এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের সমীকরণে পশ্চিম বর্ধমানের অসন্তোষ চাপা দিতেই কি মলয় ঘটকের পুনর্বাসন?

গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের সমীকরণে পশ্চিম বর্ধমানের অসন্তোষ চাপা দিতেই কি মলয় ঘটকের পুনর্বাসন?


রাজনীতিতে যে উত্থান-পতন বিরাজমান তা ভালই জানেন বর্ষীয়ান তৃণমূল কংগ্রেস নেতা মলয় ঘটক। তাইতো দীর্ঘদিন ধরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে জেলায় বেশ কিছুটা কোণঠাসা হয়ে পড়লেও তেমন ভাবে দল বা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে কখনোই মুখ খুলতে দেখা যায়নি তাকে। দলীয় সূত্রের খবর,সদ্যসমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ও দলের কাজে সেই ভাবে দেখা না পাওয়া এই তৃণমূল কংগ্রেস নেতার মলয় ঘটকের রাজনৈতিক দুঃসময় সুসময়ে পরিণত হয় বৃহস্পতিবার নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়। তৃণমূল সূত্রের খবর ,গত বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোরে তৃণমূলের কোর কমিটির বৈঠক থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসানসোলের মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারী ধমক দিয়ে মন্ত্রী মলয় ঘটক এর সঙ্গে একসাথে কাজ করার নির্দেশ দেন।আর এতেই জেলায় মলয় ঘটকের অনুগামীদের মধ্যে তৈরি হয় তীব্র উৎসাহ। তবে নেত্রীর এহেন বার্তা পেয়ে ঐক্যের সুর শোনা গেছে একদা মলয় ঘটক বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর নেতা তথা পশ্চিম বর্ধমানের তৃণমূলের জেলা সভাপতি ভি শিবদাসনের গলায়।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

এদিন তিনি বলেন, “মলয়দা অনেক সিনিয়র নেতা। তিনি দুর্দিনে দল করেছেন। তার সঙ্গে কাজ করতে কারোই কোন অসুবিধে হবে না।” জানা গেছে, বিগত 2014 সালের লোকসভা ভোটের পর থেকেই মলয় ঘটক এর রাজনৈতিক অস্তিত্ব সংকট শুরু হয় তৃণমূলে। শুধু এখানেই শেষ নয় একাধিক দপ্তরের মন্ত্রিত্ব থেকেও ডানা ছাটা হয় তার। এমনকি জেলার সংগঠনের সম্পূর্ন রাশ তার হাত থেকে কেড়ে নিয়ে তা দেওয়া হয় মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারির হাতে। তবে এরপরই অবস্থা বদলাতে থাকে। এতদিন কোণঠাসা হয়ে যাওয়া মলয় ঘটকের প্রতি ফের আস্থা রাখতে শুরু করে দল।এদিকে মলয় ঘটকের দলীয় স্তরে ফের এহেন উন্নতিতে যারা এতদিন তার বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন তারাও গত বৃহস্পতিবার মলয়বাবুর বাড়িতে এক অনুষ্ঠানে যোগদান করেন। তৃণমূল সূত্রে খবর, মলয় ঘটক বরাবরই লম্বা রেসের ঘোড়া ।এতদিন জেলায় কোণঠাসা হলেও প্রকাশ্য কোনো নেতার বিরুদ্ধে মুখ না খুলে তিনি ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছেন। কারণ তিনি জানেন রাজনীতিতে উত্থান-পতন রয়েছে। এদিকে গত বৃহস্পতিবার দলের কোর কমিটির বৈঠকে জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে মলয়বাবুর সঙ্গে সম্পর্ক ঠিক করতে বলেই ক্ষান্ত থাকেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাথে সাথে আইএনটিটিইউসি দায়িত্বে থাকা দোলা সেন এর পাশাপাশি মলয় ঘটককেও এদিন এই শ্রমিক সংগঠনের দায়িত্ব দেন তিনি। তবে এই দায়িত্ব বৃদ্ধি এবং দলে গুরুত্ব নিয়ে কোনভাবেই মুখ খুলতে দেখা যায়নি পশ্চিম বর্ধমানের এই দাপুটে মন্ত্রী তথা অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ মলয় ঘটককে জেলা তৃণমূল সূত্রে অনেকেরই দাবি, মলয় ঘটকের এভাবে শ্রমিক সংগঠনের দায়িত্ব পাওয়াতে তার অনুগামীরা এবার অনেকটাই নিজেদের অস্তিত্ব জাহির করতে পারবেন। রাজনৈতিক মহলের মতে, দীর্ঘদিন এই পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলের তৃণমূলের দ্বন্দ্ব থামাতে এবং সামনে 2019 এ বিজেপির ভোট ব্যাংকের ধ্বস নামাতে সব নেতাকে একযোগে কাজ করার বার্তা দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আদতে দলীয় সংগঠনের শ্রীবৃদ্ধিই করতে চাইলেন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!