এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ধর্নামঞ্চ থেকেই কি নতুন করে ফেডারেল ফ্রন্টের স্বপ্ন উস্কে দিচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?

ধর্নামঞ্চ থেকেই কি নতুন করে ফেডারেল ফ্রন্টের স্বপ্ন উস্কে দিচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?


বর্তমানে রাজ্যরাজনীতির সবথেকে চর্চিত বিষয় সিবিআই বনাম রাজ্যপুলিশের দ্বন্দ্ব। এই টালমাটাল পরিস্থিতিতে লোকসভা ভোটের ঠিক মুখে ফেডারেল ফ্রন্টের স্বপ্নকে আরো একটু উস্কে দিলেন বিজেপি বিরোধী জোটের মধ্যমনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত ১৯ জানুয়ারি বিজেপি বিরোধী ২৩ টি রাজনৈতিক দলের শীর্ষনেতাদের ব্রিগেডে মঞ্চে এনে বিজেপি মুক্ত ভারত গড়ার ডাক দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বুঝিয়ে দিয়েছিলেন বিরোধী জোটের কেন্দ্রে তিনিই রয়েছেন। এরপর সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে ধর্মতলায় যে সত্যাগ্রহ আন্দোলন শুরু করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়,তাতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের বিরোধী রাজনৈতিক নেতারা সমর্থন করে ফের একবার প্রমাণ করে দিলেন মমতাই বিরোধী জোটের আসল মুখ।

কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী থেকে শুরু করে অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু, ডিএমকে নেতা স্ট্যালিন থেকে শুরু করে ফারুক আবদুল্লা, মেহবুবা মুফতি, অরবিন্দ কেজরিওয়াল, অখিলেশ যাদব—সকলেই সিবিআই বিরোধীতায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমর্থন করেছেন।

সম্প্রতি বিরোধী জোটকে আরো শক্তিশালী করতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়িয়েছেন বিজু জনতা দলের নেতা,ওডিশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়কও। অখিলেশ যাদবের প্রতিনিধি হিসাবে গতকাল কোলকাতায় নেত্রীর সঙ্গে দেখা করেন কিরনময় নন্দ। আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব এবং ডিএমকে নেত্রী কানিমোঝিও গত রাতে নেত্রীকে সমর্থন করতে ধর্না মঞ্চে এসেছেন। বক্তব্যে তেজস্বী সরাসরি জানিয়েছেন,’বিজেপি বিদায় হলে দেশ বাঁচবে।

প্রধানমন্ত্রী আসে-যায়। কিন্তু দেশের সংবিধান থেকে যায়।’ পাশাপাশি আরো জানান,মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে যে পদক্ষেপ নিয়েছেন,তাতে তাকে আরো বেশি করে সমর্থন করা উচিত। সকলকেই এই কেন্দ্র বিরোধী আন্দোলনে সামিল হওয়া উচিৎ। কংগ্রেসকে বার্তা দিয়ে মমতা বলেন,’আমার মনে হয়, সমস্ত আঞ্চলিক দল এবং জাতীয় স্তরে কংগ্রেসের এই আন্দোলনে অংশ নেওয়া উচিত।

আমাদের ওয়ান পয়েন্ট প্রোগ্রাম মোদিকে হটিয়ে দেশ বাঁচানো। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে আমাদের বাঁচাতে হবে। দেশের নেতা তিনিই, যিনি সকলকে নিয়ে চলবেন। অন্য রাজনৈতিক দলকে ভয় দেখিয়ে, মেরেধরে দেশের নেতা হওয়া যায় না।’ মঞ্চ থেকে কানিমোঝি জানান, তিনি ডিএমকে এবং দলনেতা এম কে স্ট্যালিনের তরফ থেকে এসেছেন এটা জানাতে যে ডিএমকে মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়ের সঙ্গে রয়েছে।

পাশাপাশি এটাও জানালেন,”বিজেপি সরকার ম্যাডাম মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে যা করেছে, সেটা আসলে ব্রিগেডের সফল সমাবেশের জন্য উপহার। আমি এটা বলতে কলকাতায় এসেছি যে, আমরা সকলে একজোট হয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের মোকাবিলা করব।” এই প্রেক্ষিতে বলতে গিয়ে বিজেপি ফ্যাসিস্ট সরকার বলে কটাক্ষ করলেন তিনি।

প্রসঙ্গত,চিটফান্ড কান্ডে কোলকাতা পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারকে সিবিআই জেরা করতে চাইলে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজীব কুমারের বাড়িতে গিয়ে কোলকাতা এবং রাজ্য পুলিশের পদস্থ কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করার পরই ধর্মতলায় অবস্থান-সত্যাগ্রহ শুরু করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সেই মঞ্চ থেকেই গর্জে উঠে নেত্রী বলেন,’‌এটা কোনও রাজনৈতিক মঞ্চ নয়। ভারত বাঁচাবার মঞ্চ। এই মঞ্চে যে কেউ আসতে পারেন। আমি সবাইকে স্বাগত জানাই।’ পাশাপাশি মোদী সরকারের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগড়ে দেন তিনি। বলেন,২০১৪ এবং ২০১৬ সালের নির্বাচনে যেভাবে রাজ্যে সন্ত্রাস ছড়িয়েছে বিজেপি,সেই একই কায়দায় পঞ্চায়েত নির্বাচনেও হিংসার রাজনীতি করেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তাই ১৯’এর ব্রিগেডের মঞ্চ থেকে এই বিজেপি সরকারকে কেন্দ্র থেকে উৎখাত করার ডাক দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোোধ্যায়৷ ২৩ টি বিজেপি বিরোধী দলের প্রতিনিধির সঙ্ঘবদ্ধ হুংকার সেদিন থেকেই ঘুম উড়ে গিয়েছে মোদীর। ভয়ে কাঁপছেন আর ভাবছেন এই বুঝি কেন্দ্রের ক্ষমতা বিরোধীদের হাতে চলে গেল। এমনটাই বক্তব্যে জানালেন তৃণমূল নেত্রী।

বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই যে আরো জোরদার হয়েছে তার প্রমাণ পাওয়া গেল ধর্মতলার ধর্না মঞ্চেই। মঞ্চ থেকেই হুংকার ছেড়ে নেত্রী বললেন,’আমাদের প্রধান কাজ মোদীকে তাড়ানো।’ রবিবার রাত থেকে জেগে রয়েছেন মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়। চা ছাড়া আর কিছুই খাননি। দফায় দফায় তাঁর সঙ্গ দিচ্ছে হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রী। মঞ্চের সামনে মানুষের ভীড় দেখেও বেজায় খুশি নেত্রী।

সকলকে অভিনন্দন জানিয়ে নেত্রী বললেন,’সমস্ত রাজনৈতিক দল আমাদের কর্মসূচিকে সমর্থন জানিয়েছে। আমরা যৌথ নেতৃত্বে লড়ছি। ‌ইউনাইটেড ইন্ডিয়া‌ নাম দিয়ে আমরা বিজেপি-‌র বিরুদ্ধে নির্বাচনে লড়ব।’ আরো জানালেন,গনতন্ত্র যাতে গনতন্ত্রের পথেই চলে তার জন্যে আন্দোলনে নেমেছেন নেত্রী।

উল্লেখ্য,এদিন মমতার সঙ্গে ধর্মতলায় ছিলেন শিবাজি চট্টোপাধ্যায়,জয় গোস্বামী, সৈকত মিত্র, সুবোধ সরকার, শান্তনু রায়চৌধুরি, প্রণতি ঠাকুর, অভীক মজুমদার, পর্ণাভরা। কেউ গান করেন। কেউ কবিতা পড়েন। ছিলেন বিদেশ বসু, মানস ভট্টাচার্য, রহিম নবিরাও। দিনভর মাঝে মাঝেই বক্তব্য রাখেন নেত্রী।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!