙ্গিকে সমর্থন করে রাজ্য স্তরে দলকে মজবুত করতে চান। এই বিষয় নিয়ে অধীর বাবু জানান, ” পঞ্চায়েত নির্বাচনে, বিশেষ করে একেবারে গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে বিভিন্ন সমীকরণে ভোট সমঝোতা হয়ে থাকে । সেখানে প্রদেশ নেতৃত্বের বা শীর্ষ নেতৃত্বের কিছু বলার থাকে না। সেই নিয়ন্ত্রন থাকে না নেতৃত্বের হাতে। ফলে ভোট যুদ্ধের ময়দানে নিচুতলায় কী হবে, তা কারও পক্ষে বলা সম্ভব নয়। সেই সমঝোতাকে রাজনৈতিক জোট বলা উচিত হবে না।” আপনার মতামত জানান -