সংসদে তৃনমূলের তরফে প্রথম বক্তৃতাতেই ঝড় তুললেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র জাতীয় নদীয়া-২৪ পরগনা রাজ্য June 26, 2019 এতদিন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় তৃনমূলের হয়ে দাপিয়ে বেড়াতে দেখা গেছে তাঁকে। সুবক্তা হিসেবেও তার যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। আর এবার সেই তাকেই সংসদে পাঠিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত 2016 সালে করিমপুর বিধানসভার বিধায়ক হিসেবে তিনি নির্বাচিত হওয়ার পর এবার মহুয়া মৈত্রকে কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। আর মহুয়াদেবী জয়লাভের পরই সংসদে এই সুবক্তা ঠিক কিভাবে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হবেন, তা দেখবার জন্য নজর ছিল প্রায় প্রত্যেকেরই। আর প্রথম দিনেই দলের স্বপক্ষে বক্তব্য রেখে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে কার্যত ঝড় তুলতে দেখা গেল কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্র তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে। প্রসঙ্গত, লোকসভার আগে এনআরসি নিয়ে রাজ্য রাজনীতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল। যাকে কেন্দ্র করে শাসক দল তৃণমূল বনাম বিরোধী দল বিজেপির মধ্যে তুমুল তরজাও ছড়ায়। আর এই পরিস্থিতিতে সংসদে প্রথম বক্তব্য রাখতে উঠে সেই এনআরসি ইস্যুতেই কেন্দ্রকে বিঁধলেন কৃষ্ণনগরের এই তৃণমূল সাংসদ। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - সূত্রের খবর, এদিন মহুয়া মৈত্র বলেন, “বিশেষ সম্প্রদায়কে টার্গেট করেই এনআরসি এবং নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে আসা হচ্ছে। এদেশে 50 বছর ধরে যারা রয়েছেন, যারা নিজেদেরকে ভারতীয় বলে প্রমাণ দিয়েছেন, তাদেরকেই এই বিজেপি সরকার অনুপ্রবেশকারী বলছে। গোটা দেশে বর্তমানে ফ্যাসিজম চলছে।” অন্যদিকে জাতীয় নিরাপত্তা প্রসঙ্গেও এদিন বিজেপি সরকারের কড়া ভাষায় সমালোচনা করেন তৃনমূলের মহুয়া মৈত্র। তিনি বলেন, “দেশে গণপিটুনিতে মৃত্যুর ঘটনা বেড়েই চলেছে। ভয়ের পরিবেশ কায়েম হয়েছে সর্বত্র।” সেনাবাহিনীর ভূমিকাকে একজন নিজের কৃতিত্ব বলে দাবি করছেন বলে জানিয়ে এদিন পরোক্ষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে খোঁচা দেন তিনি। এদিকে সাংসদ হয়ে প্রথম দিনে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে মহুয়া মৈত্রর এহেন চাঁচাছোলা বক্তব্যে অনেকটাই খুশি শাসক দল তৃণমূল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ। যদিও বা বিজেপির তরফে তৃণমূলের এই মহিলা সাংসদের বক্তব্যকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। তাদের দাবি, আসলে নির্বাচনে পরাজয়ের পর তৃণমূল বাংলায় ক্ষমতা হারানোর ভয়ে এখন গুটিকয়েক সাংসদ নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার হচ্ছেন। কিন্তু এতে লাভের লাভ কিছুই হবে না। তবে প্রথম দিনেই সংসদে বক্তব্য রাখতে উঠে কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল সাংসদের ঝড়ের গতিতে কেন্দ্রকে আক্রমণ সামগ্রিকভাবে ভবিষ্যতেও বজায় থাকে কিনা, এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে। আপনার মতামত জানান -