৯ সদস্যকে অপসারণ করল শাসক দল, বড়সড় শোরগোল উত্তরবঙ্গ রাজ্য December 31, 2019 2019 এর মধ্যবর্তী সময়টা খুব একটা ভালো যায়নি তৃণমূল কংগ্রেসের। লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল বিপর্যস্ত হওয়ার পর অনেক হেভিওয়েট নেতা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন। ব্যতিক্রম নয়, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাও। বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রে অর্পিতা ঘোষ পরাজিত হলে সেখানকার জেলা সভাপতি পদ থেকে বিপ্লব মিত্রকে সরিয়ে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তারপরেই জেলা পরিষদের সভাধিপতি সহ 10 জন সদস্যকে নিয়ে দিল্লিতে গিয়ে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখান সেই বিপ্লব মিত্র। ফলে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদ চলে যায় বিজেপির দখলে। তবে পরবর্তীতে তথা 2019 এর একদম শেষের দিকে সেই বিজেপিতে যাওয়া অনেক জেলা পরিষদ সদস্য তৃণমূল ফিরে আসতে শুরু করেন এমনকি শেষ পর্যায়ে একেবারে বিপ্লব মিত্রকে মাস্টারস্ট্রোক দিয়ে অর্পিতা ঘোষ তৃণমূলে যোগদান করান জেলা পরিষদের সভাধিপতি লিপিকা রায়কে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - ইতিমধ্যেই এনআরসির কারণ দেখিয়ে বিজেপি ত্যাগ করেছেন মফিজউদ্দিন মিয়া। তবে তিনি তৃণমূলে যোগদান করেননি। বর্তমানে তিনি নির্দল হিসেবেই রয়ে গেছেন। এছাড়াও আরও তিনজন সদস্য বিজেপিতে রয়েছেন। তাই এই পরিস্থিতিতে এবার জেলা পরিষদের সভা ডেকে ছটি স্থায়ী কমিটির 9 সদস্যকে অপসারণ করল শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। সূত্রের খবর, সোমবার দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট জেলা পরিষদের সভাকক্ষ যশোদা ভবনে বিরোধী পক্ষের সদস্যদের বিরুদ্ধে অনাস্থা সভার আয়োজন করা হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা শাসক প্রণব ঘোষ, জেলা পরিষদের মেন্টর শুভাশিস পাল সহ জেলা পরিষদের তৃণমূলের অন্যান্য সদস্যরা। জানা যায়, এদিন জেলা পরিষদের মৎস্য, বিদ্যুৎ, শিক্ষা, কৃষি এবং বন এই ছটি দপ্তরের নয় জন সদস্য রয়েছেন, তাদের মধ্যে নির্বাচিত সদস্য মফিজউদ্দিন মিয়া, বিজেপির চিন্তামণি বিহা, প্রতিভা মন্ডল এবং শঙ্কর সরকারকে অপসারণ করা হয়। ফলে সেদিক থেকে বিরোধী সদস্যদের অপসারণ করে তৃণমূল জেলা পরিষদে আর কোনো ঝঞ্ঝাটই রাখতে চাইছে না বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এখন গোটা পরিস্থিতি ঠিক কোন দিকে মোড় নেয়, সেদিকেই নজর থাকবে বিশেষজ্ঞদের। আপনার মতামত জানান -