এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > দলের সকলকে ফোন করছেন মমতা! কারন জানিয়ে দিলেন হেভিওয়েট বিজেপি নেতা!

দলের সকলকে ফোন করছেন মমতা! কারন জানিয়ে দিলেন হেভিওয়েট বিজেপি নেতা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগদানের পর তৃণমূলের আশঙ্কার তীব্র থেকে তীব্রতর হতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই হাওড়া জেলার একাধিক জনপ্রতিনিধি বেসুরো মন্তব্য করতে শুরু করেছেন। পাশাপাশি শতাব্দী রায়ের মত হেভিওয়েট সাংসদকে নিয়ে জল্পনা ক্রমশ বাড়ছে। আর এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের পক্ষ থেকে সেই সমস্ত বিদ্রোহী নেতাদের মানভঞ্জন চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, এই সমস্ত কিছু করে লাভের লাভ কিছুই হবে না। সকলেই বিজেপিতে নাম লেখানোর জন্য প্রস্তুত হয়ে আছেন। আর এবার দলের সকলকে ফোন করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খোঁজখবর নিচ্ছেন বলে বিস্ফোরক দাবি করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। কিন্তু কেন হঠাৎ করে এই ধরনের দাবি করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি, এখন তা নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন।

সূত্রের খবর, রবিবার চৌরঙ্গীতে একটি চা চক্রে উপস্থিত হন মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ। আর সেখান থেকেই তৃনমূলের অনেকেই বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন বলে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন তিনি। দিলীপ ঘোষ বলেন, “দিদির অবস্থা খারাপ। কারণ দিদির ভাইরা বিজেপিতে চলে আসছে। দিদি ফোন করে সবাইকে জিজ্ঞেস করছে, তুমি আছো তো! নাকি বিজেপিতে চলে গেছো।” বলা বাহুল্য, দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্য নতুন কিছু নয়। এর আগেও একাধিকবার তৃণমূলের অনেকে বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন বলে মন্তব্য করতে দেখা গেছে দিলীপ ঘোষ সহ বিজেপির অনেক হেভিওয়েট নেতাদের।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু সাম্প্রতিককালে সেই মন্তব্যের পারদ আরও বাড়তে শুরু করেছে। তৃণমূলের নেতাদের বিদ্রোহ যখন সামনে আসছে, তখন বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, অনেকেই দলের সাথে যোগাযোগ রাখছেন। আর এই পরিস্থিতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সকলকে ফোন করে দলে আছেন কিনা, খোঁজ খবর নিচ্ছেন বলে দাবি করে তৃণমূলকে পাল্টা চাপে ফেলে দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, চলতি মাসেই অমিত শাহের সভা রয়েছে। আর সেই সভা থেকেই তৃণমূলের বড় কোনো হেভিওয়েট বিজেপিতে নাম লেখাতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। রাজীব বন্দ্যপাধ্যায় থেকে শুরু করে লক্ষ্মীরতন শুক্লা, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে শতাব্দী রায়ের মত হেভিওয়েটকে নিয়ে ইতিমধ্যেই জল্পনা বাড়তে শুরু করেছে। আর এই পরিস্থিতিতে কারা কারা বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন, তা নিঃসন্দেহে লক্ষণীয় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলের কাছে। এমতাবস্তায় চা চক্রে যোগ দিয়ে দিলীপ ঘোষের এই ধরনের মন্তব্য যে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, দিলীপ ঘোষের কথা যদি সত্যি হয়, তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফোন করে দলে রাখতে কতটা সক্ষম হন, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!